সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি কারো পারিবারিক সম্পত্তি না কী?- প্রশ্ন শাকিব খানের
ঈদুল আজহা উপলক্ষে আজ (১২ আগস্ট) মুক্তি পাচ্ছে শাকিব খান ও বুবলি অভিনীত জাকির হোসেন রাজু পরিচালিত সিনেমা ‘মনের মতো মানুষ পাইলাম না’। ছবিটি মুক্তির আগের দিন মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা, বিএফডিসির পরিবেশ, নিজের আগামী পরিকল্পনাসহ একান্ত অনেককিছু ভাগাভাগি করেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের শীর্ষ অভিনেতা শাকিব খান। শুনলেন- জাহিদ আকবর
স্টার অনলাইন: ‘মনের মতো মানুষ পাইলাম না’ সিনেমা নিয়ে কিছু বলেন।
শাকিব খান: এই ছবিতে আমাকে একেবারে অন্যরকমভাবে দেখা যাবে। শিল্পপ্রধান ছবি এটা। আমাদের দেশ, সমাজ, চারপাশ উঠে এসেছে ছবিটির গল্পে। ছবি দেখে সেন্সর বোর্ডের অনেকে প্রশংসা করেছেন। ছবির ট্রেলার প্রশংসিত হয়েছে। বুবলি অসাধারণ অভিনয় করেছেন ছবিটিতে। দর্শকরা ভিন্নধারার ছবিটিতে আমাকে খুঁজে পাবেন।
স্টার অনলাইন: উৎসব ছাড়া আপনার ছবি মুক্তি পাচ্ছে না কেনো?
শাকিব খান: এখন থেকে ঈদ ছাড়া বছরের অন্য সময়ও আমার ছবি দেখা যাবে। আর কেউ করুক বা না করুক, এসকে ফিল্মস ছবি করবে। ‘বীর’ তো কোনো উৎসবে মুক্তি পাচ্ছে না। বছরে ঈদ দুটো কিন্তু এসকে ফিল্মস থেকে বছরে চার থেকে পাঁচটি সিনেমা মুক্তি পাবে।
স্টার অনলাইন: এফডিসির আগের সেই জৌলুস এখন আর নেই। হারানো জৌলুস ফিরিয়ে আনতে করণীয় কী বলে আপনি মনে করেন?
শাকিব খান: একদমই ঠিক। এফডিসির আগের সেই জৌলুস আর নেই। এর কারণ, এফডিসি পুরোপুরি সিস্টেমের বাইরে একটা নোংরা জায়গায় হয়ে পরিণত হয়েছে। এফডিসির কাজ হলো শিল্প, সিনেমা, গানের চর্চার অনুকূল পরিবেশ রাখা। এখানে শিল্পাঙ্গনের ভালো ভালো উচ্চশিক্ষিত মানুষের আড্ডা, আনাগোনা থাকা উচিত, যেটা আগে ছিলো। শিল্পচর্চার জায়গা রাজনৈতিক অঙ্গনে পরিণত হয়েছিলো। মাথার মধ্যে রাজনীতি ঘুরলে তো আর সৃজনশীল কাজ হয় না। এখন তো কিছুটা হলেও সেগুলো কমেছে। আশা করছি, আমরা আবার সেই জৌলুসের দিনে ফিরে যাবো।
স্টার অনলাইন: প্রেক্ষাগৃহগুলোতে এসকে ফিল্মসের মেশিন বসানোর উদ্যোগ নেওয়ার কারণ কী? এজন্য মামলার হুমকি শোনা যাচ্ছে...
শাকিব খান: মামলার কারণটা কী? সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি কারো পারিবারিক সম্পত্তি না কী? একজন প্রযোজক যখন ছবি রিলিজ করছেন তখন তা তিনভাগের একভাগ টাকায় করছেন। গত ঈদে ‘পাসওয়ার্ড’ রিলিজ করে একজন প্রযোজক হিসেবে আমি দেখেছি, সিনেমা হলে যেসব মেশিন বসানো রয়েছে সেগুলোর অবস্থা খুব করুণ। অকেজো ওইসব মেশিনের জন্য প্রযোজক হিসেবে সপ্তাহ-প্রতি আমাকে সাড়ে ৬ হাজার টাকা থেকে ৮ হাজার টাকা করে দিতে হয়েছে। ‘এসকে বিগ স্ক্রিন’ না এলে এই ঈদেও ডবল টাকা ভাড়া দিতে হতো। আমার টাকা দিয়ে সেই ছবি না হোক, বাস্তবে সে ছবিতো আমারই। সুফল তো আমার প্রযোজক পাবেন! কিন্তু, আমি মোট ভাড়ার তিনভাগের একভাগ নিচ্ছি। যেটা খরচ সেটাই নিচ্ছি।
স্টার অনলাইন: মেশিন বসিয়ে আপনি প্রেক্ষাগৃহগুলো নিজের নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাচ্ছেন, এমন অভিযোগও রয়েছে।
শাকিব খান: এটা পুরোপুরি ভুল কথা। মেশিন ভাড়ায় শুধু শুধু এতোগুলো টাকা দিলাম সেগুলো আমাকে কে ফেরত দেবেন? কোটি-কোটি টাকা লগ্নি করছি আমি। কিন্তু, এর সুবিধা পাবেন সবাই। আমি তো বছরে ছবি করবো চারটা থেকে ছয়টা। বাকি সময় অন্যদের ছবিই চালাতে হবে। যদি নিজের স্বার্থ বা প্রেক্ষাগৃহ নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাইতাম, তাহলে ‘বীর’ রিলিজের সময়ই মেশিন বসাতাম।
স্টার অনলাইন: সারাদেশে ডেঙ্গু আতঙ্ক বিরাজ করছে। আবার অনেক এলাকায় বন্যা হয়েছে। ঈদের সিনেমায় এগুলো কতোটা প্রভাব ফেলতে পারে বলে আপনি মনে করেন?
শাকিব খান: মানুষ সিনেমা দেখতে যান স্বস্তি ও আনন্দ পেতে। তারা বিভিন্ন সমস্যা কাটিয়ে মনকে আনন্দ ও তৃপ্তি দেওয়ার জন্যে বিনোদন নিতে যান। সিনেমা দেখার ওই সময়টুকু নিজের মধ্যে থাকতে চান। স্ক্রিনে ছবি দেখার সময় প্রত্যেকেই মুগ্ধ হন। আমার ধারণা সিনেমা হলে দুর্যোগের তেমন কোনো প্রভাব পড়বে না।
Comments