তারেক মাসুদ, মিশুক মুনীরকে স্মরণ করলো মানিকগঞ্জবাসী

সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার তারেক মাসুদ এবং বিশিষ্ট সাংবাদিক মিশুক মুনীরকে স্মরণ করলো মানিকগঞ্জবাসী।
Tareque Masud human chain Manikganj
১৩ আগস্ট ২০১৯, প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার তারেক মাসুদ এবং বিশিষ্ট সাংবাদিক মিশুক মুনীরসহ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের স্মরণে স্মৃতিফলকে পুষ্পস্তবক অর্পণ, বৃক্ষরোপণ এবং নিরাপদ সড়কের দাবিতে মানববন্ধনের আয়োজন করে মানিকগঞ্জের কয়েকটি স্থানীয় সংগঠন। ছবি: সংগৃহীত

সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার তারেক মাসুদ এবং বিশিষ্ট সাংবাদিক মিশুক মুনীরকে স্মরণ করলো মানিকগঞ্জবাসী।

তাদের স্মরণে আজ (১৩ আগস্ট) সকাল ১১টার দিকে দুর্ঘটনাস্থলে স্মৃতিফলকে পুষ্পস্তবক অর্পণ, বৃক্ষরোপণ এবং নিরাপদ সড়কের দাবিতে মানববন্ধন করেছে মানিকগঞ্জের কয়েকটি স্থানীয় সংগঠন।

কর্মসূচীর প্রথমেই নিহতদের স্মরণে তাদের স্মৃতিফলকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এরপর মহাসড়কের পাশে নিরাপদ সড়কসহ বিভিন্ন দাবিতে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন এবং পরে বৃক্ষরোপণ করা হয়।

মানবন্ধনে বক্তব্য দেন, একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মুল কমিটি জেলা শাখার সভাপতি অ্যাডভোকেট দীপক কুমার ঘোষ, মানিকগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ জাহঙ্গীর আলম বিশ্বাস, তারেক মাসুদ-মিশুক মুনীর স্মৃতি সংসদের সাধারণ সম্পাদক রিপন আনসারী, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ‘বারসিক’র আঞ্চলিক সমন্বয়কারী বিমল রায়, নাট্যপরিচালক গিনি আলম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) ঘিওর উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম খান, ঘিওর উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রামপ্রসাদ সরকার দীপু এবং লেখকসংঘ জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম।

বক্তারা তারেক মাসুদ-মিশুক মুনীরসহ নিহত পরিবারগুলোকে যথাযথ ক্ষতিপুরণ প্রদান, নিরাপদ সড়ক, অদক্ষ ও নেশাখোরদের হাতে গাড়ির চাবি তুলে না দিতে পরিবহন মালিকদের প্রতি আহবান জানান। তারা ঢাকা-পাটুরিয়া সড়কে রেললাইন স্থাপন এবং পাটুরিয়া-দৌলতদিয়ো পয়েন্টে দ্বিতীয় পদ্মা সেতু নিমার্ণেরও দাবি করেন।

উল্লেখ্য, ২০১১ সালের এই দিনে (১৩ আগস্ট) ‘কাগজের ফুল’ সিনেমার সুটিং স্পট দেখে মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার শালজানা গ্রাম থেকে ঢাকা ফেরার পথে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার জোকা নামক স্থানে তাদের বহনকারী মাইক্রোবাসের সাথে বিপরীত দিক থেকে আসা চুয়াডাঙ্গা ডিলাক্স পরিবহনের একটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে নিহত হন তারেক মাসুদ, মিশুক মুনীর, প্রোডাকশন সহকারী ওয়াসিম, জামাল এবং মাইক্রোবাস চালক মুস্তাফিজুর রহমান এবং আহত হন তারেক মাসুদের স্ত্রী ক্যাথরিন মাসুদ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও চিত্রশিল্পী ঢালী আল মামুন এবং তার স্ত্রী দেলোয়ারা বেগম জলি।

Comments

The Daily Star  | English

Abu Sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

12h ago