ভবিষ্যতের জন্য ক্রিকেটার খোঁজার পরিকল্পনার কথা জানালেন মিনহাজুল
মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে সোমবার (১৯ অগাস্ট) থেকে শুরু হয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের চার দিনের কন্ডিশনিং ক্যাম্প। সেখানে ডাক পেয়েছেন এক ঝাঁক নতুন মুখসহ ৩৬ ক্রিকেটার। এদের মধ্যে সাকিব আল হাসান এখনও ছুটি কাটিয়ে যোগ দেননি। আর বিশ্রামে থাকায় নেই তামিম ইকবাল। তবে সবশেষ শ্রীলঙ্কা সফরে চোটের কারণে না থাকা ওয়ানডে দলনেতা মাশরাফি বিন মর্তুজা ও অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন আছেন ক্যাম্পে। আবার, জাতীয় দলে খেলার অভিজ্ঞতা থাকলেও নুরুল হাসান সোহান ও এনামুল হক বিজয়কে বিবেচনা করা হচ্ছে “এ” দলের স্কোয়াডের জন্য।
আগামী সেপ্টেম্বরে আফগানিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টের পর জিম্বাবুয়েকে যুক্ত করে একটি ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। সেপ্টেম্বরেই বাংলাদেশ “এ” দল মুখোমুখি হবে শ্রীলঙ্কার আর হাইপারফরম্যান্স (এইচপি) দল মোকাবেলা করবে ভারত অনূর্ধ্ব-২৩ দলকে। অর্থাৎ তিনটি আলাদা দলের মাধ্যমে বহুসংখ্যক খেলোয়াড়কে পরখ করে দেখার এবং ভবিষ্যতের জন্য ক্রিকেটার খোঁজার দারুণ সুযোগ পাচ্ছেন নির্বাচকরা। যেমনটা জানিয়েছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু।
সাংবাদিকদের কাছে তিনি বলেছেন, ‘সামনে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ আছে, যেটা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। দীর্ঘ পরিসরের ক্রিকেটে থিতু হতে এটা খুবই জরুরি। যে কোনো টেস্ট খেলুড়ে দেশ ক্রিকেটে নিজেদেরকে প্রমাণ করে দীর্ঘ পরিসরের ক্রিকেট দিয়ে। এই ফরম্যাটে যত ভালো ক্রিকেট খেলা যাবে, বাকি ফরম্যাটগুলোতে তত ভালো খেলা যাবে। সেটা চিন্তা করে আমাদের “এ” দলের জন্য দীর্ঘ পরিসরের ক্রিকেটের সূচি করা হয়েছে। সামনের মাসে “এ” দল শ্রীলঙ্কা যাচ্ছে খেলার জন্য। সেখানে তিনটি চার দিনের ম্যাচ খেলবে। সেই সঙ্গে অনেক খেলোয়াড়কে দীর্ঘ পরিসরের জন্য প্রস্তুত করার একটা পরিকল্পনা করে রেখেছি। সঙ্গে ওয়ানডে আছে, টি-টোয়েন্টি আছে। সামনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আছে। এটা নিয়ে এই বিপিএল থেকে আমরা কাজ করার পরিকল্পনা করেছি। একই সঙ্গে আফগানিস্তান, জিম্বাবুয়েকে নিয়ে শুরু হতে যাওয়া ত্রিদেশীয় সিরিজটি ভালো সুযোগ। এখান থেকেই পরিকল্পনাটা শুরু হচ্ছে।’
‘বিজয়-সোহানকে “এ” দলের সঙ্গে রাখা হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে কিছু খেলোয়াড়কে এইচপি দলের সঙ্গে যুক্ত করার জন্য দেওয়া হয়েছে। যেটা এই সিরিজের বাইরে। ওরাও এইচপি দলের সঙ্গে যোগ দিচ্ছে। আমাদের ৬০ জন খেলোয়াড়ের একটা দল আছে। এই ৬০ জন খেলোয়াড়কে কিন্তু আমরা সব ফরম্যাটের জন্য- “এ” দল, এইচপি, বিসিবি একাদশ- সবখানে ব্যবহার করার জন্য একটা পরিকল্পনা করে রেখেছি।’
‘আগামী সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝিতে “এ” দলের শ্রীলঙ্কা সফরে যাওয়ার কথা। তিনটা চার দিনের ম্যাচ রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে এইচপির আবার ভারতের অনূর্ধ্ব-২৩ দলের সঙ্গে পাঁচটা ওয়ানডে আছে সেপ্টেম্বরের ১৭ তারিখ থেকে। এ দুইটা আছে। এছাড়া ত্রিদেশীয় সিরিজে (জিম্বাবুয়ে-আফগানিস্তানকে নিয়ে) টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের ম্যাচ রয়েছে। সবমিলিয়ে ৬০ জন ক্রিকেটারের সুযোগ হবে। এটা ভালো একটি সংকেত। অনেকগুলো খেলা আছে, অনেক খেলোয়াড়কে দেখার সুযোগ আছে। এখান থেকে পরবর্তী বছরের জন্য আমরা ক্রিকেটার খুঁজতে পারব।’
Comments