নারায়ণগঞ্জে নৈশপ্রহরীর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় একটি বাড়ি থেকে আবুল কালাম (৫০) নামে এক নৈশপ্রহরীর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করতে আসলে নৈশপ্রহরী বাধা দেওয়ায় এ ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা পুলিশের।
এ ঘটনায় কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।
আজ (২১ আগস্ট) সকালে ফতুল্লার পূর্ব শাহী মহল্লার এমএ মতিনের বাড়ি থেকে ওই মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত আবুল কালাম বরিশাল চাতপাশা এলাকার মৃত আব্দুল গনি ঢালির ছেলে। তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে ফতুল্লার শাহীবাজার এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন।
বাড়ির মালিকের বরাত দিয়ে ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেন জানান, ঈদ উপলক্ষে গত ১৫ আগস্ট বাড়ির লোকজন গ্রামে চলে যায়। সেখান থেকে বুধবার সকালে বাড়ি ফিরে একটি কক্ষে নৈশপ্রহরী আবুল কালামের মরদেহ পরে থাকতে দেখে পুলিশকে জানায়। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
আসলাম হোসেন বলেন, “নিহতের মুখে স্কচটেপ পেঁচানো, গলাকাটাসহ শরীরের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করতে আসলে নৈশপ্রহরী বাধা দেওয়ায় ধারালো কোনো অস্ত্র দিয়ে এ ঘটনা ঘটিয়েছে। তবে চুরি কিংবা ডাকাতির কোনো আলামত এখানে পাওয়া যায়নি। এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি। হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হবে।”
বাড়ির মালিকের মেয়ের জামাতা এনায়েত হোসেন বলেন, “ঈদের ছুটিতে সবাই বাড়িতে চলে যাবো সেজন্য ১৫ আগস্ট নৈশপ্রহরী আবুল কালামকে বাড়ি দেখাশোনার জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু ঈদের ছুটি শেষে বুধবার সকালে বাড়ি ফিরে এসে দেখি ঘরের দরজা খোলা আছে। এছাড়াও ঘরের ভেতরে আসবাবপত্রের কাপড়সহ বিভিন্ন জিনিস এলোমেলোভাবে পড়ে আছে। তিন রুমের মধ্যে দুইটিতে একই অবস্থায় আর অন্যটিতে আবুল কালামের রক্তাক্ত মরদেহ পরে আছে। এসব দেখে প্রথমে স্থানীয়দের ও পরে পুলিশকে জানাই। হতে পারে ডাকাতি করতে এসে আবুল কালামকে ডাকাতরা হত্যা করেছে।”
Comments