প্রত্যাশার চাপ বরং উপভোগ করবেন ডমিঙ্গো

আগের দিন বিকেলে এসেছেন ঢাকায়। রাতটা পার করেই বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো চলে এলেন মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। কন্ডিশনিং ক্যাম্পে থাকা ক্রিকেটারদের সঙ্গে হালকা মেজাজের আলাপ চলল। পরে জানালেন আগামী ক’দিন কেটে যাবে এমন আলাপ পরিচয়েই। তারপর কাজ শুরু করে সবচেয়ে বেশি যেটা নিয়ে ভাবার কথা, সেই প্রত্যাশার চাপ না-কি সবচাইতে বেশি উপভোগ করবেন এই দক্ষিণ আফ্রিকান।
Russell Domingo & Charl Langeveldt
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

আগের দিন বিকেলে এসেছেন ঢাকায়। রাতটা পার করেই বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো চলে এলেন মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। কন্ডিশনিং ক্যাম্পে থাকা ক্রিকেটারদের সঙ্গে হালকা মেজাজের আলাপ চলল। পরে জানালেন আগামী ক’দিন কেটে যাবে এমন আলাপ পরিচয়েই। তারপর কাজ শুরু করে সবচেয়ে বেশি যেটা নিয়ে ভাবার কথা, সেই প্রত্যাশার চাপ না-কি সবচাইতে বেশি উপভোগ করবেন এই দক্ষিণ আফ্রিকান।

মিরপুরের মাঝ উইকেটে বড় শট খেলছিলেন মুশফিকুর রহিম। মাহমুদউল্লাহ আর আবু হায়দার রনি ছুঁড়ছিলেন বল। ডমিঙ্গো এগিয়ে যেতেই হাই-হ্যালো হয়ে গেল সবার সঙ্গে। দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম দিন অনুমিতভাবেই সবার সঙ্গে আলাপ পরিচয়েই কেটেছে তার। জানালেন আগামী ক’দিন এরকম যোগাযোগ স্থাপনেই কাটবে তার, ‘আমার প্রাথমিক লক্ষ্য হচ্ছে খেলোয়াড়দের সঙ্গে যোগাযোগ তৈরি করা। খেলোয়াড়দের জানা, এক বা দুই সপ্তাহর মধ্যে একটা সম্পর্ক তৈরি করা। আমার মনে হয় এটা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। তাদের আস্থা অর্জনের চেষ্টা করতে হবে। দেখি খেলোয়াড়রা তাদের কাজটা কীভাবে করে। আগামী কয়েকদিন আসলে একটা পর্যবেক্ষকের ভূমিকায় থাকব, দেখব কে কি করে, শিখতে চাইব ব্যাপারগুলো।’

দায়িত্ব নিয়ে বাংলাদেশে আসার আগেই প্রায় এক ডজন সাক্ষাৎকার দিতে হয়েছে তাকে। বাংলাদেশে নেমে বিমানবন্দরেই দেখেছেন গণমাধ্যমের চাপ, টের পেয়েছেন মানুষের প্রত্যাশার চাপও। প্রত্যাশার সঙ্গে একটু নড়চড় হলেই এখানে চেয়ার নিয়ে টান পড়ে। তাই আগের কোচেরা পারেননি চুক্তির মেয়াদ শেষ করতে। স্বাভাবিক কারণে এই চাপ অনেকের জন্য উদ্বেগের কারণ। কিন্তু ডমিঙ্গো বলছেন এটা বরং উপভোগ করবেন তিনি, ‘৫ বছর দক্ষিণ আফ্রিকার কোচ হিসেবে কাজ করেছি। ওখানেও বিপুল প্রত্যাশা ছিল। বাংলাদেশেও তাই। আমি রোমাঞ্চিত। আসলে প্রত্যাশার চাপ নিতে আমি অভ্যস্ত। যদিও গত দুই বছর ধরে ওদের মূল দলের সঙ্গে ছিলাম না। "এ" দল নিয়ে কাজ করছিলাম। আমি ক্রিকেট নিয়ে কাজ করতে, নির্বাচন , কৌশল বাছাই করতে মুখিয়ে আছি।

‘কোচ হিসেবে চাপকে জয় করেই আমরা এগিয়ে যাই। উপভোগ করি প্রত্যাশার চাপ। আমরা যদি আগেই জেনে যাই যে আমরা সব ম্যাচ জিতবই, তাহলে সেটা হবে দুনিয়ার সবচেয়ে বিরক্তিকর কাজ। চাপ যখন আসবে, চ্যালেঞ্জ আসে তখন। উপভোগের ব্যাপারটাও তখন বেশি।’

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

5h ago