সুয়ারেজকে চিনতে গুগল করতে হয়েছিল ক্যারলকে

২০১১ সালের ৩১ জানুয়ারি। বেশ শোরগোল ফেলেই লিভারপুলে যোগ দিয়েছিলেন ইংলিশ ফরোয়ার্ড অ্যান্ডি ক্যারল। নিউক্যাসেল ইউনাইটেড থেকে তাকে কিনতে ৩৫ মিলিয়ন পাউন্ড খরচ করেছিল লিভারপুল। যা তখনকার সময়ে ক্লাবের সর্বোচ্চ ট্র্যান্সফারের রেকর্ডও বটে। ধারণা করা হয়েছিল ইংল্যান্ডের আগামী সুপারস্টার হতে যাচ্ছেন তিনি।
ছবি: এএফপি

২০১১ সালের ৩১ জানুয়ারি। বেশ শোরগোল ফেলেই লিভারপুলে যোগ দিয়েছিলেন ইংলিশ ফরোয়ার্ড অ্যান্ডি ক্যারল। নিউক্যাসেল ইউনাইটেড থেকে তাকে কিনতে ৩৫ মিলিয়ন পাউন্ড খরচ করেছিল লিভারপুল। যা তখনকার সময়ে ক্লাবের সর্বোচ্চ ট্র্যান্সফারের রেকর্ডও বটে। ধারণা করা হয়েছিল ইংল্যান্ডের আগামী সুপারস্টার হতে যাচ্ছেন তিনি।

ক্যারল যেদিন লিভারপুলে যোগ দেন, সেদিন আয়াক্স থেকে উরুগুয়ের অখ্যাত এক ফরোয়ার্ডকেও দলে ভেড়ায় দলটি। আর খেলোয়াড়টি ছিলেন লুইস সুয়ারেজ। বর্তমানে বার্সেলোনার অন্যতম ভরসার নামও সুয়ারেজ। যিনি লিভারপুল ছাড়ার আগে ইংলিশ লিগে এক আসরে সর্বোচ্চ গোল করার রেকর্ডটিও গড়ে এসেছিলেন। অথচ এ ফুটবলারকে চিনতে তখন গুগলের আশ্রয় নিয়ে হয়েছিল ক্যারলকে।

সম্প্রতি আবার পুরনো ক্লাব নিউক্যাসেলে ফিরেছেন ক্যারল। যোগ দেওয়ার পর এনইউএফসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ক্যারল বলেছেন, 'যখন আমি লিভারপুলে যেতে হেলিকপ্টারে উঠেছি তখন আমি স্টিভ জেরার্ড, জিমি কারাঘেরসহ কিছু খেলোয়াড়কে চিনতাম। আমার এজেন্ট আমাকে জানায় দলের বাকী খেলোয়াড়দের চিনে নিতে। তখন আমি গুগলের সাহায্য নিয়ে সবাইকে চিনেছি।'

সুয়ারেজকে চিনতেন কি জানতে চাইলে সরাসরি উত্তর না দিলেও বুঝিয়ে দেন যে তাকে চিনতেন না ক্যারল, 'এটা খুব বাজে কারণ সে (লিভারপুল) লিভারপুলের খেলোয়াড়, কিন্তু এটা অসম্মানেরও নয়।'

অবশ্য সুয়ারেজকে তখন না চেনার যুক্তিও দিয়েছেন ক্যারল, 'আমি কখনোই ফুটবল খেলা দেখতাম না, তাই জানতাম না। নিউক্যাসেলে থাকতে আমি বাসায় গিয়ে সতীর্থদের সঙ্গে আড্ডা দিতাম, ফুটবল খেলতাম এবং বাইরে ঘুরতে যেতাম। ফুটবল না দেখায় আমি তেমন কোন খেলোয়াড়কেই চিনতাম না।'

খুব প্রতিশ্রুতি নিয়ে লিভারপুলে এলেও কার্যত কিছুই করতে পারেননি ক্যারল। সে বছর অলরেডদের হয়ে ৪৪টি ম্যাচ খেলে মাত্র ৬টি গোল দেন তিনি। পরে বাধ্য হয়ে তাকে ওয়েস্ট হ্যামে ধারে পাঠায় লিভারপুল। অন্যদিকে ক্রমেই তখন লিভারপুলের মূল খেলোয়াড়ে পরিণত হতে থাকেন সুয়ারেজ। যদিও ভাঙা মৌসুমে মাত্র ১৩টি ম্যাচে সুযোগ পান তিনি। যার বেশির ভাগই ছিল বদলী খেলোয়াড় হিসেবে শেষ দিকে। তবে তাতেই ৪ গোল করে নিজের জাত চেনান।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

5h ago