কমিটির মেয়াদ শেষ হলেও নির্বাচন অনিশ্চিত!

BFDC
ছবি: সংগৃহীত

শিল্পী সমিতির নির্বাচন ঘিরে অনেক প্রশ্ন বিএফডিসিতে। চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট মানুষের মুখে এখন একটিই কথা- কেনো দেরি হচ্ছে এই নির্বাচন? চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে চলতি বছরের ২৪ মে। মেয়াদ শেষ হওয়ার তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন দেওয়ার নিয়ম থাকলেও বর্তমান কমিটি কোনো ধরনের তফসিল ঘোষণা করেনি। তারাই এখনো সমিতি পরিচালনা করছেন।

সমিতির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ৯০ দিনের মধ্যেই নির্বাচন হতে হবে। সে হিসাবে আগামী ২৪ আগস্টের মধ্যে ২০১৯-২০ মৌসুমের নির্বাচন করা বাধ্যতামূলক। যদিও ২০১৫-১৬ সালের নির্বাচিত কমিটি গঠনতন্ত্র উপেক্ষা করে এক মাস পর নির্বাচন দিয়েছিলো।

শিল্পী সমিতির নির্বাচন না হওয়ার কারণ হিসেবে জানা গেছে বর্তমান সভাপতি মিশা সওদাগরের যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান এবং শোকের মাসের জন্য নির্বাচনে দেরি হচ্ছে।

শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান বলেন, “গঠনতন্ত্র অনুযায়ী আগস্টের মধ্যেই নির্বাচন হওয়ার কথা। কিন্তু আগস্ট শোকের মাস। তাই এক মাস পিছিয়ে সেপ্টেম্বরে নির্বাচন হতে পারে।”

বর্তমান কমিটির সহসভাপতি রিয়াজ বলেন, “আমাদের শেষ বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছিলো- আমরা তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন দেবো। গত মাসে এজিএমের তারিখও ঠিক করা হয়। কিন্তু এজিএম হয়নি। পরে জানতে পেরেছি, এজিএমের তারিখ পরিবর্তন করা হয়েছে। কমিটির এমন দায়িত্বহীনতা সত্যি দুঃখজনক।”

অভিনেতা ওমর সানী বলেন, “এখন পর্যন্ত নির্বাচন নিয়ে কোনো কথা শুনিনি। যারা কমিটিতে রয়েছেন তারা বলছেন- শোকের মাসের জন্য নির্বাচন আগামী মাসে অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু, আগামী মাসে নির্বাচন হলেও বার্ষিক সাধারণসভা (এজিএম) এখনো কেনো অনুষ্ঠিত হচ্ছে না? অথচ আগেরবারের কমিটি ২১ দিন দেরি হওয়াতে সমালোচনার ঝড় বয়ে গিয়েছিলো।”

অভিনেতা অমিত হাসান বলেন, “এখনো তফসিল ঘোষণা করা হয়নি। ঘোষণার সাত দিন পর তো নির্বাচন হয় না। তার মানে এখনো যেহেতু তফসিল ঘোষণা হচ্ছে না, সুতরাং আগামী সেপ্টেম্বরেও নির্বাচন অনিশ্চিত।”

Comments

The Daily Star  | English

BNP sticks to demand for polls by December

In a meeting with Chief Adviser Prof Muhammad Yunus last night, the BNP restated its demands that the next general election be held by December and the government immediately announce a roadmap to that end.

1h ago