টেকনাফে যুবলীগ নেতা হত্যায় অভিযুক্ত ২ রোহিঙ্গা ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত

কক্সবাজারের টেকনাফে যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যায় অভিযুক্ত দুই রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী পুলিশের সঙ্গে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন। ফারুক হত্যা মামলার আসামি ধরতে টেকনাফের হ্নীলা জাদিমুড়া পাহাড়ের পাদদেশে অভিযানে গেলে পুলিশের সঙ্গে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
jubo league leader
যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক। ছবি: সংগৃহীত

কক্সবাজারের টেকনাফে যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যায় অভিযুক্ত দুই রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী পুলিশের সঙ্গে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন। ফারুক হত্যা মামলার আসামি ধরতে টেকনাফের হ্নীলা জাদিমুড়া পাহাড়ের পাদদেশে অভিযানে গেলে পুলিশের সঙ্গে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। 

ঘটনাস্থল থেকে দুটি এলজি (আগ্নেয়াস্ত্র), নয়টি শর্টগানের তাজা কার্তুজ ও ১২ রাউন্ড কার্তুজের খোসা উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ।

নিহতরা হলেন- মিয়ানমারের আকিয়াব জেলার মংডু এলাকার সাব্বির আহমেদের ছেলে মুহাম্মদ শাহ ও রাসিদং থানা এলাকার সিলখালির আবদুল আজিজের ছেলে আবদু শুক্কুর। তারা টেকনাফের হ্নীলার জাদিমুড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা ছিলেন।

ওসি প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, “বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ির সামনে থেকে তুলে নিয়ে হ্নীলা ইউনিয়নের নয় নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি ওমর ফারুককে হত্যা করে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় টেকনাফ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।”

তিনি জানান, মামলার এজাহারে উল্লেখিত পলাতক আসামিরা জাদিমুড়া পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থান করছে এমন সংবাদে তদন্ত কর্মকর্তা এস আই রাসেল আহমদ গতকাল রাত দেড়টার দিকে অভিযানে যান। ঘটনাস্থলে পৌঁছালে আসামিরা পুলিশের উপস্থিত টের পেয়ে এলোপাতাড়ি গুলি করতে থাকে। সন্ত্রাসীদের ছোড়া গুলিতে পুলিশের এসআই মনসুর, এএসআই জামাল ও কনস্টেবল লিটন গুলিবিদ্ধ হন। জীবন ও সরকারি মালামাল রক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা ৪০ রাউন্ড গুলি করে।

একপর্যায়ে সন্ত্রাসীরা পিছু হটে পাহাড়ের গভীরে পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে ফারুক হত্যা মামলার আসামি মুহাম্মদ শাহ আলম ও আবদু শুক্কুরকে  গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়।

গুলিবিদ্ধ শাহ আলম ও শুক্কুরকে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেন। আজ (২৪ আগস্ট) ভোরে তাদের নিয়ে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পৌঁছালে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। ময়নাতদন্তের জন্য তাদের মরদেহ কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় পৃথক আইনে মামলা করা হচ্ছে বলেও জানান ওসি।

আরও পড়ুন:

কক্সবাজারে গুলি করে যুবলীগ নেতাকে হত্যা

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

7h ago