ইতিহাস গড়তে পারল না আবাহনী

প্রথমার্ধে এপ্রিল টোয়েন্টি ফাইভ এসসিকে বেঁধে রেখেছিল ঢাকা আবাহনী লিমিটেড। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে আর পেরে ওঠেনি মারিও লেমোসের শিষ্যরা। গোল হজম করেছে দুটি। তাতে হয়েছে স্বপ্নভঙ্গ। প্রথমারের মতো এএফসি কাপের ইন্টার-জোন ফাইনালে খেলার সম্ভাবনা জাগিয়েও ব্যর্থ হতে হয়েছে আকাশি-নীলদের।
abahani
ঢাকা আবাহনী লিমিটেড। ছবি: আবাহনীর ফেসবুক পেজ থেকে সংগৃহীত

প্রথমার্ধে এপ্রিল টোয়েন্টি ফাইভ এসসিকে বেঁধে রেখেছিল ঢাকা আবাহনী লিমিটেড। কিন্তু দ্বিতীয়ার্ধে আর পেরে ওঠেনি মারিও লেমোসের শিষ্যরা। গোল হজম করেছে দুটি। তাতে হয়েছে স্বপ্নভঙ্গ। প্রথমারের মতো এএফসি কাপের ইন্টার-জোন ফাইনালে খেলার সম্ভাবনা জাগিয়েও ব্যর্থ হতে হয়েছে আকাশি-নীলদের।

বুধবার (২৮ অগাস্ট) উত্তর কোরিয়ার ক্লাব এপ্রিল টোয়েন্টি ফাইভের বিপক্ষে ইন্টার-জোন সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে মাঠে নেমেছিল আবাহনী। খেলা শুরু হয়েছিল বাংলাদেশ সময় বেলা তিনটায়। ম্যাচে জয় না হোক অন্তত ড্র করতে পারলেই ফাইনালের টিকিট পেত আবাহনী। কিন্তু কিম ইউ সংয়ের জোড়া গোলে তাদেরকে ২-০ গোলে হারিয়েছে এপ্রিল টোয়েন্টি ফাইভ।

আগের লেগে ঢাকায় আবাহনী জিতেছিল ৪-৩ গোলে। কিন্তু তাদেরকে বিদায় করে দুই লেগ মিলিয়ে ৫-৪ অগ্রগামিতায় ফাইনালে উঠে গেছে উত্তর কোরিয়ার দলটি।

উত্তর কোরিয়ায় পা রাখার পর থেকেই আবাহনীর খেলোয়াড়-কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। কেননা দেশটিতে ইন্টারনেট ব্যবহারে নানা বাধ্যবাধকতা ও কঠিন নিয়মকানুন রয়েছে। তাই দেশের ফুটবল ভক্তদের আগ্রহ থাকলেও এ ম্যাচের সার্বক্ষণিক আপডেট জানাটা বা লাইভ দেখাটা তাদের জন্য একরকম অসম্ভবই ছিল।

এদিন প্রথমার্ধে দুদলের মধ্যে লড়াই হয়েছে বেশ। তবে জালের দেখা পায়নি কেউ। ফলে শুরুর স্কোরলাইন নিয়েই বিরতিতে যায় তারা। দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরুর চার মিনিটের মধ্যে লক্ষ্যভেদ করে স্বাগতিকদের এগিয়ে নেন কিম। ৬৭ মিনিটে আবাহনীর মামুন মিয়া লাল কার্ড দেখলে দশ জনের দলে পরিণত হয় তারা।

একজন খেলোয়াড় কম নিয়ে এরপর আর সমতায় ফেরা হয়ে ওঠেনি আবাহনীর। উল্টো তাদেরকে চেপে ধরে এপ্রিল টোয়েন্টি ফাইভ। আর ৮৩তম মিনিটে ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় গোলের দেখা পেয়ে যান কিম। ফলে ২-০ ব্যবধানে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে উত্তর কোরিয়ার ১৮ বারের লিগ চ্যাম্পিয়নরা।

Comments