খাগড়াগড় বিস্ফোরণ মামলার সাজা ঘোষণা শুক্রবার
পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার বহুল আলোচিত খাগড়াগড় বিস্ফোরণ মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়া ১৯ অপরাধীর সাজা আগামীকাল (৩০ আগস্ট) ঘোষণা করা হবে। দোষীদের মধ্যে চার জন বাংলাদেশি।
কলকাতার নগর ও দায়রা আদালতে এই সাজা ঘোষণা করবেন বিচারক সিদ্ধার্থ কাঞ্জিলাল।
গতকাল (২৮ আগস্ট) সাজা ঘোষণার কথা থাকলেও বিচারক নতুন করে আগামীকাল দিন ধার্য করেন। এর আগে এই মামলার ৩১ জন অভিযুক্তের মধ্যে ১৯ জন নিজেদের দোষ স্বীকার করেন।
এই মামলার সংশ্লিষ্ট একজন আইনজীবী নাম প্রকাশ না করার শর্তে দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, “ভারতের জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ ২০১৪ সালের ৪ অক্টোবর মামলাটির তদন্ত শুরু করে। প্রায় পাঁচ বছরে ধাপে ধাপে ভারতের বিভিন্ন জায়গা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ৩১ জনকে। তাদের মধ্যে এনআইয়ের বিশেষ আদালতে ১৯ জন নিজেদের দোষ স্বীকার করেন।”
তিনি আরও জানান, আটক ব্যক্তিদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ১২০ ধারায় অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র এবং রাষ্ট্রদ্রোহীতার ধারায় মামলা করা হয়। তদন্তকারী সংস্থা চার দফায় মামলাটির চার্জশিট প্রদান করে। এনআইয়ের দেওয়া সেই চার্জশিটেই বলা হয়, ভারত ও বাংলাদেশে “শরিয়তি শাসন” প্রতিষ্ঠা করাই ছিলো খাগড়াগড় বিষ্ফোরণে জড়িত জেএমবি সদস্যদের প্রধান উদ্দেশ্য।
এনআইএস সূত্র জানায়, খাগড়াগড় বিষ্ফোরণের প্রধান অভিযুক্ত হাবিবুর রহমান শেখকে জুন মাসে ব্যাঙ্গালুরু থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে ধরতে এনআইএয়ে ১০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছিলো।
২০১৪ সালে ২ অক্টোবর কলকাতা থেকে আনুমানিক দুইশো কিলোমিটার দূরে বর্ধমান জেলার খাগড়াগড় এলাকয় একটি বাড়িতে বিস্ফোরণের ঘটনায় শাকিল আহমেদ ও সোভন মণ্ডল নামের দুজন বাংলাদেশি জেএমবির সদস্যের মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় আরও আহত হন ছয় জন। ঘটনার পরপরই এলাকায় তদন্ত শুরু করে এনআইএ এবং ৫৫টি ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস, আরডিএক্স এবং প্রচুর সংখ্যক সিমকার্ড উদ্ধার করে।
এনআইএ এবং বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় বেশ কিছু গোয়েন্দা সংস্থা যৌথভাবে খাগড়াগড় বিষ্ফোরণের তথ্য সহযোগিতা করে। এবং উভয়পক্ষই যৌথভাবে আটককৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে। বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধি দল খাগড়াগড় পরিদর্শন এবং কলকাতা এনআইয়ের দপ্তরে গ্রেপ্তারকৃতদের জেরাও করে ২০১৫ সালে।
Comments