মিয়ানমারের ওপর চাপ বৃদ্ধি করুন: কূটনীতিকদের উদ্দেশে পররাষ্ট্রমন্ত্রী

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া আটকে যাওয়ার জন্য মিয়ানমার সরকারকে দায়ী করেছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেছেন, রোহিঙ্গাদের আস্থাহীনতা দূর করার দায়িত্ব মিয়ানমারকেই পালন করতে হবে।
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় কূটনীতিকদের ব্রিফ করার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। ছবি: স্টার

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া আটকে যাওয়ার জন্য মিয়ানমার সরকারকে দায়ী করেছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেছেন, রোহিঙ্গাদের আস্থাহীনতা দূর করার দায়িত্ব মিয়ানমারকেই পালন করতে হবে।

সব প্রস্তুতি নিয়েও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরু করতে না পারার পর আজ বৃহস্পতিবার ঢাকায় কূটনীতিকদের ব্রিফিং করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় হওয়া এই ব্রিফিংয়ে জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন। সেখান থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের জন্য সার্বিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে না পারা মিয়ানমারেরই ব্যর্থতা।

মিয়ানমার সরকারকে তাদের নিজেদের নাগরিকদের ফিরিয়ে নিতে বাধ্য করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আরও চাপ তৈরি করার আহ্বান জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানের জন্য বাংলাদেশের পাশে রয়েছে পুরো পৃথিবী।

কক্সবাজার ও খাগড়াছড়ির শরণার্থী ক্যাম্পে থাকা তালিকাভুক্ত রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে ফিরে যাওয়ার জন্য গত ২২ আগস্ট প্রস্তুতি নেওয়া হলেও স্বেচ্ছায় কোনো রোহিঙ্গা ফিরে যেতে রাজি হননি। রোহিঙ্গাদের মিয়ানমার সীমান্তে নিয়ে যাওয়ার জন্যে বাস প্রস্তুত রাখা হলেও ফিরে যাওয়ার ব্যাপারে কেউ আগ্রহী হননি। এর পর গত ২৫ তারিখ কক্সবাজারে শরণার্থী শিবিরে মহাসমাবেশ করে রোহিঙ্গারা। মিয়ানমারে নাগরিকত্ব ও নিরাপত্তা থাকার প্রেক্ষিতেই কেবল রোহিঙ্গারা ফিরবে বলে সেদিন ঘোষণা দেন নেতারা। এর পরই সর্বশেষ পরিস্থিতি সম্পর্কে আজ কূটনীতিকদের ব্রিফ করলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

আরও পড়ুন: কোনো রোহিঙ্গা ফিরে যেতে রাজি নন

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

5h ago