মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে পদ্মাগর্ভে দুই শতাধিক বাড়ি
পদ্মা নদীতে পানি কমতে থাকায় মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে তীব্র হয়েছে ভাঙন। গত এক সপ্তাহে নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে ধুলশুরা ইউনিয়নের দুই শতাধিক বাড়িঘর। ভেঙে গেছে ধুলশুরা সৈয়দনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি। হুমকির মুখে রয়েছে আরও বহু ঘরবাড়িসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
ভাঙনরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ড এখনো কোন কাজ শুরু করেনি। এলাকাবাসী জানান, এভাবে ভাঙন অব্যাহত থাকলে কয়েকটি গ্রামের আরও কয়েকশ ঘরবাড়ি, গাছপালা, ফসলী জমি ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নদীতে বিলীন হবে।
সৈয়দনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রিয়াসাত আলী বলেন, জেলার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভাঙনপ্রবণ হরিরামপুর উপজেলা। পদ্মা ও যমুনা নদীর পানি বাড়ার সময় এবং পানি কমার সময় নদীতীরবর্তী এলাকায় ভাঙন দেখা দেয়। পানি উন্নয়ন বোর্ডের পক্ষ থেকে ভাঙনরোধে জিও ব্যাগ ফেলা হলেও প্রতিনিয়ত ভাঙছে নদীর পাড়।
এলাকাবাসী বলেন, বাড়িঘর সরাতে না সরাতেই পাড় ভেঙে যাচ্ছে। মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়েছে। আশ্রয় না পেয়ে অনেকেই অন্যের জায়গায় ঠাঁই নিয়েছে। আর যারা ভাঙনের মুখে রয়েছে তারাও আতঙ্কিত শেষ সম্বলটুকুর চিন্তায়।
ধুলশুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদ খান বলেন, তার ইউনিয়নে দুই শতাধিক বাড়িঘর নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। তার নিজের বাড়িও হুমকির মুখে রয়েছে। এই পর্যন্ত ভাঙনরোধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া না হলে স্কুল-মাদ্রাসা, মসজিদ ও হাট-বাজার নদীগর্ভে চলে যাবে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নিলুফার রহমান বলেন, ধুলশুরা ইউনিয়নের সৈয়দনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতল ভবনটি আংশিক ভেঙে যাওয়ায় পার্শ্ববর্তী একটি মাদ্রাসায় শিক্ষার্থীদের পাঠদান চলছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবে মওলা মেহেদী হাসান বলেন, বিদ্যালয়টি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় তিনি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলেছেন। দুই একদিনে মধ্যেই সেখানে জিও ব্যাগ ফেলা হবে।
Comments