নাগরিকপঞ্জি, আসাম জুড়ে আতঙ্ক

আসামে অনুপ্রবেশকারী বিদেশি নাগরিক কারা সরকারিভাবে তার ঘোষণা হবে আগামীকাল শনিবার। কিন্তু নাগরিকত্ব যাচাইয়ের কাজ এখনও সম্পূর্ণ করতে পারেনি এই কাজের সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তারা।
নাগরিক তালিকায় নাম রয়েছে কি না দেখতে আসামে নগাও জেলায় সরকারি অফিসের বাইরে উদ্বিগ্ন মানুষের ভিড়। রয়টার্স ফাইল ছবি

আসামে অনুপ্রবেশকারী বিদেশি নাগরিক কারা সরকারিভাবে তার ঘোষণা হবে আগামীকাল শনিবার। কিন্তু নাগরিকত্ব যাচাইয়ের কাজ এখনও সম্পূর্ণ করতে পারেনি এই কাজের সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তারা। চূড়ান্ত তালিকা ঘোষণার এক দিন আগেও দলিল দস্তাবেজ নিয়ে ডাকা হচ্ছে সন্দেহের তালিকায় থাকা বাঙালিদের। এতেই প্রশ্ন উঠছে শেষ মুহূর্তে যাদের শুনানিতে ডাকা হচ্ছে তাদের নিয়ে কী সিদ্ধান্ত হবে শেষ পর্যন্ত?

আসামের গণমাধ্যমগুলোর খবরে প্রকাশ, বৃহস্পতিবারও রাজ্যের বহু মানুষকে নোটিশের আদেশ অনুযায়ী শুনানিতে হাজির হতে হয়েছে যাদের আবার বেশিরভাগই সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের। তাদের পূর্ব পুরুষের নাগরিকত্ব নিয়ে নানা রকম প্রমাণপত্র দেখতে চাওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শুক্রবারও নাগরিকত্ব যাচাইয়ের প্রক্রিয়া জারি থাকবে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে, একেবারে শেষ মুহূর্তে শুনানি নিয়ে এনআরসিতে কারও নাম অন্তর্ভুক্তি বা ছাটাই করা কী করে সম্ভব? কারণ প্রকাশ করার আগে এই তালিকায় কারও নাম চূড়ান্ত করতে অনেকটা সময়ের প্রয়োজন হয়।

কিন্তু সেই সংশয় রেখেই শুনানি পর্ব এখনও চালিয়ে যাচ্ছেন আসামের নাগরিকপঞ্জি কর্তৃপক্ষ।

নাগরিকপঞ্জি প্রকাশের মাত্র একদিন আগে এভাবে শুনানিতে সংখ্যালঘুদের ডেকে এনে জেরা করা নিয়ে সংশয় ব্যক্ত করেছেন অল অসম মাইনরিটি স্টুডেন্টস ইউনিয়ন 'আমসু'। সংগঠনটির একজন নেতা আজিজুর রহমান আসামের স্থানীয় বাংলা পত্রিকা দৈনিক যুগশঙ্খকে বলেছেন, যেভাবে শেষ মুহূর্তে এসেও শুনানি চালানো হচ্ছে তাতে এনআরসি কতটা শুদ্ধ হবে সেই সংশয় রয়েছে আমাদের। এব্যাপারে উচ্চ আদালতের ওপর আস্থা থাকার কথা ব্যক্ত করে তিনি বলেন, বিদেশির সংখ্যা বাড়াতে ইচ্ছাকৃতভাবে কারও নাম কর্তন করা হলে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার পাশাপাশি নাগরিকপঞ্জি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধেও তারা তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলবেন।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

9h ago