আফগানদের বিপক্ষে বল হাতে উজ্জ্বল আল-আমিন
ম্যাচটা প্রস্তুতি নেওয়ার বলেই হয়তো পার পেয়ে গেল বিসিবি একাদশ। তা না হলে যেভাবে শুরু করেছিলেন দুই আফগান ওপেনার ইহসানউল্লাহ ও ইব্রাহিম জাদরান, তাতে হয়তো বড় ভোগান্তিই কপালে ছিল তাদের। স্বেচ্ছায় অবসর নিয়ে আউট হয়েছেন তারা। ফলে শুরুর ধাক্কাটা সামলানো গিয়েছে। এরপর অবশ্য বিধ্বংসী রূপে আবির্ভূত হন আল-আমিন জুনিয়র। তাতে উড়তে থাকা আফগানরা হঠাৎই ব্যাকফুটে চলে যায়। প্রথম দিনে বিসিবি একাদশের সেরা প্রস্তুতিটা সেরে নিলেন এ তরুণই।
ব্যাটিংটাই মূল কাজ আল-আমিনের। মাঝে মধ্যে দলের প্রয়োজনে টুকটাক বোলিংও করেন। তবে এদিন পুরোদুস্তর বোলার বনে গেলেন তিনি। টেকনিক্যালি আফগানদের সবচেয়ে নিখুঁত ব্যাটসম্যান রহমত শাহকে এনামুল হক বিজয়ের তালুবন্দি করে শিকারের শুরু করেন তিনি। হাসমতউল্লাহ শাহিদিকে ফেলেন এলবিডাব্লিউর ফাঁদে। আর সাবেক অধিনায়ক আসগর আফগানকে তো বোল্ডই করে দেন। ইকরাম আলি খিলের ক্যাচ ধরেছেন নিজেই। সবমিলিয়ে দিন শেষে তার বোলিং ফিগার ১৮-৩-৫১-৪।
অথচ টস জিতে ব্যাটিং বেছে নেওয়া আফগানিস্তানের শুরুটা ছিল দুর্দান্ত। দুই ওপেনার উপহার দেন শতরানের জুটি। এরপর বাকী ব্যাটসম্যানদের প্রস্তুতির সুযোগ করে দিতে এ দুই ওপেনারকে বিশ্রাম দেয় দলটি। তবে মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যানরা সে অর্থে জ্বলে উঠতে পারেননি। মূলত আল-আমিনের বোলিং ঘূর্ণিতে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে তারা। ফলে প্রথম দিন শেষে ৮ উইকেটে ২৪২ রান করে সফরকারীরা।
দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬২ রান করেন ইহসানউল্লাহ। ৫২ করেন আরেক ওপেনার ইব্রাহিম। এছাড়া নবির ব্যাট থেকে আসে ৩৩ রান। বিসিবির পক্ষে আল-আমিন ছাড়াও দারুণ বোলিং করেছেন সুমন খান। বল হাতে আফগান শিবিরে প্রথম আঘাত এসেছিল তার হাত ধরেই। শেষ পর্যন্ত ২১ রানের খরচায় নেন ২টি উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
আফগানিস্তান: ৮৮.১ ওভারে ২৪২/৮ (ইহসান ৬২, ইব্রাহিম ৫২, জাভেদ ৩, রহমত ৭, হাসমত ২৬, আসগর ১৬, নবি ৩৩, ইকরাম ১, আফসার ২০* রশিদ ৬*; মেহেদী ০/৩৫, মানিক ০/২৮, শাকিল ০/১৯, সুমন ২/১৭, লিখন ০/৬৮, গালিব ০/১৮, আল-আমিন ৪/৫১)।
Comments