রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার ‘অলস অর্থ’ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দিতে হবে
রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার ‘অলস অর্থ’ যেনো সরকার উন্নয়ন কাজে ব্যবহার করতে পারে, সেজন্য গতকাল একটি খসড়া বিলে অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মাদ শফিউল আলম জানান, ৬৮টি রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের ২ লাখ ১২ হাজার ১০০ কোটি টাকা বিভিন্ন ব্যাংকে অলস পড়ে আছে।
এই প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) কর্তৃক ব্যাংকে রক্ষিত অলস টাকার পরিমাণ ২১ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা, বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজ সম্পদ করপোরেশনের (পেট্রোবাংলা) ১৮ হাজার ২০৪ কোটি টাকা, ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির (ডিপিডিসি) ১৩ হাজার ৪৫৪ কোটি টাকা, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের ৯ হাজার ৯১৩ কোটি টাকা এবং রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) জমা আছে ৪ হাজার ৩০ কোটি টাকা।
শফিউল আলম বলেন, “এই টাকাগুলোর আরও ব্যবহারের জন্য বিনিয়োগ করা হচ্ছে না। তাই বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে অর্থায়ন ও জনকল্যাণমূলক কাজে সহায়তার জন্য সরকার প্রস্তাবিত নীতির মাধ্যমে ওই সংস্থাসমূহের উদ্বৃত্ত অর্থ সরকারি কোষাগারে জমা নিতে চায়।”
তিনি জানান, প্রস্তাবিত আইন অনুযায়ী অলস টাকার মধ্যে সংস্থাগুলোর পরিচালন ব্যয়ের টাকা তাদের নিজস্ব তহবিলে থাকবে। তারপর আপত্কালীন ব্যয়ের জন্য পরিচালন ব্যয়ের আরও ২৫ শতাংশ সংরক্ষণ করতে পারবে। প্রতিষ্ঠানের পেনশন ও প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকাও রাখা যাবে। এরপর যে টাকা উদ্বৃত্ত থাকবে, সেটি সরকারি কোষাগারে জমা নেওয়া হবে।
মন্ত্রিসভার এমন সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় ব্যাংক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এ ধরনের আইন দেশের তারল্য সঙ্কটে ভোগা ব্যাংকিং খাতে আরও কঠোর আঘাত হানবে।
বেসরকারি ব্যাংকের নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) সভাপতি সৈয়দ মাহবুবুর রহমান বলেন, “সরকার যদি ব্যাংক থেকে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে অর্থ সরিয়ে নেয়, তবে চলমান তারল্য সঙ্কট পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।”
বেশিরভাগ অর্থ সরকারি মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোতে থাকায় সেগুলো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলেও জানান তিনি।
(সংক্ষেপিত, পুরো প্রতিবেদনটি পড়তে এই State-owned Autonomous Institutions: Govt to utilise ‘idle money’ লিংকে ক্লিক করুন)
Comments