৭১ সালের পর কেউ দেশ ছেড়ে ভারতে যায়নি: কাদের

qader
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের । ফাইল ছবি

১৯৭১ সালের পরে কোনো বাংলাদেশি দেশ ছেড়ে ভারতে স্থায়ী হয়নি জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আসামের এনআরসি থেকে বাদ পড়া ১৯ লাখ মানুষ ভারতেরই নাগরিক, আর তাদের এখনই দেশছাড়া করবে এমন সিদ্ধান্ত ভারত সরকার নেয়নি।

কাজেই এই বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশের ‘অহেতুক উদ্বেগে’ থাকার কোনো কারণ নেই বলে মনে করছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আজ মঙ্গলবার বিকালে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলটির সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “ভারতের নাগরিকত্ব বাতিলকৃতদের মধ্যে ৬০ ভাগই হিন্দু, মুসলামান হচ্ছে ৪০ ভাগ। কাজেই এটার সঙ্গে রোহিঙ্গাদের বিষয় এক করে দেখা যাবে না। তারাতো ভারতেই বাস করছিল, ভারতেই নাগরিক, আর তাদের এখনই দেশছাড়া করবে এমন সিদ্ধান্ত এখনই ভারত সরকার নেয়নি। কাজেই, আমরা আগেভাগে কেন বিষয়টা নিয়ে অহেতুক উদ্বেগের মধ্যে থাকব?

নাগরিকপঞ্জি থেকে ছাড়া পড়া ১৯ লাখ লোককে বাংলাদেশি দাবি করে তাদের ঢাকাকে তাদের ফিরিয়ে নেওয়ার আহ্বান জানানো হবে- আসামের অর্থমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার এই মন্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমারা এখানে আসাম দিয়ে বিবেচনা করব না। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে আলোচনায় আমরা যা পেয়েছি সেটা হচ্ছে যে, আগামী চারমাসে নাগরিকত্ব বাতিলকৃতদের আপিল করার সুযোগ আছে। আর আমরা সাধারণভাবে জানি ১৯৭১ সালের পরে কোন বাংলাদেশি ভারতে মাইগ্রেট করেনি।

সম্পাদকমণ্ডলীর বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, আফম বাহাউদ্দিন নাছিম, এনামুল হক শামীম, মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, দপ্তর সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, কৃষি ও সমবায় সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, বন ও পরিবেশ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক রোকেয়া সুলতানা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক আব্দুস সবুর, উপ-দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।

Comments

The Daily Star  | English

Four of a family killed in Sylhet hillock collapse

The incident occurred around 2:00am in Bakhtiarghat area under Lakshanaband Union of Golapganj upazila

20m ago