সুনাম দেবনাথ কেনো আসামি নয়?

Minni
৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯, জামিনে ছাড়া পেয়ে বরগুনা জেলা কারাগার থেকে বেরিয়ে আসছেন নিহত রিফাত শরীফের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি। ছবি: স্টার

বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যের ছেলে সুনাম দেবনাথের নাম না থাকায় গতকাল আদালতের ভেতর এবং বাইরে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আসামিদের কয়েকজন।

আদালতের কার্যক্রম শেষে আসামিদের প্রিজনভ্যানে তোলার সময় তাদের কয়েকজনকে চিৎকার করে বলতে শোনা যায়, “সুনাম দেবনাথ কেনো আসামি নয়? সুনাম এই হত্যার নির্দেশদাতা। তার নাম নেই কেনো?”

আদালতের ভেতর উপস্থিত ছিলেন, এমন কয়েকজন আইনজীবী দ্য ডেইলি স্টারকে জানিয়েছেন, বরগুনার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে এই হত্যা মামলার অভিযোগপত্রের ওপর শুনানি চলাকালেও আসামিদের কয়েকজন একই ধরনের প্রশ্ন করেন।

রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় তার স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিসহ ২৪ জনকে আসামি করে গত ১ সেপ্টেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র জমা দিয়েছে পুলিশ। গতকাল মিন্নি কারাগার থেকে জামিনে ছাড়া পেয়েছেন।

বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর ছেলে সুনাম দেবনাথ তার বিরুদ্ধে আনিত সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

দ্য ডেইলি স্টারকে তিনি বলেন, “রিফাত হত্যাকাণ্ডে আসামিদের দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে তাদের কেউ আমরা নাম উল্লেখ করেনি। পুলিশি রিমান্ডের সময়েও তাদের কেউ আমার নাম বলেনি।”

বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক সুনাম আরও বলেন, “জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি দেলোয়ার হোসেনের সঙ্গে আমাদের রাজনৈতিক বিরোধ রয়েছে। এ কারণে তার ভায়রার ছেলে রিফাত ফরাজী ও রিশান ফরাজী পরিকল্পিতভাবে আদালত চত্বরে আমার নাম বলেছে।”

দেলোয়ার হোসেন জানিয়েছেন যে, দেবনাথ পরিবারের সঙ্গে কোনো শত্রুতা রয়েছে বলে তিনি মনে করেন না। সুনামের নাম উল্লেখ করার জন্য কাউকে নির্দেশ দেননি বলেও জানান তিনি।

বরগুনা পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন এ বিষয়ে মন্তব্য করতে চাননি।

এর আগে, এই মামলার তদন্তের সঙ্গে জড়িত একাধিক পুলিশ কর্মকর্তা দ্য ডেইলি স্টারকে জানিয়েছিলেন, জিজ্ঞাসাবাদকালে বা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেওয়ার সময় সন্দেহভাজনদের কেউই সুনামের নাম উল্লেখ করেননি।

তদন্তকারীরা আরও জানান, বরগুনার রাস্তায় প্রকাশ্য দিবালোকে সংগঠিত এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে সুনামের জড়িত থাকার প্রমাণও তারা পাননি।

এই মামলার অধিকাংশ আসামি ও তাদের পরিবারের সদস্যরা ছাত্রলীগসহ আওয়ামী লীগ ও এর নানা অঙ্গসংগঠনের পদে রয়েছেন।

মামলার অভিযোগপত্রে পরিকল্পনাকারী হিসেবে একজনের নামও নেই।

জামিনের জন্য দুইজন সন্দেহভাজন অন্য একটি আদালতে আবেদন করায় এবং সেই আদালতে এই মামলার কাগজপত্র থাকায় বরগুনার আদালত অভিযোগপত্রটিকে গ্রহণ করেননি। আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর এই মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়েছে।

মিন্নির আইনজীবী মাহমুদুল বারী আসলাম জানান, বয়স ১৮ বছরের কম হওয়ায় আদালত ছয় আসামিকে যশোর শিশু-কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

(সংক্ষেপিত, পুরো প্রতিবেদনটি পড়তে এই Why is Sunam not an accused? লিংকে ক্লিক করুন)

Comments

The Daily Star  | English

Central bank at odds with BPO over Nagad’s future

The discord became apparent after Faiz Ahmed Taiyeb, special assistant to the chief adviser with authority over the Ministry of Posts, Telecommunications and IT, sent a letter to the BB governor on May 12 and posted the letter to his Facebook account recently

3h ago