পাকিস্তানের কোচ ও প্রধান নির্বাচক মিসবাহ
মিকি আর্থারকে বরখাস্ত করার পর থেকেই নতুন কোচ খুঁজে আসছিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। বেশ কিছু নাম শোনা গিয়েছিল এ তালিকায়। তবে দৌড়ে এগিয়েছিলেন সাবেক অধিনায়ক মিসবাহ-উল-হক। শেষ পর্যন্ত তার কাঁধেই বর্তেছে এ দায়িত্ব। শুধু তাই নয়, সঙ্গে প্রধান নির্বাচকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এ পাকিস্তানিকে। এছাড়া বোলিং কোচের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দলটির সাবেক কোচ ওয়াকার ইউনুসকে।
সাক্ষাৎকার দেওয়ার পর সন্তুষ্ট ছিলেন সদস্য প্যানেলের সবাই। পিসিবি চেয়ারম্যান এহসান মনিও মেনে নেন তাদের সিদ্ধান্ত। তবে দেন দরবারের কারণেই আটকে ছিল চুক্তিটা। মিসবাহ যা দাবী করেছিলেন তা দিতে রাজী হয়নি পিসিবি। তবে শেষ পর্যন্ত কত বেতনে দুই পক্ষ রাজী হয়েছে তা জানায়নি পিসিবি। তিন বছরের চুক্তিতে কোচ ও প্রধান নির্বাচক হিসেবে যোগ দিচ্ছেন সাবেক এ অধিনায়ক। ওয়াকারের সঙ্গেও তিন বছরের চুক্তি হয়েছে। ঘরের মাঠে শ্রীলংকার বিপক্ষে সিরিজ দিয়েই কোচ হিসেবে যাত্রা শুরু হবে মিসবাহর।
মিসবাহর সঙ্গে পিসিবিতে কোচ পদে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন মহসিন খান ও ডিন জোনসের মতো উঁচু মানের কোচরাও। কিন্তু মিসবাহ র সাক্ষাৎকারেই খুশি হয় তারা। যদিও শুরুতে পিএসএলের ইসলামাবাদ ইউনাইটেডের কোচ হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। পরে শেষ পিসিবির দেওয়া সময়ের শেষ দিকে জাতীয় দলের কোচের পদের জন্য আবেদন করেন সাবেক এ অধিনায়ক।
নতুন এ দায়িত্ব পেয়ে দারুণ খুশি মিসবাহ, ‘পাকিস্তানের কোচের তালিকায় যুক্ত হতে পেরে আমি গর্বিত। এটা আমার জন্য দারুণ সম্মানের ব্যাপার। বেশ বড় দায়িত্বও বটে। আমি জানি আমার উপর প্রত্যাশা অনেক বেশি থাকবে। আমি সেই চ্যালেঞ্জ নেওয়ার জন্য প্রস্তুত। অন্যথায় এই পদের জন্য আবেদন করতাম না। আমাদের দারুণ কিছু মেধাবী ক্রিকেটার আছে। যথাসম্ভব সাহায্য করার চেষ্টা করবো।’
এছাড়া বোলিং কোচ হিসেবে ওয়াকারকে পেয়েও বেশ উচ্ছ্বসিত মিসবাহ, ‘মাথায় রাখতে হবে পারফরম্যান্সই সবকিছু। আমি ক্রিকেট খেলাকালীন সময়েও এটা বিশ্বাস করতাম। কোচ হিসেবেও এর পরিবর্তন হবে না। ওয়াকারকে বোলিং কোচ পেয়ে দারুণ খুশি। এই পদের জন্য তার চেয়ে যোগ্য আর কেউ নেই। আমরা দুজন দলের অনেক ব্যাপার নিয়ে আলোচনা করেছি। আশা করি এই যাত্রায় সবাইকে পাশে পাবো।’
বিশ্বকাপে খুব একটা খারাপ না করলেও প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি পাকিস্তান। তাই সাবেক কোচ আর্থারের পারফরম্যান্স নিয়ে আলোচনা সভা করে পিসিসিবির এক কমিটি। সেখানে উপস্থিত ছিলেন মিসবাহও। আর্থারকে ছাঁটাই করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় তখনই।
২০১১ সালে পাকিস্তানের অধিনায়ক হয়েছিলেন মিসবাহ। তার অধীনে দারুণ পারফরম্যান্স করে দলটি। ইমরান খানের পর পাকিস্তান ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা অধিনায়ক মানা হয় তাকেই।
Comments