‘শুধু উইকেটে পড়ে থাকাই এখনকার টেস্ট ক্রিকেট নয়’
নেটে স্পিনের বিপক্ষে সমানে শট খেলার চেষ্টা করছিলেন সাকিব আল হাসান আর মুশফিকুর রহিম। নিখুঁত টাইমিং না হলে মাথা ঝাঁকাচ্ছিলেন, ঠিকঠাক মারতে পারলে শরীরী ভাষায় মিলছিল ফুরফুরে ভাব। পরদিন থেকেই টেস্ট ম্যাচ, তাই প্রশ্ন উঠল- স্পিনের বিপক্ষে ওয়ানডে মেজাজের প্রস্তুতি কেন? অধিনায়ক সাকিব আল হাসান দিলেন ব্যাখ্যা।
আফগানিস্তান টেস্টে বেশ কয়েকজন মানসম্পন্ন স্পিনারের বিপক্ষে খেলতে হবে বাংলাদেশকে। রশিদ খানের লেগ স্পিনের সঙ্গে আছেন চায়নাম্যান জহির খান। আছেন সীমিত পরিসরের ক্রিকেটে সফলতা পাওয়া অভিজ্ঞ অফ স্পিনার মোহাম্মদ নবী। আরেক লেগ স্পিনার কাইস আহমেদকে একাদশে খেলিয়ে দিলে সারাক্ষণই রিস্ট স্পিনার সামলাতে হবে মুশফিকদের।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) নেটে তেমন কয়েকজন বোলার জড়ো করে সমানে তাই আগ্রাসী মেজাজে ব্যাট চালাচ্ছিলেন সাকিব-মুশফিকরা। কিন্তু টেস্টে তো দরকার টিকে থাকা, দরকার লম্বা সময়ের ধৈর্য। তাই অনেকটা বৈসাদৃশ্য চোখে লাগলেও এমন ব্যাটিং অনুশীলন একদম অকারণে নয়। অধিনায়ক জানালেন মূলত দুই কারণে এমন অ্যাপ্রোচ ছিল তাদের, ‘দুইটি দিক আছে। একটি দিক আছে যে, অনেক সময় ব্যাটসম্যানরা আত্মবিশ্বাস অনুভব করার জন্য কিছু শট খেলে। শট লাগলে আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায়। দ্বিতীয়ত, একজন ব্যাটসম্যান কখনোই সেট নয়, যতক্ষণ না রান করছে। আপনি যদি ১০০ বলে ১০ করেন, তখনও আপনি সেট নন। কিন্তু ১০ বলে ৪০ বা ৫০ করলে সেট। তো রান করতে হবে। উইকেটে শুধু পড়ে থাকাই এখনকার টেস্ট ক্রিকেট নয়।’
‘আগে ছিল যেমন যে (উইকেটে) থাকাটাই গুরুত্বপূর্ণ। এখন থাকার সঙ্গে রানও করতে হয়। দুটি দিকই থাকতে পারে। একেকজনের জন্য একেকটি গুরুত্বপূর্ণ।’
এই দুই কারণের মধ্যে সাকিব জানালেন তিনি আগ্রাসী ছিলেন আত্মবিশ্বাস পেতে, ‘আমি জানি না মুশফিক ভাই কি কারণে পজিটিভি খেলেছেন। আমার অনেক সময় আত্মবিশ্বাস একটু নিচে থাকে, কিছু শট খেললে শরীর খুলে যায়, এ কারণে অনেক সময় হতে পারে (আগ্রাসী ব্যাটিং)।’
Comments