অনভিজ্ঞতার বাধা পেরিয়ে স্কিলে আস্থা আফগানিস্তানের
একদলের ঝুলিতে ১১৪ টেস্ট, আরেকদল নামবে নিজেদের মাত্র তৃতীয় টেস্টে। কেবল এই পরিসংখ্যানটাই বাংলাদেশ থেকে আফগানিস্তানকে অনেক পিছিয়ে দিচ্ছে। পরিসংখ্যানটা যে কেবলই কোনো সংখ্যা নয়, তার পেছনে আছে বাংলাদেশের ১৯ বছরের ঋদ্ধ অভিজ্ঞতা, ভালো-মন্দের ইতিহাস, তা ঠিকই জানে আফগানিস্তান। এই জায়গায় নিজেদের পিছিয়ে রাখা ছাড়া উপায় নেই তাদের। এই ঘাটতি পুষিয়ে দিতে রশিদ খানদের ভরসা বৈচিত্র্যময় স্কিলসমৃদ্ধ ক্রিকেটারদের মিশেল।
২০০০ সালে টেস্ট অভিষেকের পর এখন পর্যন্ত ১১৪ টেস্ট খেলেছে বাংলাদেশ। ১৩ জয়, ১৬ ড্রয়ের পাশে হারই অবশ্য অনেক বেশি। নিজেদের থেকে এগিয়ে থাকা দলের সঙ্গে ৮৫ বারই হারতে হয়েছে বাংলাদেশকে। নতুন টেস্ট সদস্য হওয়ার পর দুই টেস্ট খেলেই একটিতে জিতে ৫০-৫০ রেকর্ড আফগানিস্তানের।
তবে ভারতের বিপক্ষে অভিষেকে বড় হারের পর খেলা দ্বিতীয় টেস্টে তারা যাদের হারিয়েছে তারাও টেস্টে নতুন। আয়ারল্যান্ডকে হারিয়ে কেবল পরিসংখ্যানই ভারী করেছেন রশিদরা। নিজেদের শক্তি, সামর্থ্য আর অভিজ্ঞতা থেকে এগিয়ে থাকা দলের বিপক্ষে খেলাটাই তো তাদের আসল চ্যালেঞ্জ।
আর সেখানেই নিজেদের কঠিন পরীক্ষা দেখছেন আফগান অধিনায়ক রশিদ, ‘আমাদের পাঁচদিনের ম্যাচ খেলার মতো পোক্ত খেলোয়াড় আছে। অবশ্যই বাংলাদেশ আমাদের চেয়ে ঢের এগিয়ে থাকা দল। আমরা কেবল ভারত আর আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দুটো টেস্ট খেলেছি, আর তারা একশোটার বেশি টেস্ট খেলে ফেলেছে। একটা ব্যাপার হলো, প্রতিদিন শেখার সুযোগ আছে। সংস্করণটা আমাদের কাছে নতুন।’
বোলিং আক্রমণে জুতসই পেসারের সঙ্গে লেগ স্পিনার, অফ স্পিনার, চায়নাম্যান বোলারের বৈচিত্র্য আছে আফগানদের। সাদা পোশাকে কম খেলার অভিজ্ঞতা এসব দক্ষতাসম্পন্ন ক্রিকেটার দিয়েই পুষিয়ে দেওয়ার পণ তাদের, ‘অবশ্যই আমাদের প্রতিভা আছে, দক্ষতা আছে ইতিবাচক খেলার। আমরা আমাদের সামর্থ্যের কথা মাথায় নিয়েই খেলব, নিজেদের উপর আস্থা রাখব। খেলাটা অনেক ধৈর্যের, আমাদের স্থিতধী ভাব রাখতে হবে, আমার মনে হয় তাহলে ফলও ইতিবাচক আসতে পারে।’
Comments