লাইভ আপডেট: প্রথম দিনটা আফগানদেরই

ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে মুখোমুখি বাংলাদেশ।

প্রথম দিনটা আফগানদেরই

বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম দিনটা ভালোই কাটিয়েছে আফগানিস্তান। প্রথম সেশনের তিনটি উইকেট নিয়েছিল টাইগাররা। তবে দ্বিতীয় সেশনে দারুণ ব্যাট করে আফগানরা। কোন উইকেট না হারিয়ে রান তোলে ১১৪ রান। তৃতীয় সেশনের শুরুতেই জোড়া ধাক্কা দেন নাঈম হাসান। সে ধাক্কা সামলে নিয়েছেন সাবেক অধিনায়ক আসগর আফগান ও উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান আফসার জাজাই। এখন পর্যন্ত ৭৪ রানের জুটি গড়ে অবিচ্ছন্ন রয়েছেন তারা। ফলে দিন শেষে ৫ উইকেটে ২৭১ রান তুলেছে দলটি।

বাংলাদেশকে হতাশ করে সেঞ্চুরির দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন আসগর আফগান। ৮৮ রানে অপরাজিত রয়েছেন তিনি। এছাড়া তরুণ আফসারও ভুগিয়েছেন টাইগার বোলারদের। ৩৫ রানে ব্যাট করছেন তিনি। আগামীকাল আবার ব্যাট করতে নামবেন এ দুই ব্যাটসম্যান। বাংলাদেশের পক্ষে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন নাঈম ও তাইজুল।

সংক্ষিপ্ত স্কোর: (প্রথম দিন শেষে)

আফগানিস্তান: ৯৬ ওভারে ২৭১/৫ (ইব্রাহিম ২১, ইহসানউল্লাহ ৯, রহমত ১০২, হাসমতউল্লাহ ১৪, আসগর ৮৮*, নবি ০, আফসার ৩৫*; তাইজুল ২/৭৩, সাকিব ০/৫০, মিরাজ ০/৫৯, নাঈম ২/৪৩, মাহমুদউল্লাহ ১/৯, সৌম্য ০/২৬, মুমিনুল ০/৯, মোসাদ্দেক ০/১)।  

আসগর-আফসার জুটিতে পঞ্চাশ

নাঈম হাসানের জোড়া ধাক্কায় হঠাৎ ব্যাকফুটে চলে গিয়েছিল আফগানিস্তান। তবে ষষ্ঠ উইকেটে উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান আফসার জাজাই ও আসগর আফগানের ব্যাটে দারুণ ভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে দলটি। এ দুই ব্যাটসম্যান এর মধ্যেই পার করেছেন পঞ্চাশ রানের কোটা। ৯৪ বলে এসেছে জুটির পঞ্চাশ। তাতে আসগরের অবদান ২৪ রান। আফসার করেছেন ২৮ রান। মেহেদী হাসান মিরাজের বলে ছক্কা হাঁকিয়েই জুটির ফিফটি পূরণ করেন আফসার।

৮৬ ওভার শেষে আফগানিস্তানের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ২৫৩ রান। আসগর ৭৬ ও আফসার ২৯ রানে ব্যাট করছেন।

দ্বিতীয় নতুন বল নিল বাংলাদেশ

জোড়া ধাক্কা খাওয়ার পর আফসার জাজাইকে নিয়ে দলের হাল ধরেছেন আসগর আফগান। বেশ সাবলীলভাবেই ব্যাট করছেন এ দুই ব্যাটসম্যান। পুরানো বলে সুবিধে করতে উঠতে না পারায় ৮০ ওভার শেষেই দ্বিতীয় নতুন বল নিয়েছেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। প্রথম নতুন বলের মতো দ্বিতীয় নতুন বলের সূচনাও করেছেন তাইজুল ইসলাম। তবে পরের ওভারেই পেসার সৌম্য সরকারকে এনেছেন অধিনায়ক।

৮২ ওভার শেষে আফগানিস্তানের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ২৩২ রান। আসগর ৬৬ ও আফসার ১৮ রানে ব্যাট করছেন।  

আফগানদের দলীয় দুইশ

চট্টগ্রামের টার্নিং উইকেটে ভালো সংগ্রহের পথে আফগানিস্তান। এর মধ্যেই দলীয় দুইশত রান পূরণ করেছে দলটি। হারিয়েছে ৫টি উইকেট। এক প্রান্তে টিকে আছেন সাবেক অধিনায়ক আসগর আফগান। ৭১.৪ ওভারে এসেছে দলীয় দ্বিশতক।

৭২ ওভারে ৫ উইকেটে ২০০ রান তুলেছে আফগানিস্তান। আসগর আফগান ৫০ ও আফসার জাজাই ২ রানে ব্যাট করছেন।

আসগরের হাফসেঞ্চুরি

বাংলাদেশকে ভুগিয়ে আগের ওভারে ফিরেছেন রহমত শাহ। তবে এক প্রান্তে মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে এখনও টিকে আছেন আসগর আফগান। এরমধ্যে নিজের হাফসেঞ্চুরিও তুলে নিয়েছেন। ৯৬ বলে ২টি চার ও ১টি ছক্কায় নিজের ফিফটি স্পর্শ করেছেন তিনি।

৭১ ওভারে ৫ উইকেটে ১৯৯ রান তুলেছে আফগানিস্তান। আসগর ৫০ ও জাজাই ১ রানে ব্যাট করছেন।

নবিকে বোল্ড করে দিলেন নাঈম

রহমত শাহ ও আসগর আফগানের জুটিতে বাংলাদেশকে দ্বিতীয় সেশনে বড় হতাশা উপহার দেয় আফগানিস্তান। তবে চা বিরতির পর বল হাতে নিয়ে দারুণ বোলিং করে টাইগারদের ম্যাচে ফিরিয়েছেন তরুণ নাঈম হাসান। সেঞ্চুরিয়ান রহমত শাহকে বিদায় করার পর মোহাম্মদ নবিকেও ফিরিয়েছেন তিনি। সরাসরি বোল্ড করে দিয়েছেন নবিকে। ফিরেছেন খালি হাতে।

৭০ ওভার শেষে আফগানিস্তানের সংগ্রহ ৫ উইকেটে ১৯৭ রান। ৪৯ রানে ব্যাট করছেন আসগর আফগান। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন আফসার জাজাই।

ইতিহাস গড়েই রহমত শাহর বিদায়

অনন্য ইতিহাস গড়লেন রহমত শাহ। টেস্ট ক্রিকেটে আফগানিস্তানের পক্ষে প্রথম সেঞ্চুরি করলেন করলেন এ ব্যাটসম্যান। তবে সেঞ্চুরি করার পরের বলেই তাকে ফিরিয়েছেন নাঈম হাসান। আগের বলে দারুণ বাউন্ডারি মেরে কিছুটা খোশ মেজাজেই ছিলেন রহমত। অফস্টাম্পের অনেক বাইরের বল আলগা ভাবে খেলতে গিয়ে স্লিপে সৌম্য সরকারের হাতে ধরা পড়েছেন তিনি। ১৮৭ বলে ১০টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ১০২ রান করেছেন এ আফগানী।  

দ্বিতীয় সেশনটা শুধুই আফগানদের

প্রথম সেশনে দারুণ বোলিং করেছিল টাইগাররা। তিনটি উইকেটও তুলে নিয়েছিল। কিন্তু দ্বিতীয় সেশনে ধারালো বোলিং করতে পারেনি তারা। হয়নি ভালো ফিল্ডিংও। বেশ কয়েকটি হাফচান্স অবশ্য ছিল। রানআউটের সুযোগও কাজে লাগাতে পারেনি। তাই সাবলীল ব্যাট করে বড় সংগ্রহের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে আফগানরা। চতুর্থ উইকেটে দারুণ ব্যাট করছেন রহমত শাহ ও আসগর আফগান। রহমত এগিয়ে যাচ্ছেন সেঞ্চুরির দিকে। আসগরও রয়েছেন হাফসেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে।

চার বিরতির আগে ৬৮ ওভারে ৩ উইকেটে ১৯১ রান তুলেছে আফগানিস্তান। রহমত ৯৭ ও আসগর ৪৮ রানে ব্যাট করছেন। জুটিতে এসেছে ১১৪ রান। 

সফল রিভিউতে বাঁচলেন আসগর

আসগর আফগানের বিরুদ্ধে এলবিডাব্লিউর জোরালো আবেদন করেন মেহেদী হাসান মিরাজ। আম্পায়ার সাড়াও দিয়েছিলেন। কিন্তু সফল এক রিভিউতে বেঁচে যান আসগর। রিপ্লেতে দেখা যায় লেগ স্টাম্প মিস করছিল বল। এ সময়ে ৪২ রানে ব্যাট করছিলেন এ ব্যাটসম্যান। ফলে হতাশা বাড়ে টাইগার শিবিরে। রহমত শাহর সঙ্গে তার এর মধ্যেই ছাড়িয়েছে শতরান।

৬৫ ওভার শেষে আফগানিস্তানের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১৮৪ রান। রহমত ৯৩ ও আসগর ৪৫ রানে ব্যাট করছেন।

রহমত-আসগর জুটির সেঞ্চুরি

বাংলাদেশের ভোগান্তি বাড়িয়ে চলেছেন রহমত শাহ ও আসগর আফগান। আফগানিস্তানের এ দুই অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান দলের ইনিংস মেরামততো করেছেনই, এগিয়ে যাচ্ছেন নিজেদের মাইলফলকের দিকেও। সেঞ্চুরির পথে আছেন রহমত। আসগর হাফসেঞ্চুরির পথে। তবে এর মধ্যেই এ দুই ব্যাটসম্যান গড়েছেন শতরানের জুটি। ১৭১ বলে এ জুটি স্পর্শ করেছেন তারা। জুটিতে রহমতের অবদান ৫৯ রান। আসগর করেছেন ৪১ রান।

৬২ ওভার শেষে আফগানিস্তানের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১৭৮ রান। রহমত ৯১ ও আসগর ৪১ রানে ব্যাট করছেন।

রহমত-আসগর জুটিতে পঞ্চাশ

দিনের প্রথম সেশনে বাংলাদেশ তিনটি উইকেট তুলে নিতে পারলেও দ্বিতীয় সেশনে এখন পর্যন্ত সাফল্যের মুখ দেখেনি। দারুণ এক জুটি গড়েছেন রহমত শাহ ও আসগর আফগান। এর মধ্যেই হাফসেঞ্চুরির কোটা করেছে এ জুটি। ৮৬ বলে এসেছে এ জুটির অর্ধশত। তাতে রহমতের অবদান ২২ রান। আসগর করেছেন ২৮ রান।

৪৮ ওভার শেষে আফগানিস্তানের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১৩৬ রান। রহমত ৬২ ও আসগর ২৮ রানে ব্যাট করছেন।

রহমত শাহর হাফসেঞ্চুরি

উইকেটে নেমেই বেশ সাবলীল ভাবেই ব্যাট করছেন টেকনিক্যালি আফগানিস্তানের সেরা ব্যাটসম্যান রহমত শাহ। টাইগার স্পিনারদের বেশ ভাবেই সামলে যাচ্ছেন। মাঝে মধ্যেই উইকেট ছেড়ে বেড়িয়ে এসে আগ্রাসী শট খেলছেন। আফগান ইনিংসের ভিত্তি গড়ে নিজের হাফসেঞ্চুরিও তুলে নিয়েছেন এ ব্যাটসম্যান। টেস্ট ক্রিকেটে এটা তার তৃতীয়  হাফসেঞ্চুরি। ৮৫ বলে ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় নিজের ফিফটি স্পর্শ করেন তিনি।

৪৪ ওভার শেষে আফগানিস্তানের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১১২ রান। রহমত শাহ ৫১ ও আসগর আফগান ১৫ রানে ব্যাট করছেন।

হঠাৎ বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ

সকালে চট্টগ্রামের আকাশে ছিল ঝকঝকে রোদ। তবে এক ঘণ্টা পেরোতেই মেঘলা আকাশ। বৃষ্টি যেন তখন থেকেই আসি আসি করেও আসছিল না। অবশেষে প্রথম ইনিংসের ৪১ ওভার পেরোতেই বৃষ্টি নামে। তবে খুব বেশি নয়, অল্প কিছুক্ষণ ঝিরি ঝিরি ধারায় পড়ার পরই থেমে গিয়েছে। এ মুহূর্তে উইকেট ঢেকে ফেলা হয়েছে কভার দিয়ে। অল্প সময়ের মধ্যেই হয়তো সরানো হবে কভার।

৪১ ওভার শেষে আফগানিস্তানের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১০৫ রান। রহমত শাহ ৪৯ ও আসগর ১০ রানে ব্যাট করছেন।

আফগানিস্তানের দলীয় শতরান

দলীয় শতরানের কটা পার করেছেন সফরকারী আফগানিস্তান। চট্টগ্রামের উইকেটে প্রথম সেশনেই যে পরিমাণ টার্ন দেখা গিয়েছে তাতে নিঃসন্দেহে ৩ উইকেট হারিয়ে শতরান তোলাটা ভালো স্কোরই বলতে হবে। এক প্রান্তে তো দারুণ ব্যাটিং করছেন আফগানদের সেরা ব্যাটসম্যান রহমত শাহ।  শুরু থেকেই কিছুটা হাত খুলে ব্যাট করছেন। তাইজুল ইসলামের বলে ছক্কায় হাঁকিয়েই দলীয় শতরানের কোটা পার করেন তিনি। ৩৮.৪ ওভারে এসেছে দলের শতরান।

৪০ ওভার শেষে আফগানিস্তানের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১০৫ রান। রহমত শাহ ৪৯ ও আসগর ১০ রানে ব্যাট করছেন।

লাঞ্চের আগে বল হাতে নিয়েই জুটি ভাঙলেন মাহমুদউল্লাহ

তৃতীয় উইকেটে রহমত শাহর সঙ্গে দারুণ এক জুটি গড়েছিলেন হাসমতউল্লাহ শাহিদি। দলের ইনিংস মেরামত করে দারুণ এগিয়ে যাচ্ছিলেন তারা। স্কোরবোর্ডে ৩৯ রানও যোগ করেছিলেন। তবে লাঞ্চ বিরতির আগে বল হাতে নিয়েই এ জুটি ভেঙেছেন মাহমুদউল্লাহ। তবে স্লিপে ভালো ক্যাচ লুফেছেন সৌম্য সরকার। যদিও প্রথম দফায় ধরতে পারেননি দ্বিতীয় দফায় তালুবন্দি করেছেন। ৩২ বলে ২টি চারে ১৪ রান করেছেন হাসমত। দলীয় ৭৭ রানে পড়ে আফগানিস্তানির তৃতীয় উইকেট।

লাঞ্চের আগে ৩২.৪ ওভার ব্যাট করে ৩ উইকেটে ৭৭ রান তুলেছে আফগানিস্তান। ৩১ রানে অপরাজিত রয়েছেন রহমত শাহ।

দ্বিতীয় উইকেটও এনে দিলেন তাইজুল

শুরু থেকেই সাবধানী ব্যাট করছিল আফগানিস্তান। তবে সাকিব আল হাসানের আগের ওভারে দারুণ এক ছক্কা মেরে হঠাৎই যে আগ্রাসী ভাব এনে দেন রহমত শাহ। পরের ওভারে তাইজুলকেও মারতেও গিয়েছিলেন ইব্রাহিম জাদরান। তবে লংঅফে ধরা পড়েন মাহমুদউল্লাহর হাতে। ৬৯ বলে ৩টি চারের সাহায্য ১৯ রান করেন তিনি। দলীয় ৪৮ রানে পড়ে আফগানদের দ্বিতীয় উইকেট।

২৫ ওভার শেষে আফগানিস্তানের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৫৪ রান। ১৭ রানে ব্যাট করছেন রহমত। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন হাসমতউল্লাহ শাহিদি।

টেস্টে তাইজুলের ১০০ উইকেট

মোহাম্মদ রফিক ও সাকিব আল হাসানের পর তৃতীয় বাংলাদেশি হিসেবে টেস্টে একশো উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন তাইজুল ইসলাম। বাকি দুজনের চেয়ে কম টেস্ট খেলে মাইলফলকে পৌঁছালেন এই বাঁহাতি স্পিনার। ক্যারিয়ারের ২৫তম টেস্টে ৪৪ ইনিংসে ১০০ উইকেট নিলেন তাইজুল। এর আগে নিজের ২৮তম টেস্টে একশো উইকেট স্পর্শ করেছিলেন সাকিব আল হাসান। দেশের সবার আগে একশো উইকেটে পৌঁছান মোহাম্মদ রফিক। ৩৩ টেস্টে একশো উইকেট নিয়েই অবসরে যান টেস্টের শুরুর দিকে বাংলাদেশের অনেক সাফল্যের নায়ক রফিক।

ইহসানকে ফিরিয়ে প্রথম আঘাত তাইজুলের

দুই আফগান ওপেনার বেশ ভালো ভাবেই সামলাচ্ছিলেন বাংলাদেশের স্পিনারদের। তবে ১৩তম ওভারে দারুণ এক ডেলিভারিতে ইহসানউল্লাহ জানাতকে ফিরিয়েছেন তাইজুল ইসলাম। রক্ষণাত্মক ঢঙেই খেলতে চেয়েছিলেন ইহসান। কিন্তু বাঁকের মুখে লাইন মিস করলে বোল্ড হয়ে যান তিনি। দলীয় ১৯ রানে পড়ে প্রথম উইকেট। ব্যক্তিগত ৯ রানে আউট হয়েছেন ইহসান।

১৩ ওভার শেষে আফগানিস্তানের সংগ্রহ ১ উইকেটে ২০ রান। ১০ রানে ব্যাট করছেন ইব্রাহিম জাদরান। নতুন ব্যাটসম্যান হিসেবে মাঠে নেমেছেন রহমত শাহ।

আফগানিস্তানের সাবধানী শুরু

দুই তরুণ ওপেনার ইনিংসের গোড়াপত্তনে নেমেছেন আফগানিস্তান দলের। এরমধ্যে ইব্রাহিম জাদরানের বয়স তো আঠারোও পূর্ণ হয়নি। তবে টাইগার স্পিনারদের সামলাচ্ছেন দারুণভাবেই। আরেক ওপেনার ইহসানউল্লাহ জানাতও খেলছেন আস্থার সঙ্গেই। এখন পর্যন্ত এ দুই ব্যাটসম্যানকে বিপদে ফেলার মতো কিছুই করতে পারেনি টাইগাররা। হয়নি ভালো কোন আবেদনও। দেখে শুনে ব্যাট করা আফগানদের প্রথম বাউন্ডারিটি এসেছে দশম ওভারে।

১০ ওভার শেষে আফগানিস্তানের সংগ্রহ বিনা উইকেটে ১৫ রান। ৯ রানে ব্যাট করছেন ইহসানউল্লাহ। ইব্রাহিম উইকেটে আছেন ৬ রান নিয়ে।

টস করে ইতিহাসে রশিদ খান

চট্টগ্রাম টেস্টে টস করতে নেমে ইতিহাসে ঢুকে পড়েছেন আফগানিস্তান অধিনায়ক রশিদ খান। টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসের সর্বকনিষ্ঠ অধিনায়ক এখন তিনিই। বৃহস্পতিবার সাকিব আল হাসানের সঙ্গে টস করতে নেমেই ইতিহাস গড়েন তিনি। জিম্বাবুয়ের টাটেন্ডা টাইবুকে ছাপিয়ে টেস্ট ইতিহাসের কনিষ্ঠতম অধিনায়ক হয়েছেন তিনি।

২০০৪ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে হারারেতে ২০ বছর ৩৫৮ দিন বয়সে জিম্বাবুয়েকে নেতৃত্ব দিতে নেমেছিলেন টাইবু। এতদিন পর্যন্ত তিনিই ছিলেন টেস্টের সর্বকনিষ্ঠ অধিনায়ক। বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস করতে নামার দিন রশিদের বয়স  ২০ বছর ৩৫০ দিন। অর্থাৎ তিনিই এখন টেস্টের সর্বকনিষ্ঠ অধিনায়ক।

আফগানিস্তান দলে তিন রিস্ট স্পিনার ও এক পেসার

বাংলাদেশের লেগ স্পিন জুজুর কথা ক্রিকেট বিশ্বে এখন আর অজানা কিছু নয়। প্রস্তুতি ম্যাচেও সেটা খুব ভালো করেই লক্ষ্য করেছে আফগানিস্তান দল। এ কারণেই তিন জন লেগ স্পিনার নিয়ে মাঠে নেমেছে দলটি। এছাড়া লেগ স্পিনটা ভালোই করেন রহমত শাহও। বাংলাদেশ দলে কোন পেসার না থাকলেও আফগানিস্তান দলে রয়েছেন একজন বিশেষজ্ঞ পেসার ইয়ামিন আহমেদজাই। 

আফগানিস্তান দল: ইহসানউল্লাহ জানাত, হাসমতউল্লাহ শাহিদি, আসগর আফগান, ইব্রাহিম জাদরান, রহমত শাহ, মোহাম্মদ নবি, আফসার জাজাই, রশিদ খান, ইয়ামিন আহমেদজাই, কায়েস আহমেদ ও জহির খান।

পেসারহীন বাংলাদেশ দল

আরও একবার সাদা জার্সিতে কোন বিশেষজ্ঞ পেসার ছাড়াই মাঠে নামল বাংলাদেশ। গত নভেম্বরেই উইন্ডিজের বিপক্ষে পেসার ছাড়া নেমেছিল দলটি। একাদশে থাকা একমাত্র সৌম্য সরকার মাঝে মধ্যে দলের প্রয়োজনে পেস বল করে থাকেন। তামিম ইকবালের অনুপস্থিতিতে ওপেনিংয়ে সাদমান ইসলামের সঙ্গী তিনিই। স্কোয়াডে তিন জন পেসার থাকলেও জায়গা হয়নি কারও। অধিনায়ক সাকিব আল হাসানসহ চার জন বিশেষজ্ঞ স্পিনার রয়েছেন দলে। এছাড়া মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদরাও হাত ঘোরাতে পারেন ভালোই। 

বাংলাদেশ দল: সৌম্য সরকার, সাদমান ইসলাম, মুমিনুল হক, লিটন কুমার দাস, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম ও নাঈম হাসান।

টস জিতে ব্যাটিংয়ে আফগানিস্তান

টেস্ট ক্রিকেটের নবীনতম সদস্য আফগানিস্তান। অন্যদিকে বছর দুই আগেও এ তকমা ছিল বাংলাদেশের। সাদা পোশাকে এ দুই দেশের লড়াই। লড়াইয়ের শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। টস জিতে নিয়েছেন আফগান অধিনায়ক রশিদ খান। বেছে নিয়েছেন ব্যাটিং। মানে প্রথমে ফিল্ডিং করতে হবে বাংলাদেশকে। প্রথম দিনের খেলা শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সকাল ১০ টায়। 

দুঃসময় কাটানোর মিশনে বাংলাদেশ

বিশ্বকাপের আগে সব ঠিকমতোই চলছিল। এমনকি মাঝ পথেও। কিন্তু শেষ দিকে পাল্টে যায় সব। হুট করেই নামে দুর্দিন। শ্রীলঙ্কা সফরে গিয়েও হয়েছে বেহাল দশা। কেবল জাতীয় দলই নয়, এই সময়ে ‘এ’ দল, ‘এইচপি’ দলের কাছ থেকেও মিলছে না স্বস্তির সুবাতাস। আফগানিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টেস্ট ম্যাচটি তাই অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের কাছে দেশের ক্রিকেট থেকে গুমোট ভাব সরানোর মিশন।

বাংলাদেশ দলের মূল লক্ষ্যের কথা বর্ণনা করতে গিয়ে সাকিব বলেছেন, ‘আমি যেখান থেকে দেখছি, যেহেতু আমাদের শেষ কিছু দিন ভালো সময় কাটেনি। সবদিক থেকে, সেটা “এ” দল বলেন, একাডেমি বলেন, কোথাও আমরা ভালো পারফর্ম করতে পারিনি। কেবল অনূর্ধ্ব-১৯ দল ফাইনাল খেলেছে ইংল্যান্ডে। সেদিক থেকে চিন্তা করলে আমাদের জন্য এই ম্যাচটি খুবই গুরুত্বপুর্ণ। কারণ আমরা যদি এই ম্যাচ ভালোভাবে জিততে পারি, আমার কাছে মনে হয়, অনেক কিছুই আবার একটু স্বাভাবিক হতে শুরু করবে।’

আফগানদের বিপক্ষে আট ওয়ানডে খেলে পাঁচটিতে জিতেছে বাংলাদেশ, হেরেছে তিন ম্যাচ। দুদলের টি-টোয়েন্টি রেকর্ডে আবার বেশ এগিয়ে আফগানিস্তান। চার ম্যাচের তিনটাই জিতেছেন রশিদ খানরা। বাংলাদেশের জয় একটাই। কিন্তু সংস্করণ যখন টেস্ট, অভিজ্ঞতায় সেখানে অনেক অনেক এগিয়ে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের বিপক্ষে নামার আগে আফগানিস্তানের টেস্ট অভিজ্ঞতা মাত্র দুই ম্যাচের। ১৯ বছর ধরে টেস্ট খেলে আসা বাংলাদেশ খেলে ফেলেছে ১১৪ ম্যাচ।

Comments

The Daily Star  | English

Bangladesh women retain SAFF glory

Bangladesh retained the title of SAFF Women's Championship with a 2-1 win against Nepal in an entertaining final at the Dasharath Stadium in Kathmandu today. 

12m ago