ডেঙ্গু: ২৭ দিনের সন্তান রেখে চলে গেলেন নার্স চামেলী
মাত্র ২৭ দিনের শিশু সন্তান রেখে মানিকগঞ্জের মমতাজ চক্ষু হাসপাতালের নার্স চামেলী বেগম (২৮) ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা গেছেন।
চামেলী মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার দক্ষিণ শালজানা গ্রামে মৃত মোহন খানের মেয়ে।
গতকাল (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে দশটার দিকে ঢাকার মগবাজার এলাকার রাশমনো হাসপাতালে মারা যান বলে জানান চামেলীর বড়ভাই মো. আনোয়ার হোসেন।
আনোয়ার হোসেন আরো জানান, তার বোনকে প্রথমে শিবালয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ডেঙ্গু ধরা পড়লে তাকে মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
জেলা হাসপাতালে পাঁচদিন থাকার পর গত ৩ সেপ্টেম্বর চামেলীকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়।
রাশমনো হাসপাতালে তার অবস্থা আশংকাজনক হলে তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। গতকাল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চামেলী মারা যান।
চামেলীর বড় ভাই আনোয়ার আরো জানান, একবছর আগে মানিকগঞ্জর সদর উপজেলা দিঘী ইউনিয়নের রৌহাদহ গ্রামের সবুজের সঙ্গে চামেলীর বিয়ে হয়। তিনি মানিকগঞ্জের মমতাজ চক্ষু হাসপাতালে নার্সিং অফিসার হিসেবে চাকরি করতেন। তার কোলে ছিলো ২৭ দিন বয়সী এক পুত্র সন্তান।
মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ডেঙ্গু ওয়ার্ডের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. মানবেন্দ্র সরকার জানান, ওই রোগী গত ২৯ আগস্ট দুপুর ২টা ২০ মিনিটের দিকে হাসপাতালে ভর্তি হন। তার অবস্থা অবনতি হওয়ায় ৩ সেপ্টেম্বর তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় স্থানান্তরিত করা হয়।
উল্লেখ্য, এ পর্যন্ত মানিকগঞ্জের পাঁচ ব্যক্তিকে মানিকগঞ্জ থেকে ঢাকায় স্থানান্তর করার পর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান। এছাড়াও মানিকগঞ্জের মুন্নু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একজনের মৃত্যু হয়।
আজ (৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা পর্যন্ত মানিকগঞ্জ জেলা হাসপাতালসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও মুন্নু মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন অন্তত এক হাজার ২০০ ডেঙ্গু রোগী। এর মধ্যে শতাধিক রোগীকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয় এবং অন্যরা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যান। বর্তমানে জেলার বিভিন্নস্থানে ৪০ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন।
Comments