প্রথম সেশনেই ঘূর্ণি বলের নাচন
![](https://bangla.thedailystar.net/sites/default/files/styles/big_202/public/feature/images/_f758760_0.jpg?itok=1_IdM0SA×tamp=1567663711)
প্রথম ওভার থেকেই বল ঘুরছে, উইকেট থেকে মিলছে আচমকা বাউন্স। স্পিনারদের জন্য স্বর্গীয় বাইশ গজে প্রথম সেশনটা নিজেদের করে নিয়েছে বাংলাদেশের স্পিনাররা।
পেসারছাড়া নেমেই শুরুতেই বাংলাদেশে জানিয়ে দিয়েছিল উইকেটটা কেমন। যেমন উইকেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে নাজেহাল করেছিল বাংলাদেশ, যেমন উইকেটে জিতেছিল ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সেরকমই অতি টার্নিং উইকেট বানানো হয়েছে চট্টগ্রামেও। প্রতি বলেই কিছু না কিছু হচ্ছে, এই উইকেটে প্রতিটা রানই মহামূল্যবান। প্রথম সেশনে ৩২.৩ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ৭৭ রান তুলেছে আফগানিস্তান।
এমন উইকেট তাইজুল ইসলাম থাকলেন দারুণ নিখুঁত, সাকিব তাল মিলিয়েছেন খানিকটা। তবে প্রথম সেশনে কিছুটা হতাশ করেন দুই নিয়মিত অফ স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ আর নাঈম হাসান।
টস জিতে নির্ধিদ্বায় ব্যাট করতে যাওয়া আফগানিস্তান শুরু থেকে ছিল জড়সড়। উইকেটে থিতু হতে অনেকটা সময় নিচ্ছিলেন দুই ওপেনার। তাতেও সুবিধা করতে পারেননি তারা। অতি টার্নিং উইকেটে দ্রুত রান এলেই বরং প্রতিপক্ষের উপর চাপ দেওয়া যায়, এটা বুঝতেই লেগেছে তাদের অনেকটা সময়। প্রথম ২০ ওভারে তাই তারা করতে পারেন ৩০ রান। এরমধ্যে তাইজুলের ঘূর্নিতে ফেরেন ইসহানুল্লাহ। ইব্রাহিম জাদরান জমে গিয়ে ভাবলেন হাত খোলা দরকার। সেই চাওয়ার প্রয়োগ ঠিকঠাক না হওয়ায় বিপদ আদে তার। তালগোল পাকিয়ে তিনিও কুপোকাত তাইজুলের বলে।
ইসহানুল্লাহকে টার্নে পরাস্ত করে বোল্ড করেছিলেন তাইজুল। আর ইব্রাহিম তাইজুলের বলে উড়াতে গিয়ে লঙ অফে দেন ক্যাচ।
রহমত শাহর সঙ্গে মিলে হাসমতুল্লাহ শহিদি লাঞ্চ পর্যন্ত ব্যাট করে ফেলবেন বলেই মনে হচ্ছিল। দুই অফ স্পিনার মেহেদী হাসান মিরাজ আর নাঈম হাসানের আলগা বোলিংয়ের খেসারতে তাদের টলানো যাচ্ছিল না। বাঁহাতি হাসমতুল্লাহকে ফেরাতে তাই মাহমুদউল্লাহর শরণ নিয়েছিলেন সাকিব। তাতেই কাজ হয়েছে। মাহমুদউল্লাহর বলে স্লিপে সৌম্য সরকারকে ক্যাচ দিয়ে দেন তিনি।
Comments