মোসাদ্দেককে এমনকি ওপেনিংয়ে পাঠাতে চেয়েছিলেন সাকিব

Mosaddek Hossain
তিনে নেমে নিজেকে প্রমাণ করতে পারেননি মোসাদ্দেক। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের ব্যাটিং অর্ডার ছিল চমকে ভরা। সাদমান ইসলামের সঙ্গে ওপেন করতে নেমেছিলেন লিটন দাস। ওপেনিং থেকে আটে নেমে যান সৌম্য সরকার। আর আট থেকে একেবারে তিনে পাঠানো হয় মোসাদ্দেক হোসেনকে। ছয় থেকে চারে উঠেন মুশফিকুর রহিম, তাই চার থেকে প্রথমবার পাঁচে সরানো হয় মুমিনুল হককে। কেন এত অদল বদল, ব্যাখ্যা দিয়েছেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। জানিয়েছেন তার ভাবনায় ছিল আরও চমক।

ব্যাটিং অর্ডারে ব্যাপক রদবদল করলেও কোনটাই অবশ্য কাজে লাগেনি। চমকে ভরা সব সিদ্ধান্তই হয়েছে বুমেরাং। প্রথম ইনিংসে আট নম্বরে ৪৮ রান করা মোসাদ্দেক তিনে নেমে ১৭ বলে ১২ রান করে ফেরেন দৃষ্টিকটু আউটে। ক্যারিয়ারে প্রথমবার পাঁচে নেমে পারেননি মুমিনুল। দিনশেষে ৬ উইকেটে ১৩৬ রান নিয়ে বাংলাদেশ অপেক্ষায় আছে বড় হারের।

স্বাভাবিক কারণেই মোসাদ্দেককে উপরে নামানোর সিদ্ধান্ত হয় প্রশ্নবিদ্ধ। সাকিব জানালেন একটা নির্দিষ্ট চিন্তা থেকেই এমনটা করেছিলেন তারা, ‘সত্যি কথা বলতে প্রথম ইনিংসে আমরা যতজন ব্যাটিং করেছি স্পিন বোলিংয়ের বিপক্ষে সবচেয়ে বেশি স্বচ্ছন্দ ওকে মনে হয়েছে। আমরা যেহেতু স্পিন বেশি স্পিন মোকাবেলা করছিলাম, কাল রাত থেকেই পরিকল্পনা করা হচ্ছিল যে ও ওপরের দিকে ব্যাট করলে, প্রথম ইনিংসে যেভাবে ব্যাট করেছে ওভাবে করতে পারলে (কিছু হবে), প্রথম শ্রেণীতে বড় ইনিংস খেলারও অভিজ্ঞতা আছে ওর। সেকারণেই এই পরিকল্পনা।’

‘একইসঙ্গে নবি যেহেতু বাঁহাতিদের বিপক্ষে অনেক বেশি প্রভাব বিস্তার করে, সে কারণে আমাদের বাম-ডান কম্বিনেশন করার পরিকল্পনা ছিল।’

সীমিত ওভারের ক্রিকেটের মতো টেস্টে ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে এতটা পরীক্ষা নিরীক্ষা অনেক বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। কিন্তু সাকিব মনে করছেন রান তাড়ার চিন্তা থেকেই এমনটা করতে গিয়েছিলেন তারা, ‘চারশো তাড়া করতে গেলে আপনাকে অন্য কিছু করতে হবে। আমরা তো কখনো চারশো তাড়া করিনি। যদি দুইশো তাড়া করতাম আমাদের ব্যাটিং অর্ডার ওরকমই থাকত। যেহেতু চারশো তাড়া করছিলাম আমাদের কিছু প্রস্তুতির দরকার ছিল।’

কেবল তাই নয়, অধিনায়কের ভাবনায় মোসাদ্দেককে ওপেন করানোরও চিন্তা ছিল, ‘আমি তো কালকে এই আলোচনাও করেছি যে দুই ডানহাতি আমি পাঠাব কিনা। আমি মোসাদ্দেককে ওপেন করতে পাঠাতে চেয়েছিলাম। সত্যি কথা, এটা আমি এখন বললাম। সবাই মিলে এই আলোচনার পরে এই পরিকল্পনা করা হয়েছে যে এভাবে যাই তাহলে আমাদের কাছে একটা সুযোগ আছে। ’

টিম মিটিংয়ে সবার মত নিয়ে ওপেনিংয়ের চিন্তা থেকে সরে আসেন সাকিব, তবে টপ অর্ডারেই রাখা হয় মোসাদ্দেককে, ‘সকাল বেলা টিম মিটিংয়ে ওটা চূড়ান্ত করে আমরা মাঠে এসেছি। ওই বিশ্বাসটা সবার ছিল। এমন না শুধু আমি বিশ্বাস করেছি বা কোচ বিশ্বাস করেছে। পুরো পনেরো জন এই বিশ্বাস করেছে। শুধু আমার সিদ্ধান্ত হলে মোসাদ্দেক আর লিটন ওপেন করত।’

Comments

The Daily Star  | English

Israel welcomes 'all help' in striking Iran

Israel hits nuclear sites, Iran strikes hospital as conflict escalates

1d ago