ঘরোয়া ক্রিকেট খেলাও একটা সমস্যা কিনা, প্রশ্ন সাকিবের
জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের অনেকে জাতীয় লিগ বা বিসিএলের মতো ঘরোয়া প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট নানা অজুহাতে খেলেন না। তা নিয়ে হয় বিস্তর সমালোচনা। ঘরোয়া ক্রিকেট না খেলে টেস্টে নামায় তারা ধুঁকছেন কিনা, দেশের ক্রিকেটে জোরালো আছে এই আলোচনা। কিন্তু অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের মত একেবারে বিপরীত। তিনি প্রশ্ন রেখেছেন, ক্রিকেটারদের কয়েকজন এসব লিগ খেলেন বলেই সমস্যা হচ্ছে কিনা তাও খতিয়ে দেখতে হবে।
২০১৫ সালে সর্বশেষ জাতীয় লিগের একটি ম্যাচ খেলেছিলেন সাকিব। মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহরাও জাতীয় লিগ বা বিসিএলে একেবারেই নিয়মিত নন। ঘরোয়া এসব প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে দলের তরুণ ক্রিকেটারদের অবশ্য নিয়মিতই খেলতে দেখা যায়।
ঘরোয়া প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে না খেলাতেই টেস্টে ধুঁকতে হচ্ছে কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে উল্টো আরও বড় প্রশ্নবোধক চিহ্ন এঁকে দিয়েছেন সাকিব, ‘আমি তো চার পাঁচ বছর খেলিনি, কোনো সমস্যা হয়নি। এখন বুঝতে হবে, ওদের কী সমস্যা হচ্ছে। এখন এনসিএল খেলেই সমস্যা হচ্ছে নাকি না খেলে সমস্যা হচ্ছে। দুইটারই সমস্যা থাকতে পারে। খেলাও একটা সমস্যা হতে পারে।’
ঘরোয়া ক্রিকেটের বোলিংয়ের মান নিয়ে প্রশ্ন তুলে বাংলাদেশ অধিনায়ক জানিয়েছেন, সবার রোগের জন্য দাওয়াই একই হবে না, ‘ওখানে গেলে (জাতীয় লিগে) এত সহজ বোলিং আক্রমণ পেয়ে যায়, দুইশ-দুইশ করে মারে। চার-পাঁচটা দুইশ মারে। কিন্তু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে চার পাঁচ রান করাও সমস্যা হয়ে যায়। কাজেই দুইটারই সমস্যা থাকতে পারে। ওটা আপনার বুঝতে হবে কার জন্য কী সমস্যাটা। সবার জন্য এক মেডিসিন কাজ হবে, এটা বলা ভুল।’
ঘরোয়া প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেট খেললে যদি উল্টো সমস্যা হয়ে যায়, ক্রিকেটাররা তবে প্রস্তুতি নেবেন কোথায়? সাকিবের তা নিয়েও অনেক পরিকল্পনা আছে। কিন্তু কথায় ইঙ্গিত দিলেন, বছরের বেশিরভাগ সময় এসব বিষয় শোনার লোক খুঁজে পান না তিনি, ‘দেখুন, এরকম পরিকল্পনা বলতে হলে বিশাল পরিকল্পনা। অনেক পরিকল্পনা আছে, অনেক কিছু আছে। অনেক কিছু ঠিক করার পরে এরকম কিছু করতে হবে। এই প্রক্রিয়াটা অনেক লম্বা। যখন আমরা খারাপ করি, তখন এগুলা নিয়ে কথা হয়। যখন আমরা ভালো করি, এগুলা সব বন্ধ হয়ে যায়।’
Comments