আশা নিয়ে বাংলাদেশ, দুশ্চিন্তা নিয়ে অপেক্ষায় আফগানিস্তান
আগের দিন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান বলেছিলেন, এই পরিস্থিতি থেকে তাদের বাঁচাতে পারে কেবল বৃষ্টি। চট্টগ্রাম টেস্টের শেষ দিনে সাকিবের চাওয়া মতই বাংলাদেশের হয়ে খেলছে বৃষ্টি। তাতে বাংলাদেশের আশার বিপরীতে দুশ্চিন্তায় কাত আফগানিস্তান। যদিও সকাল সাড়ে ১১টা থেকে মেঘ সরে রোদ উঠতে শুরু করেছিল চট্টগ্রামের আকাশে, আধঘন্টার মধ্যে অবশ্যই সেই রোদ উধাও হয় নামে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি।
সকাল ১০টায় বৃষ্টির তীব্রতা কমে এলে আফগানিস্তান অধিনায়ক রশিদ খান হালকা ছাতা নিয়ে ঢুকে পড়লেন মাঠে। বারবার দুশ্চিন্তা নিয়ে দেখছিলেন আকাশের দিকে। কোন দিকে আছে ঘন মেঘের দল। তা বোঝারই হয়ত চেষ্টা। সকালের বৃষ্টির তীব্রতা দেখে এদিন ম্যাচ সংশ্লিষ্ট অনেকেই মাঠে আসা পিছিয়ে দেন। কিন্তু আফগানিস্তান দল মাঠে এসেছে সময়মতই। রোমাঞ্চকর জয়ের এত কাছ থেকে সরে যায় কিনা এই চিন্তা তো তাদের হবেই।
পূর্বাভাস মতই রোববার রাত থেকেই ছিল ঝিরিঝিরি বৃষ্টি। সোমবার সকাল ৮টায় সেই মাত্রা বেড়ে যায় কয়েকগুণ। তুমুল বৃষ্টি দেখে সকালে হোটেল থেকেই বের হয়নি বাংলাদেশ দল। বিসিবির গণমাধ্যম কর্মকর্তা রাবীদ ইমাম জানান, দুপুর ১২টায় হোটেল থেকে বের হয়ে মাঠে আসার কথা বাংলাদেশের।
ফের যদি বৃষ্টি না হয় তবে খেলা শুরুর একটা ভালো সম্ভাবনা আছে। চতুর্থ দিনে ৩৯৮ রানের বিশাল লক্ষ্যে নেমে ১৩৬ রান তুলতেই ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে বাংলাদেশ। নবীন আফগানিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশ আছে হারের কাছাকাছি। অধিনায়কই আগের দিন রাখঢাক না করে জানিয়ে দেন তা, ‘রিয়েলস্টিক অবস্থায় তো আমরা এই ম্যাচ হারের খুব কাছাকাছি। একমাত্র বৃষ্টি আছে আর আল্লাহ যদি স্বয়ং আমাদের দুইজন প্লেয়ারের ওপর না পড়েন, তাহলে হারার সম্ভাবনাটাই খুব বেশি।’
ম্যাচ জিততে আফগানিস্তানের চাই আর মাত্র ৪ উইকেট। অন্তত আরও একটা সেশন খেলা হলেই ম্যাচ নিজেদের পক্ষে নিয়ে যেতে পারে তারা। আর যদি ফের বৃষ্টি নামে তবে চতুর্থ দিন শুরুতে দুই ঘণ্টা বৃষ্টিতে নষ্ট হওয়ার পর ব্যাটিং চালিয়ে আধাঘণ্টা নষ্ট করার আক্ষেপেও পুড়তে পারে তারা।
Comments