এরশাদের ক্ষমতা দখলে অখুশি ছিলেন না হাসিনা: ফখরুল

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সত্য হচ্ছে এটাই- এরশাদ যখন একজন নির্বাচিত রাষ্ট্রপতিকে সরিয়ে ক্ষমতা দখল করেছিলেন, তখন তিনিই (শেখ হাসিনা) বাংলাদেশ-ভারতের সীমান্তের কাছে বলেছিলেন ‘সি ইজ নট আনহ্যাপি', উনি অখুশি নন এরশাদ আসাতে।
জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের এক অনুষ্ঠানে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সত্য হচ্ছে এটাই- এরশাদ যখন একজন নির্বাচিত রাষ্ট্রপতিকে সরিয়ে ক্ষমতা দখল করেছিলেন, তখন তিনিই (শেখ হাসিনা) বাংলাদেশ-ভারতের সীমান্তের কাছে বলেছিলেন ‘সি ইজ নট আনহ্যাপি', উনি অখুশি নন এরশাদ আসাতে।

এরশাদকে খালেদা জিয়াই ক্ষমতা দখলের সুযোগ করে দিয়েছিলেন-সংসদে গতকাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় আজ সোমবার সকালে জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের এক অনুষ্ঠানে ফখরুল এই কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য সম্পর্কে তিনি বলেন, “সংসদে তিনি(প্রধানমন্ত্রী) প্রায়ই অসত্য কথা বলেন যে কথাগুলোর কোনো ভিত্তি নেই, ইতিহাস তা সাক্ষ্য দেয় না।”

“পরবর্তীকালে তার কাজ দেখেই আমরা বুঝতে পারি তিনি এরশাদকে সঙ্গে নিয়েই এদেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছেন এবং মানুষের অধিকারকে কেড়ে নিয়েছেন। কারণ বরাবরই তিনি এরশাদকে সঙ্গে নিয়েই জোট করেছেন এবং তাদেরকে সঙ্গে নিয়ে গণতন্ত্রকে হত্যা করে তাদেরকেই বিরোধী দলের বসিয়েছেন। যেটাকে আমরা বলি, এরশাদ হচ্ছে সম্পূর্ণভাবে আওয়ামী লীগের শেখ হাসিনার গৃহপালিত বিরোধী দলীয় নেতা ছিলেন এবং তার মৃত্যুর পরে এখন সেই দায়িত্ব নিয়েছেন রওশন এরশাদ।”

সংসদে গতকাল রোববার শেখ হাসিনা বলেছিলেন, সাবেক সেনাশাসক জিয়াউর রহমান এবং এইচ এম এরশাদের শাসনামল আদালতের রায় অনুযায়ী অবৈধ। এ দুজনের কাউকে রাষ্ট্রপতি হিসেবে উল্লেখ করা বৈধ নয়।

সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা এইচ এম এরশাদের মৃত্যুতে আনা শোক প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী ওই কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ১৯৮২ সালে এরশাদকে ক্ষমতা দখল করার সুযোগ করে দিয়েছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

 

আরও পড়ুন:

জিয়া ও এরশাদকে রাষ্ট্রপতি বলা বৈধ নয়: প্রধানমন্ত্রী

Comments