ছাত্রলীগের ২ নেতা একে অপরকে ইট দিয়ে আঘাত করেন, সাংবাদিক নাজেহালের অভিযোগ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের দুই নেতা নিজেদের মধ্যে মারামারি করে আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
এরা হলেন- ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম চৌধুরী জহির এবং শাহরিয়ার কবির বিদ্যুৎ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ছাত্রলীগ সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন আজ দুপুরে মধুর ক্যানটিনে আসেন। বেলা একটার দিকে কোথাও যাওয়ার উদ্দেশ্যে মধুর ক্যানটিনের সামনে থেকে নিজের গাড়িতে ওঠেন তিনি। এসময় গাড়িতে শোভনের সঙ্গে শাহরিয়ার আর তৌহিদুল ছাড়াও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ছিলেন।
কিছুদূর যেতেই শোভন ছাড়া অন্য নেতারা গাড়ি থেকে নেমে যান। এর পরপরই তৌহিদুল ও শাহরিয়ার নিজেদের মধ্যে তুমুল মারামারি শুরু করেন। এক পর্যায়ে দুজন বাঁশ ও ইট দিয়ে একে অপরকে আঘাত করেন। পরে শোভন দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে তাদের শান্ত করেন বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
এ ঘটনায় বাম চোখের ওপরের অংশে আঘাত পাওয়ায় শাহরিয়ারকে তাৎক্ষণিক ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (ঢামেক) নিয়ে যাওয়া হয়। তৌহিদুলকে নিজের গাড়িতে করে নিয়ে যান শোভন। শাহরিয়ারের আঘাতপ্রাপ্ত অংশে ছয়টি সেলাই পড়েছে।
তৌহিদুলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে মারামারির ঘটনাটি অস্বীকার করেন তিনি।
দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে আলাপকালে শাহরিয়ার অভিযোগ করেন যে, সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়ার কারণে তার ওপর অতর্কিতে হামলা চালিয়েছেন তৌহিদুল।
“তৌহিদুল দলীয় সিন্ডিকেটের লোক। দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয়ভাবে ছাত্রলীগের রাজনীতি সঙ্গে জড়িতরা তার টার্গেটে আছে”, বলেন শাহরিয়ার।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রলীগ সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন বলেন, “এটা তেমন কোনো ঘটনা নয়। দুজনের মধ্যে ব্যক্তিগত রেষারেষির কারণে এরকম হয়েছে।”
বাংলা দৈনিক ইনকিলাব-এর ঢাবি সংবাদদাতা নূর হোসেনের অভিযোগ, ওই মারামারির ঘটনাটি মুঠোফোনে ভিডিও ধারণ করতে গেলে তাকে জোর করে গাড়িতে তুলে নেন ছাত্রলীগ সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন এবং জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি আল নাহিয়ান খান জয়। এরপর, ধারণকৃত ভিডিওটি মোবাইল থেকে জোর করে মুছে দিয়ে হাতিরপুল এলাকায় গাড়ি থেকে তাকে নামিয়ে দেওয়া হয়।
তবে এ বিষয়টিও অস্বীকার করেছেন শোভন এবং জয়।
Comments