ব্রাজিলকে হারিয়ে পেরুর প্রতিশোধ
কোপা আমেরিকার ফাইনালে এই পেরুর বিপক্ষেই ১০ জনের দল নিয়ে ৩-১ গোলের দারুণ জয় তুলে শিরোপা জিতেছিল ব্রাজিল। সে ম্যাচে খেলেননি দলের সেরা তারকা নেইমারও। এবার সেই পেরুই প্রীতি ম্যাচে হারিয়ে দিয়েছে ব্রাজিলকে। শেষ দিকের করা গোলে সেলেকাওদের ১-০ ব্যবধানে হারিয়ে কোপার ফাইনালে হারের প্রতিশোধ নিয়েছে পেরু।
ম্যাচের প্রথম একাদশে নেইমারকে রাখেননি ব্রাজিল কোচ তিতে। তবে গোল না পেয়ে দ্বিতীয়ার্ধে মাঠে নামিয়েছিলেন। কিন্তু নিয়মিত অধিনায়ক দানি আলভেস খেলাননি তিনি। তাদের ছাড়াও ভালোই খেলে দলটি। তবে নিজেদের গুছিয়ে নিতে প্রায় ১০ মিনিট লেগে যায়। ম্যাচের ১৫তম মিনিটে কর্নার থেকে পাওয়া বলে রেনেতো তাপিয়ার শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট না হলে এগিয়ে যেতে পারতো পেরু।
দিনের সবচেয়ে সহজ সুযোগটি ২০তম মিনিটে মিস করেন দাভিদ নেরেস। রোবার্তো ফিরমিনোর পাস থেকে ডি বক্সে একেবারে ফাঁকায় বল পেয়ে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বল নিয়ন্ত্রণে নিতে দেরি করে ফেলায় সুযোগ নষ্ট করেন তিনি।
২৩তম মিনিটে এদিসন ফ্লোরেসের জোরালো শট ঝাঁপিয়ে পড়ে কোনরকমে কর্নারের বিনিময়ে ঠেকান ব্রাজিল গোলরক্ষক এদেরসন। দুই মিনিট পর রিচার্লিসনের নেওয়া দূরপাল্লার শট অল্পের জন্য লক্ষ্যে থাকেনি। ৪৪তম মিনিটে রিচার্লিসনের আরও একটি শট দারুণ ক্ষিপ্ততায় বাঁদিকে ঝাঁপিয়ে ফিরিয়ে দেন পেরু গোলরক্ষক পেদ্রো গেলেস।
৫০তম মিনিটে তো অবিশ্বাস্য এক মিস করেন অ্যালান। ডি বক্সের মধ্যে নিখুঁত এক পাস দিয়েছিলেন রিচার্লিসন। একেবারে ফাঁকায় বল পেয়েও লক্ষ্যভেদ করতে পারেননি অ্যালান। গোলরক্ষক বরাবর মেরে সহজ সুযোগ নষ্ট করেন। চার মিনিট পর ফিলিপ কৌতিনহোর নেওয়া জোরালো শট ঝাঁপিয়ে পরে ঠেকিয়ে দেন পেরু গোলরক্ষক গেলেস। ৬২ মিনিটে কৌতিনহোকে আরও একবার হতাশ করেন পেরু গোলরক্ষক। এবারও বাঁদিকে ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেন তার শট।
৮৫তম মিনিটে ধারার বিপরীতে গোল দিয়ে বসে পেরু। সেট পিস থেকে দারুণ ক্রস করেন ইয়সিমার ইয়তুন। লাফিয়ে উঠে দর্শনীয় হেডে বল জালে জড়ান লুইস আব্রাহাম। এরপর গোল শোধ করার বেশ চেষ্টা করে ব্রাজিল। কিন্তু সাফল্য না পেলে হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় তাদের।
Comments