কামিন্স-হ্যাজেলউড নয়, ইংল্যান্ডকে ভোগাচ্ছেন মার্শ
প্যাট কামিন্সের মতো গতির ঝড় তুলতে তিনি পারেন না। জশ হ্যাজেলউডের মতো লাইন-লেংথ ঠিক রেখে একটানা বল করে যেতেও দেখা যায় না তাকে। তবে সেই মিচেল মার্শই হয়ে দাঁড়িয়েছেন ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের গলার কাঁটা। অস্ট্রেলিয়ার জার্সিতে প্রায় নয় মাস পর খেলতে নেমে তিনি বেজায় ভুগিয়েছেন বেন স্টোকস-জনি বেয়ারস্টোদের।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) অ্যাশেজ সিরিজের পঞ্চম ও শেষ টেস্টের প্রথম দিন শেষে ৮২ ওভারে ৮ উইকেটে ২৭১ রান তুলেছে ইংল্যান্ড। মার্শের তোপের মাঝে স্বাগতিকদের তিনশো ছোঁয়া সংগ্রহের আশা দেখিয়ে চলেছেন জস বাটলার। তিনি উইকেটে আছেন ৮৪ বলে ৬৪ রানে। সঙ্গী জ্যাক লিচ ব্যাট করছেন ৩১ বলে ১০ রানে।
ওভালে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই জো ডেনলির (১৪) উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। তাকে ফেরান কামিন্স। এরপর জুটি বেঁধে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন আরেক ওপেনার ররি বার্নস ও অধিনায়ক জো রুট। তাদের প্রতিরোধের সঙ্গে যুক্ত হয় অসি ফিল্ডারদের ক্যাচ ফেলার মহড়া। শেষ পর্যন্ত ৭৬ রানের এই জুটি ভেঙে অসি শিবিরে স্বস্তি আনেন হ্যাজেলউড।
বার্নস ৪৭ রান করে আউট হন। এরপর মঞ্চে আবির্ভূত হন মিডিয়াম পেসার মার্শ। স্টোকসকে (২০) পরিণত করেন নাথান লায়নের ক্যাচে। তবে ৩ উইকেটে ১৬৯ রান নিয়ে বেশ সুবিধাজনক অবস্থানে থেকেই চা বিরতিতে যায় ইংল্যান্ড। এর মধ্যে রুট তুলে নেন ক্যারিয়ারের ৪৫তম ফিফটি। সেই সঙ্গে পেরিয়ে যান ৭ হাজার টেস্ট রানের মাইলফলক।
শেষ সেশনে বদলে যায় ম্যাচের চিত্র। চালকের আসন দখল করে অস্ট্রেলিয়া। তিনবার জীবন পাওয়া রুটকে বিদায় করেন কামিন্স। ১৪১ বলের ধৈর্যশীল ইনিংসে ৫৭ রান করেন রুট। পরের গল্পটা মার্শের। একে একে ফেরান বেয়ারস্টো (২২), স্যাম কারান (১৫) ও ক্রিস ওকসকে (২)। তারপর জোফরা আর্চারের (৯) উইকেট শিকার করেন হ্যাজেলউড।
দিনের শেষ সময়টা অবশ্য নির্বিঘ্নে পার করে ইংল্যান্ড। মারমুখী ব্যাটিং করেন বাটলার। তিনি দেখা পান টেস্ট ক্যারিয়ারের ১৫তম হাফসেঞ্চুরির। অসিদের হয়ে মার্শ ৩৫ রানে নেন ৪ উইকেট। ২টি করে উইকেট দখলে করেন কামিন্স ও হ্যাজেলউড।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: (প্রথম দিন শেষে)
টস: অস্ট্রেলিয়া
ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংস: ৮২ ওভারে ২৭১/৮ (বার্নস ৪৭, ডেনলি ১৪, রুট ৫৭, স্টোকস ২০, বেয়ারস্টো ২২, বাটলার ৬৪*, কারান ১৫, ওকস ২, আর্চার ৯, লিচ ১০*; কামিন্স ২/৭৩, হেইজেলউড ২/৭৬, সিডল ০/৬১, মার্শ ৪/৩৫, লায়ন ০/১২,লাবুশেন ০/৫)।
Comments