ফল প্রকাশের দু’মাস পরেও এইচএসসির ফল মেলেনি ২৭ শিক্ষার্থীর

যশোর বোর্ডের এইচএসসি পরীক্ষায় খুলনার তিনটি কলেজের ২৭ জন শিক্ষার্থী এখনও তাদের ফলাফল পাননি। ফলে হুমকির মুখে পড়েছে তাদের শিক্ষাজীবন।
Jessore Education Board
মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, যশোর। ছবি: সংগৃহীত

যশোর বোর্ডের এইচএসসি পরীক্ষায় খুলনার তিনটি কলেজের ২৭ জন শিক্ষার্থী এখনও তাদের ফলাফল পাননি। ফলে হুমকির মুখে পড়েছে তাদের শিক্ষাজীবন।

গত রবিবার জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার আবেদনের তারিখও শেষ হয়ে গেছে। ফল না পাওয়া শিক্ষার্থীরা বঞ্চিত হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ থেকেও। এ নিয়ে ওইসব শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা চরমভাবে হতাশ হয়ে পড়েছেন।

খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলার চাঁদখালী ও রাড়ুলি কলেজ এবং পার্শ্ববর্তী সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার শালিখা কলেজের শিক্ষার্থীরা এইচএসসি পরীক্ষা-২০১৯ এ রাড়ুলি (৩৮৪ নম্বর) কেন্দ্র থেকে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন। পরীক্ষায় যথানিয়মে অংশগ্রহণ করেন এবং কোনো প্রকার অনিয়মের আশ্রয় নেননি বলে দাবি তাদের। তবে গত ১৭ জুলাই সকল বোর্ডের পরীক্ষার ফল প্রকাশ হলেও উক্ত তিনটি কলেজের ২৭ জন শিক্ষার্থীর ফলাফল ‘রিপোর্টেড’ (প্রকাশ করা হয়নি) করা হয়েছে।

এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট কলেজের অধ্যক্ষের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি। সন্তোষজনক কোনো জবাব দিতে পারেননি কেন্দ্র সচিবও।

এরপর গত ২৩ জুলাই যশোর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাধবচন্দ্র রুদ্রর সঙ্গে দেখা করেন ফলাফল বঞ্চিতরা। এ সময় তিনি জানান, ইংরেজি প্রথম পত্রের পরীক্ষার খাতায় হাতের লেখা দু’রকম থাকায় তাদের ‘রিপোর্টেড’ করা হয়েছে।

এ নিয়ে কথা হয় চাঁদখালী কলেজের সাদিয়া তানজির, আরাফা খাতুন, পিংকী নন্দী, মানছুরা, ইব্রাহিম, লিটন হোসেন, নাইম হাসান, নমিতা হালদার এবং শালিখা কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী তিন্নি রানী কর্মকার, সুফিয়া খাতুন, শারমিন, জুলি খাতুন, সুমন ও রাহাতের সঙ্গে।

নিজেদের নির্দোষ দাবি করে তারা বলেন, তারা নিজেরা যথানিয়মে খাতায় উত্তর লিখেছেন। বিষয়টি মাধবচন্দ্র রুদ্রকে জানানো হলে তিনি তা তদন্ত করা হবে বলে আশ্বস্ত করেন।

গত ৩ আগস্ট বোর্ড কর্তৃপক্ষ কেন্দ্রে গিয়ে এ বিষয়ে তদন্ত করেন। তারপর দীর্ঘ এক মাস পেরিয়ে গেলেও এখনও তাদের পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ কর হয়নি।

চাঁদখালী কলেজের ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের এইচএসসি পরীক্ষার্থী সাদিয়া তানজির বলেন, “ফলাফল জানার জন্য আমি এ পর্যন্ত চারবার বাড়ি থেকে যশোর বোর্ডে গিয়েছি। প্রতিবারই আমাকে বোর্ড থেকে বলা হয়েছে, আমরা দ্রুত মিটিং করে সিদ্ধান্ত জানাবো। কিন্তু এখনও আমাদের বোর্ড থেকে কোনো সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি।”

এ ব্যাপারে যশোর শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাধবচন্দ্র রুদ্র বলেন, “উক্ত পরীক্ষার্থীদের খাতায় মারাত্মক কিছু অসংলগ্নতা রয়েছে। ফলে পরীক্ষকরা তাদের ‘রিপোর্টেড’ করেছেন। এ ব্যাপারে ইতোমধ্যে তদন্ত হয়েছে। কেন্দ্র ও পরীক্ষা কমিটির সঙ্গে কোনো সংশ্লিষ্টতা আছে কী না সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আশা করছি, এ ব্যাপারে আগামী সপ্তাহের মধ্যে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।”

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

9h ago