চাইলেই রশিদ-মুজিবদের ছক্কা মারা যায় না, বললেন মোসাদ্দেক

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

বছর খানেক আগের কথা। ভারতের বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক হয় রশিদ খানের। সে ম্যাচে কি বেদম পিটুনিই না খেলেন তিনি। শেখর ধাওয়ান, মুরালি বিজয়, হার্দিক পান্ডিয়াদের তোপে ১৫০ রান খরচ করে উইকেট পেয়েছেন একটি। আর সংক্ষিপ্ত সংস্করণেই উদাহরণটা তো খুবই টাটকা। বিশ্বকাপে তাকে গলির বোলারের মতো পিটিয়েছেন ইংলিশরা। খরুচে বোলারের তালিকায় রেকর্ড বইয়ে নাম লিখিয়ে দিয়েছেন। টি-টোয়েন্টিতে ২০১৬ বিশ্বকাপে তাকে বেড়ধক পিটিয়েছিলেন এবি ডি ভিলিয়ার্স। তাকে সাবলীলভাবে খেলেন বিশ্বমানের প্রায় সব ব্যাটসম্যানরা।

কিন্তু বাংলাদেশের ক্ষেত্রেই প্রেক্ষাপটটা সম্পূর্ণ ভিন্ন। রশিদ খানের সামনে পড়লে যেন সাকিব-মুশফিকরা ক্রিকেটটাই ভুলে যান। তবে যে শুধু রশিদ খান তাও নয়, অফস্পিনার মুজিব উর রহমানও ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠেন টাইগারদের বিপক্ষে। অখ্যাত জহির খানও ভুগিয়েছেন টেস্টে। মিরপুরে আফগানদের বিপক্ষে হারের পর অধিনায়ক সাকিব বলেছেন স্কিলের ঘাটতির কথা। এদিন অধিনায়কের সঙ্গে সুর মিলিয়ে একই কথা বললেন তরুণ মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতও।

'স্কিলের ব্যাপারটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ক্ষেত্রে। ওদের বেশিরভাগ স্পিনার রিস্ট স্পিনার। ওদের সামনে চাইলেই সবসময় ছয়-চার মারতে পারবেন না। স্কিলেরও একটু ব্যাপার আছে। তো আমার মনে হয় আমরা যেভাবে বাস্তবায়ন করছি সবগুলোই মোটামুটি ঠিক আছে। কিছু কিছু জায়গায় হয়ত একটু ঘাটতি রয়ে গেছে। এ কারণে হয়তোবা ছোট ছোট দূরত্ব তৈরি হচ্ছে, অল্প রানে আমরা ম্যাচ হেরে যাচ্ছি। আমি মনে করি এগুলো যত কমানো যায়, যত বেরিয়ে আশা যায় ততো আমাদের জন্য ভালো।' -সংবাদ সম্মেলনে এমনটাই বলেছেন মোসাদ্দেক।

তবে এ সমস্যা থেকে উত্তরণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন মোসাদ্দেকরা। আরেকটি হিসেবনিকেশ করে ক্রিকেট খেললে জয়ের সম্ভাবনা বেড়ে যাবে বলে মনে করেন এ তরুণ, 'আফগানিস্তানের সঙ্গে বিষয়টা হয় কি ওদের স্পিনার নিয়ে সবসময় কথাটা উঠে আসে বেশি। আমরা ম্যাচ হারছি ১৫/২০ রানে। ওদের যে স্পিনাররা আছে আমরা যদি আরেকটু হিসেব করে খেলি বা আরেকটু...যে ভুলগুলো করছি তা আরেকটু কমানো যায়। টি-টোয়েন্টিতে ১৬০ রান হবে এটাই স্বাভাবিক, সেখানে হয়তো আমরা ১৪৫ বা ১৫০ করতেছি। যে জায়গায় আমরা একটু বেশি তাড়াহুড়া করছি সে জায়গায় দ্রুত ভুল কমাতে পারলে ম্যাচ জেতার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে।'

মোসাদ্দেকের দৃষ্টিতে ২৫ রানের হারটাও ছোট। কিন্তু বাস্তবতা হলো টি-টোয়েন্টিতে এ হারকে বিশালই ধরা হয়। আফগানদের বিপক্ষে হারের পর এটা স্বীকার করে নিয়েছেন অধিনায়ক সাকিবও। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের আত্মবিশ্বাসই তলানিতে। আর আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলতে গেলে এটা আরও নিচে নেমে যায়। মানসিকভাবেই পিছিয়ে থাকে তারা। আর এ সুযোগটাই বারবার নিচ্ছেন রশিদ খানরা।

Comments

The Daily Star  | English

Complete polls preparations by December: Yunus

Asks to review if those who served as polling officers in past three elections shall not be assigned the same roles again

2h ago