‘ছাত্রলীগ আমাদের ওপর হামলা চালায়, নারী শিক্ষার্থীদের লাঞ্ছিত করে’
দুর্নীতি ও জালিয়াতির বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ ঘেরাও করে অবস্থান নেওয়ায় ছাত্রলীগের হামলার শিকার হওয়ার অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
আজ (১৮ সেপ্টেম্বর) বেলা সোয়া একটার দিকে এই ঘটনা ঘটে।
সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট (মার্কসবাদী বাসদ সমর্থিত) ঢাবি শাখার সভাপতি সালমান সিদ্দিকী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, “ভর্তি জালিয়াতির ঘটনায় উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান ও ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলামের পদত্যাগসহ তিন দফা দাবিতে আজ ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদ ঘেরাও করে আমরা অবস্থান করছিলাম। এসময় ‘সাধারণ শিক্ষার্থীবৃন্দ’ ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের ৫০-৬০ জন নেতা-কর্মী এসে অতর্কিতে আমাদের ওপর হামলা চালায়, নারী শিক্ষার্থীদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করে।”
“আমাদের এক সহযোগী আসিফকে মেরেছে ওরা। চোখে আঘাত পাওয়ায় ওকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে”, যোগ করেন তিনি।
হামলাকারীরা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী নিশ্চিত হলেন কীভাবে? প্রশ্নের জবাবে সালমান সিদ্দিকী বলেন, “তাদের অনেককেই আমরা আগে থেকেই চিনি। এদের মধ্যে ছিলেন বিজয় একাত্তর হল সংসদের এজিএস আবু ইউনুস। কবি জসীম উদ্দিন হল শাখা ছাত্রলীগের পদপ্রত্যাশী ইমাম-উল-হাসান, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হল সংসদের জিএস মেহেদী হাসান মিজান। এছাড়াও, সার্জেন্ট জহুরুল হক হল শাখা ছাত্রলীগ কর্মী মাহফুজুর রহমান ইমন, মাস্টারদা সূর্যসেন হল শাখা ছাত্রলীগ সদস্য সাব্বির হোসেন শোভন, সার্জেন্ট জহুরুল হক হল শাখা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক সাকিবুর রহমান সায়েম, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগ কর্মী আল ইমরান, বিজয় একাত্তর হল শাখা ছাত্রলীগ কর্মী রেদোয়ান দীপু।”
হামলার বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান ও প্রক্টর এ কে এম গোলাম রব্বানীকে জানানোর পরও তাদের দিক থেকে তেমন সাড়া পাননি বলেও অভিযোগ করেছেন সালমান।
তিনি বলেন, “হামলার পরপরই আহত আসিফকে নিয়ে আমরা প্রক্টরের কার্যালয়ে যাই। কিন্তু প্রক্টর সেসময় সেখানে ছিলেন না। পরে মোবাইল ফোনে তাকে বিষয়টি জানালে তিনি খোঁজ নিচ্ছেন বলে জানান।”
“এছাড়াও, উপাচার্য বলেন যে, তিনি এ ব্যাপারে প্রক্টরের সঙ্গে কথা বলবেন”, বলেন সালমান সিদ্দিকী।
এ বিষয়ে দ্য ডেইলি স্টারকে ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং ডাকসুর এজিএস সাদ্দাম হোসেন বলেন, “এ হামলার সঙ্গে ছাত্রলীগের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। দুইদল শিক্ষার্থীর মধ্যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার কোনো অনুসারী নেই।”
আরো পড়ুন:
Comments