৬০-৭০ ভাগ দিতে পারলেই আফগানদের হারানো সম্ভব: সাইফ

ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই বাংলাদেশের ম্যাচ জয়ের ব্যবধানে এগিয়েছিল আফগানিস্তান। মিরপুরে সে ব্যবধানটা আরও বাড়ায় দলটি। তাতে টাইগারদের ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ জয়ের পরিসংখ্যানে এগিয়েছিল আফগানিস্তান। মিরপুরে সে ব্যবধানটা আরও বাড়ায় দলটি। তাতে টাইগারদের আত্মবিশ্বাসে বেশ আঘাত লাগে। টানা ব্যর্থতার মধ্যে থাকা দলের সামর্থ্য নিয়েও তখন নানা প্রশ্ন উঠেছিল। তবে সাগরিকায় আগের দিন আফগানদের বিপক্ষে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। কাটিয়েছে ‘জুজু’। ফলে আত্মবিশ্বাসটা অনেক বেড়েছে ক্রিকেটারদের।
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট শুরুর আগেই বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ জয়ের পরিসংখ্যানে এগিয়েছিল আফগানিস্তান। মিরপুরে সে ব্যবধানটা আরও বাড়ায় দলটি। তাতে টাইগারদের আত্মবিশ্বাসে বেশ আঘাত লাগে। টানা ব্যর্থতার মধ্যে থাকা দলের সামর্থ্য নিয়েও তখন নানা প্রশ্ন উঠেছিল। তবে সাগরিকায় আগের দিন আফগানদের বিপক্ষে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। কাটিয়েছে ‘জুজু’। ফলে আত্মবিশ্বাসটা অনেক বেড়েছে ক্রিকেটারদের। টুর্নামেন্টে টানা দুই জয়ে ফিরেছে ছন্দ, কেটে গেছে সামর্থ্য নিয়ে সংশয়ও। তাই নিজেদের শতভাগ নয়, ৬০/৭০ ভাগ দিতে পারলেই ফাইনালে আফগানদের হারানো সম্ভব বলে মনে করছেন দলের তরুণ ক্রিকেটার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন।

টি-টোয়েন্টি র‍্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের চেয়ে বেশ এগিয়ে আফগানিস্তান। শারীরিক সামর্থ্য আর পাওয়ার হিটিংয়েও তাদেরই এগিয়ে রাখতে হয়। তবে সামর্থ্যের পুরোটা দিয়ে খেলতে পারলে বাংলাদেশকেও খুব একটা পিছিয়ে রাখার উপায় নেই। আগের দিনই তার প্রমাণ মিলেছে। কারণ সেরা খেলাটা না খেলেও ফল নিজেদের দিকে আনতে পেরেছে তারা। সাগরিকায় ফিল্ডিংয়ের শুরুটা ছিল যাচ্ছেতাই। ক্যাচ ফেলে দেওয়া, রানআউটের সুযোগ হাতছাড়া করা, শুরুর চাপ ধরে না রাখতে পেরে এলোমেলো বোলিং। তবে ইনিংসের মাঝপথে নিজেদের গুছিয়ে নেয় বাংলাদেশ। ফলে আফগানরা আটকে যায় অল্প রানে। কিন্তু ব্যাটিংয়ের শুরুটাও ভালো ছিল না। বাকিদের ব্যর্থতার মিছিলে অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ঝলমলে এক ইনিংস খেলার কারণেই জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ। অবশ্য মাঝে মুশফিকুর রহিম ও শেষে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত সঙ্গ দেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারকে।

ফাইনালে ফের আফগানদের বিপক্ষেই খেলবে বাংলাদেশ। শেষ ম্যাচে পাওয়া জয় ক্রিকেটারদের মনে আত্মবিশ্বাসের জ্বালানী সরবরাহ করেছে বলে রবিবার (২২ সেপ্টেম্বর) জানিয়েছেন সাইফউদ্দিন। টুর্নামেন্টের শিরোপা জেতার ব্যাপারে তিনি আশাবাদী, ‘আমরা প্রতিটা ম্যাচই জেতার জন্য খেলি। যেহেতু আফগানিস্তানের সঙ্গে একটা ম্যাচ হেরেছিলাম, সেহেতু আমাদের ঘাটতিগুলো নিয়ে আমাদের কোচ, অধিনায়ক- সবাই কথা বলেছে। ইনশাআল্লাহ শতভাগ না দিলেও, ৬০-৭০ ভাগ দিতে পারলেও ম্যাচ জেতা সম্ভব। যেটা আমরা গতকালই প্রমাণ করেছি।’

টুর্নামেন্ট শুরুর আগে টি-টোয়েন্টিতে জয়ের পাল্লায় আফগানিস্তানের চেয়ে ১-৩ ব্যবধানে পিছিয়ে ছিল বাংলাদেশ। সেই ২০১৪ সালে প্রথম দেখায় জয়ের পর গেল বছর দেরাদুনে টানা তিনটি ম্যাচ হেরেছিল টাইগাররা। আর টুর্নামেন্টের শুরুতে হেরে ব্যবধান দাঁড়ায় ১-৪। সাগরিকায় জয়ে ব্যবধান কিছুটা কমানো গিয়েছে। এবার ফাইনালে জিতে তা আরও কমাতে চান এই পেস অলরাউন্ডার, ‘পরিসংখ্যান ছিল ৪-১। ওরা টি-টোয়েন্টি অনেক বেশি খেলে, ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ খেলে, কিছু খেলোয়াড় খুব অভিজ্ঞ। কিন্তু আমাদের দলেও অনেক অভিজ্ঞ খেলোয়াড় রয়েছে। যেহেতু আরও দুটি ম্যাচ ছিল (সাগরিকার ম্যাচসহ), আমাদের লক্ষ্য ছিল ৪-৩ করার। সে সুযোগটা এসে গেছে এর মধ্যেই। এখনই ৪-২ হয়েছে। ইনশাআল্লাহ ফাইনালে যদি জিততে পারি, তবে ৪-৩ হবে, ব্যবধানটা কমবে।’

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

8h ago