সেতু উদ্বোধনের আগেই ভেঙে পড়ছে অ্যাপ্রোচ রোড

মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরের সড়ক ও জনপথের (সওজ) প্রকল্পের আওতায় নির্মাণাধীন শ্রীনগর-মুন্সীগঞ্জ সড়কের হরপাড়া জামে মসজিদ সংলগ্ন খালের ওপর সেতুটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করার আগেই এর দুই পাশের অ্যাপ্রোচ সড়ক ভেঙে পড়ছে।
Munshiganj Approach Road
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে সেতু উদ্বোধনের আগেই ভেঙে পড়ছে অ্যাপ্রোচ রোড। ছবি: স্টার

মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরের সড়ক ও জনপথের (সওজ) প্রকল্পের আওতায় নির্মাণাধীন শ্রীনগর-মুন্সীগঞ্জ সড়কের হরপাড়া জামে মসজিদ সংলগ্ন খালের ওপর সেতুটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করার আগেই এর দুই পাশের অ্যাপ্রোচ সড়ক ভেঙে পড়ছে।

এছাড়াও, সেতুর দুই পাশের রাস্তার ড্রেনও ভেঙে যাচ্ছে। কাজে অনিয়মের কারণেই এমনটা হচ্ছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন।

সূত্র মতে, হরপাড়া খালের ওপরসহ তিনটি সেতু নির্মাণে প্রায় ২৭ কোটি টাকার টেন্ডার পায় এইচ বি এস প্রাইভেট লিমিটেড।

মূল সেতুর কাজ শেষ। এর ওপর দিয়ে যানবাহনও চলাচল করছে। সেতুর পূর্ব ও পশ্চিম পাশের অ্যাপ্রোচ সড়কের কাঠামোতে বড় বড় ফাটল ধরেছে। অনেকাংশে মাটি সরে গিয়ে (অ্যাপ্রোচ) ঢালাই ভেঙে খালে ও বিভিন্ন দোকানের নিচে চলে গেছে।

সেতু ও রাস্তার পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেন ব্যবস্থাও কোনো কাজে আসছে না। মাটি সরে গিয়ে রাস্তায় ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। অ্যাপ্রোচ সড়ক ভেঙে রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় ড্রেনের মধ্যে একটা দূরত্বের সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে বৃষ্টির পানি সঠিকভাবে ড্রেন দিয়ে যেতে পারছে না।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ২/৩ মাস আগে সেতুর কাজ শেষ হয়েছে। এটি এখন আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের অপেক্ষায় রয়েছে। অথচ সেতুর অ্যাপ্রোচ এখনই ভেঙে পড়ছে। অ্যাপ্রোচের কাজে নির্মাণাধীন প্রতিষ্ঠান যদি সঠিক নিয়মে কাজ করতো তাহলে এভাবে ভেঙে পড়তো না বলে তারা জানান।

এইচবিএস (প্রাইভেট লিমিটেড) ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সাব-কনট্রাকটর মো. সাজ্জাদুল ইসলাম লিমনের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ১ বছরের মধ্যে সংস্কারের কাজ করার সুযোগ রয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বললে সংস্কার কাজ করবো।

মুন্সীগঞ্জ সড়ক ও জনপথের শ্রীনগর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. সৈয়দ আলম বলেন, “আমি এখানে নতুন এসেছি। বিষয়টি আমি অবগত নই। আমি এখনই খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি।”

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

10h ago