এক হাত না থাকলেও এগিয়ে যেতে হবে: রশিদ

বাংলাদেশের বিপক্ষে লিগ পর্বের শেষ ম্যাচ। ১৩৮ রানের পুঁজি আটকাতে গিয়ে রশিদ খানের দল তখন ধীরে ধীরে চলে যাচ্ছে ম্যাচের বাইরে। বল করতে আসার আগে পেশিতে টান লেগে রশিদ নিজেও ছিটকে যান মাঠের বাইরে। পরে দলের প্রয়োজনে চোট নিয়েই ফিরে এসে বল হাতে নেন, আনেন ব্রেক থ্রুও। অবশ্য তার দল আর পেরে ওঠেনি সে ম্যাচে। চোট মামুলি হলেও আফগানিস্তান অধিনায়ক ফাইনালের আগে জানালেন, দেশের প্রয়োজনে নিজেদের ব্যক্তিগত অবস্থাকে কতটা তুচ্ছ করেন তারা।
Rashid Khan
আফগানিস্তান অধিনায়ক রশিদ খান। ফাইল ছবি: ফিরোজ আহমেদ

বাংলাদেশের বিপক্ষে লিগ পর্বের শেষ ম্যাচ। ১৩৮ রানের পুঁজি আটকাতে গিয়ে রশিদ খানের দল তখন ধীরে ধীরে চলে যাচ্ছে ম্যাচের বাইরে। বল করতে আসার আগে পেশিতে টান লেগে রশিদ নিজেও ছিটকে যান মাঠের বাইরে। পরে দলের প্রয়োজনে চোট নিয়েই ফিরে এসে বল হাতে নেন, আনেন ব্রেক থ্রুও। অবশ্য তার দল আর পেরে ওঠেনি সে ম্যাচে। চোট মামুলি হলেও আফগানিস্তান অধিনায়ক ফাইনালের আগে জানালেন, দেশের প্রয়োজনে নিজেদের ব্যক্তিগত অবস্থাকে কতটা তুচ্ছ করেন তারা।

সেদিন চোটের কারণে খেলার অষ্টম ওভারে মাঠ ছাড়েন রশিদ, আবার ফিরে বল কারতে আসেন ১৩ ওভার পরে। চেষ্টা চালিয়েও দলকে জেতাতে পারেননি, আফগানিস্তান হারে ৪ উইকেটে। সেদিনের হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট এখনও সেরে ওঠেনি। খেলা না থাকায় রোববার ও সোমবার দুদিন কাজে লাগাচ্ছেন চোট সারাতে। খেলার ব্যাপারে এখনও অবশ্য নিশ্চয়তা মেলেনি। তবে নিজের কথাতেই বুঝিয়েছেন, ফাইনালে তার না খেলাই হবে বিশাল আশ্চর্যের।

শনিবারের ম্যাচে তার হ্যামস্ট্রিংয়ের যে পরিস্থিতি ছিল, তাতে কোচ-ফিজিওর সায় ছিল না ফের মাঠে নামার। নিজের মনোবলে জোর করে নেমেই তিনি আউট করেন মাহমুদউল্লাহকে, দ্বিতীয় ওভারে ফেরান আফিফ হোসেনকে। কিন্তু চোট ভোগাতে থাকায় তৃতীয় ওভারে সাকিব আল হাসানের হাতে মার খেয়ে দেন ১৮ রান। রশিদ জানান, ‘কোচ ও ফিজিও চায়নি আমি বল করতে আসি। প্রথম দুই ওভারে আমি ঠিকঠাক ছিলাম। কিন্তু যখন দৌড়ালাম, তখনই বাজে হতে লাগল ব্যাপারটা। আশা করি, কাল ঠিক থাকবে। ফিজিও অনেক কাজ করছে।’

শরীরে ধকল নিয়েও বিরূপ পরিস্থিতিতে রশিদের নামার কারণ দেশের প্রয়োজন। আফগানিস্তান অধিনায়ক উদাহরণ দিয়ে জানালেন, দেশের প্রয়োজনে নিজেদের ব্যক্তিগত পরিস্থিতিকে কতটা তুচ্ছ করেন তারা, ‘আমার মনে হয়, আমার বল করতে আসা উচিত হয়নি। কিন্তু দলের প্রয়োজন যখন, তখন আপনাকে আসতে হবে (সামনে)। বিশেষ করে যে দেশের হয়ে আমরা খেলি। আমরা নিজেদের ফোকাস করার চেয়ে দেশকে প্রাধান্য দেই। এমনকি যদি এক হাত না-ও থাকে, তবু এগিয়ে যেতে হবে।’

‘আসগর আফগান অ্যাপেন্ডিক্স অপারেশনের চারদিন পর জিম্বাবুয়েতে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে খেলতে নেমেছিল। যদি আমাদের ১০ ভাগও সম্ভাবনা থাকে, আমরা সেটা নিয়ে থাকি। আমি আমার দেশকে ভালোবাসি। নিজের চেয়ে দেশকে জিততে দেখতে চাই।’

Comments

The Daily Star  | English

Public won't tolerate interim govt staying for a long time: Fakhrul

Elected representatives should decide what reforms are necessary, says BNP secretary general

30m ago