‘এখনও নিখুঁত ক্রিকেট খেলতে পারিনি’

আফগানিস্তানের বিপক্ষে হার আর দুর্বল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জয় পেতে ঘাম ছুটে যায় টাইগারদের। মিরপুরে ত্রিদেশীয় সিরিজের শুরুটা ছিল খুব ভয়ানকই। সেখান থেকে সাগরিকায় গিয়ে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। টানা দুটি ম্যাচে জয়। কিন্তু এখনও নিজেদের সেরা ক্রিকেটটা খেলতে পারেনি বাংলাদেশ। এমনটাই দাবি করলেন প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো। তবে ফাইনালে নিজেদের সেরাটা দেওয়ার প্রত্যয় ঝরল তার কণ্ঠে।
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

আফগানিস্তানের বিপক্ষে হার আর দুর্বল জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে জয় পেতে ঘাম ছুটে যায় টাইগারদের। মিরপুরে ত্রিদেশীয় সিরিজের শুরুটা ছিল খুব ভয়ানকই। সেখান থেকে সাগরিকায় গিয়ে ঘুরে দাঁড়ায় বাংলাদেশ। টানা দুটি ম্যাচে জয়। কিন্তু এখনও নিজেদের সেরা ক্রিকেটটা খেলতে পারেনি বাংলাদেশ। এমনটাই দাবি করলেন প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো। তবে ফাইনালে নিজেদের সেরাটা দেওয়ার প্রত্যয় ঝরল তার কণ্ঠে।

চট্টগ্রামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বেশ দাপটের সঙ্গেই জিতেছে বাংলাদেশ। শুরু থেকে পুরো ম্যাচে ছিল টাইগারদের একচ্ছত্র আধিপত্য। আফগানদের বিপক্ষে অবশ্য জয় পেতে কিছুটা বেগ পেতে হয়েছে। অধিনায়ক সাকিব আল হাসানের নৈপুণ্যে কোনো অঘটন ঘটেনি। অন্যথায় সে ম্যাচের ফলও ভিন্ন কিছু হতে পারত। আর এসব কারণেই নিজেদের সেরা খেলাটার খোঁজে রয়েছেন কোচ।

বিশেষ করে ব্যাটিংয়ে আরও উন্নতি চান ডমিঙ্গো, ‘আমরা এখনও নিখুঁত ক্রিকেট খেলতে পারিনি। কিছু কিছু জায়গায় আমরা ভালো ছিলাম, কিছু কিছু ক্ষেত্রে গড়পড়তা। আমরা এখনও সেরাটা খেলাটা দেখানোর পথ খুঁজছি। যেমন, আমরা কেবল ২ উইকেট হারিয়ে শেষ ৫-৬ ওভারে যেতে পারিনি। প্রথম ১০ ওভারে আমরা অনেক বেশি উইকেট হারিয়ে ফেলেছি। আমাদের চাওয়া, ২ উইকেটে হারিয়ে ১৫ ওভার শেষ করা। তাতে শেষ দিকে ঝড় তোলার ভিত গড়ে উঠবে। এটায় মনোযোগ দিতে হবে। আশা করি ফাইনালে সেটি পারব।’

তবে আফগানদের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে জিতলেও তাদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি পরিসংখ্যান খুব একটা ভালো নয় টাইগারদের। সে সব কিছু জানেন কোচ। কিন্তু সেরাটা দিতে পারলে জয় পাওয়াটা কঠিন হবে না বলে মনে করেন তিনি, ‘আফগানিস্তান অবশ্যই ভালো দল। তবে আমরা জানি, নিজেদের সামর্থ্য অনুযায়ী খেললে আমরা যে কোনো দলকে হারাতে পারি। সামর্থ্য অনুযায়ী খেলতে পারলে তাই বিস্ময়ের কিছু নেই। আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ হবে আমাদের স্কিল ও মানসিকতা এক বিন্দুতে মেলাতে পারা, যেন আফগানিস্তানের মতো দলকে হারাতে পারি। আমরা সেটি করতে পারলে বিস্ময়ের কিছু হবে না।’

এদিকে, উইকেট নিয়েও রয়েছে দুশ্চিন্তা। কারণ চট্টগ্রামে ফ্ল্যাট উইকেটে খেলেই সাফল্য পেয়েছে বাংলাদেশ। অন্যদিকে, মিরপুরের উইকেট বরাবরই স্পিন সহায়ক। কিন্তু নিজেদের স্পিনারদের প্রতিও আস্থা রয়েছে ডমিঙ্গোর, ‘চট্টগ্রামের উইকেটে বরাবরই স্পিন বেশি ধরে না। ঢাকার উইকেটে স্পিনারদের সহায়তা একটু বেশি থাকবে। এটি অবশ্যই আফগানিস্তানকে সুবিধা দেবে। তবে আমাদেরও সুবিধা দেবে। আমাদের দলেও বেশ কজন ভালো স্পিনার আছে। আমাদের মনে হচ্ছে, এখানকার উইকেটে স্পিনারদের জন্য একটু বেশি সহায়তা থাকবে।’

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

7h ago