দর্শকদের কষ্ট অনুভব করছেন সাকিব-মাহমুদউল্লাহ

Spectator
খেলা না হওয়ায় হতাশ দর্শকরা। ছবি: ফিরোজ আহমেদ

বৃষ্টিতে খেলা শুরুর সম্ভাবনা ছিল না বিকেল থেকেই। তবু বিপুল পরিমাণ দর্শক আসতে থাকেন মাঠে। বৃষ্টিতে ভিজে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা চলে তাদের। রাত নয়টায় খেলা যখন পরিত্যক্তের ঘোষণা আসে, তখনও অনেকেই যেন গ্যালারি ছাড়তে চাইছিলেন না। খেলা না হওয়ায় ক্রিকেটের প্রতি তীব্র প্যাশন দেখানো এসব দর্শকের যন্ত্রণা স্পর্শ করেছে বাংলাদেশ দলকে। অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ও মাহমুদউল্লাহ তাদের প্রতি জানিয়েছে সহমর্মিতা।

ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের ফাইনাল ঘিরে দিন কয়েক থেকেই তুমুল হাইপ। খেলার আগের দিন লম্বা লাইনে ক্রিকেট কিনেছিলেন দর্শকরা। টিকেট নিয়ে তৈরি হয় হাহাকারও। কিন্তু বিরূপ আবহাওয়া সব যাবতীয় উৎসবের মঞ্চে জল ঢেলে দিয়েছে। ফাইনালে রিজার্ভ ডে না থাকায় যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন হয়েছে দুদল।

ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ অধিনায়ক আলাদা করেছে বলেন দর্শকদের হতাশার কথা, ‘দর্শকদের জন্য এটি খুবই হতাশার। অনেক আশা নিয়ে জম্পেশ এক ম্যাচ দেখতে এসেছিল তারা। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, বৃষ্টি আমাদের নিয়ন্ত্রণে নেই।’

টুর্নামেন্টের লিগ পর্বে শীর্ষে থেকে ফাইনালে উঠে বাংলাদেশ। টানা দুই ম্যাচ জিতে দলে ছিল ছন্দ ফেরার ইঙ্গিত। এসব কারণে মাঠে খেলা না হওয়ায় হতাশ সাকিব নিজেরাও, ‘ফাইনালের আগে আমরা বেশ ভালো ক্রিকেট খেলেছি, ফাইনাল ম্যাচটি তাই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমার মনে হয়, খেলতে না পারায় দুই দলই হতাশ।’

ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে দলের হয়ে কথা বলতে এসে নিজেদের হতাশার পাশাপাশি দর্শকদের কষ্টের কথা বলেন মাহমুদউল্লাহুও,  ‘আমরা যখন ড্রেসিং রুমে বসে ছিলাম, বৃষ্টি পড়ছিল, দেখছিলাম যে ছোট ছোট বাচ্চারা বৃষ্টিতে ভিজছে। তখন আফসোস লাগছিল যে ম্যাচটা হলে ভালো হতো, বাচ্চাগুলোকে বৃষ্টিতে ভিজতে হতো না। ওদের জন্য খারাপ লাগছিল। আরও সবাই অনেক আশা করে এসেছিল। সবার জন্যই খারাপ লাগছিল। ম্যাচ হয়নি, এজন্য আফসোস বেশি।’

Comments

The Daily Star  | English

JP central office vandalised, set ablaze

A group of unidentified people set fire to the central office of Jatiyo Party in Dhaka's Kakrail area this evening

1h ago