ভিয়ারিয়ালকে হারিয়ে জয়ের ধারায় বার্সেলোনা
চোট কাটিয়ে প্রথমবারের মতো প্রথম একাদশে ফিরলেন দলের সেরা তারকা লিওনেল মেসি। আর অধিনায়কের ফেরার দিনে জয়ের ধারায় ফিরেছে ফুটবল ক্লাব বার্সেলোনা। যদিও ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে কষ্টার্জিত জয় মিলেছে দলটির। ঘরের মাঠে ২-১ গোলের ব্যবধানে জিতেছে স্প্যানিশ চ্যাম্পিয়নরা।
ন্যু ক্যাম্পে শুরুটা দারুণই করেছিল বার্সেলোনা। ১৫ মিনিটেই দুই গোল আদায় করে নেয় স্বাগতিকরা। কিন্তু এরপর সুযোগ পেলেও আর জালের দেখা মেলেনি। উল্টো প্রথমার্ধের শেষ দিকে একটি গোল হজম করে তারা। তবে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ার স্বস্তি মিলেছে দলটি। সব ধরণের প্রতিযোগিতার শেষ দুটি ম্যাচ জয় পায়নি তারা।
লালিগায় ষষ্ঠ ম্যাচে মাত্র তৃতীয় জয় পেয়েছে বার্সেলোনা। তিনটি জয়ই এসেছে ঘরের মাঠে। প্রতিপক্ষের মাঠে দুটি হার ও একটি ড্র। তবে ঘরের মাঠে আগের দুটি জয়ই ছিল বড়। ৫-২ গোলের ব্যবধানে। কিন্তু এদিন ভিয়ারিয়ালের বিপক্ষে জিততে ঘাম ছুটে গেছে তাদের। শেষ ম্যাচে গ্রানাদার মাঠে গিয়ে ০-২ ব্যবধানে হেরেছিল তারা। ৬ ম্যাচে তাদের সংগ্রহ ১০ পয়েন্ট।
সমান সংখ্যক ম্যাচে ১১ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে গ্রানাদা। ৫ ম্যাচে ১১ পয়েন্ট নিয়ে তাদের পরে আছে অ্যাতলেতিক বিলবাও ও রিয়াল মাদ্রিদ। রিয়াল সোসিয়েদাদ, সেভিয়া ও অ্যাতলেতিকো মাদ্রিদের পয়েন্টও ১০। তবে বার্সেলোনার চেয়ে এক ম্যাচ কম খেলেছে দলটি।
লা লিগায় শুরুর একাদশে নিজের চারশতম ম্যাচ খেলতে নামা মেসি শুরু থেকেই দারুণ খেলেছেন। প্রথম গোলের যোগানদাতাও তিনি। তার দারুণ এক কর্নার কিক থেকেই গোল আদায় করে নেন আতোঁয়া গ্রিজমান। লাফিয়ে উঠে হেড দিলে বারপোস্টে লেগে জালে জড়ায় বল। ১৫তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন আর্থুর মেলো। সের্জিও বুসকেতসের কাছ থেকে বল পেয়ে প্রায় ২৫ গজ দূর থেকে বুলেট এক লক্ষ্যভেদ করেন এ ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার।
ম্যাচের ২৬তম মিনিটে বড় ধাক্কা খায় বার্সেলোনা। নিজেদের অর্ধে তিন খেলোয়াড়কে কাটিয়ে বের হতে চেয়েছিলেন সদ্যই ইনজুরিতে থেকে ফেরা মেসি। কিন্তু প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়দের ট্যাকলে ফের ইনজুরিতে পড়েন। মাঠের বাইরে গিয়ে প্রায় তিন মিনিট শুশ্রূষা নিয়েছিলেন। মাঠে ফিরেছিলেনও। কিন্তু শুরুর ছন্দে আর দেখা যায়নি। ছন্দ হারায় বার্সেলোনাও। শেষ পর্যন্ত দ্বিতীয়ার্ধে আর মাঠে নামেননি মেসি।
ম্যাচের ৪৪তম মিনিটে আর্থুরের মতোই দূরপাল্লার এক বুলেট গতির শটে ব্যবধান কমান সান্তি কাসোরলা। অবশ্য এ গোলে কিছুটা হলেও দায় রয়েছে গোলরক্ষক মার্ক-আন্ড্রে টের স্টেগেন। ঝাঁপিয়ে বলের লাইনে গেলেও ঠেকাতে পারেননি তিনি। ফলের ২-১ গোলের ব্যবধান নিয়ে বিরতিতে যায় দুই দল।
দ্বিতীয়ার্ধে মেসির জায়গায় চলতি মৌসুমে প্রথমবারের মতো মাঠে নামেন উসমান দেম্বেলে। বেশ কিছু সুযোগও তৈরি করেছিলেন। কিন্তু তা থেকে গোল আদায় করে নিয়ে পারেননি। আরেক বদলি খেলোয়াড় আনসু ফাতিও অতিথিদের রক্ষণে ভিতি ছড়িয়েছিলেন। কিন্তু লক্ষ্যভেদে ব্যর্থ তিনিও। সুযোগ ছিল ভিয়ারিয়ালেরও। গোল আদায় করতে পারেনি তারাও। শেষ পর্যন্ত প্রথমার্ধের ব্যবধানই হয় ম্যাচের ফলাফল।
Comments