বাংলাদেশে ক্যাসিনোর জন্ম হয়েছে হাওয়া ভবনে: কাদের
ক্ষমতাসীনদের প্রতিটি ঘরকে ক্যাসিনো বা জুয়ার আসর বানানো হয়েছে বলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুলের মন্তব্যের পাল্টা জবাব দিয়ে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, “বাংলাদেশে ক্যাসিনোর জন্ম হয়েছে হাওয়া ভবনে। এটা অনেকেই জানেন। কাজেই এ প্রশ্নের জবাব প্রথমে ফখরুল সাহেবকেই দিতে হবে।”
তিনি বলেন, “মদ ও জুয়া বঙ্গবন্ধু নিষিদ্ধ করেছিলেন। কিন্তু, পরবর্তীতে সেই মদ-জুয়ার প্রবর্তন করেছে বিএনপি সরকার। কাজেই এ কথা বলে লাভ নেই। বিএনপি ব্যবস্থা নিতে পারেনি, আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।”
খালেদা জিয়া যা পারেন নাই, শেখ হাসিনা তা পেরেছেন বলেও মন্তব্য করেন ওবায়দুল কাদের।
আজ (২৫ সেপ্টেম্বর) সকালে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভার সেনানিবাস শুটিং ক্লাব পয়েন্টে আন্ডারপাস নির্মাণ প্রকল্পের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
কাদের বলেন, কিছু কিছু অপকর্মের কারণে সরকারের তথা শেখ হাসিনার বিশাল বিশাল উন্নয়ন ম্লান হয়ে গেছে।
এই অভিযানকে নির্বাচনের আগে লোক দেখানো অভিযান নয় উল্লেখ করে সেতুমন্ত্রী বলেন, “এটা দুর্নীতি, সন্ত্রাস ও অপকর্মের বিরুদ্ধে অভিযান। এসব অপকর্ম মানুষের সহ্য সীমার বাইরে চলে গেছে। কিছু কিছু অপকর্মের কারণে সরকারের তথা শেখ হাসিনার বিশাল বিশাল উন্নয়ন ম্লান হয়ে গেছে। কাজেই গুটি কয়েকের অপকর্মের জন্য আমাদের এতোসব উন্নয়নকে ম্লান হতে দিতে পারি না।”
বর্তমান সরকারের চলমান ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, অভিযান শুধু ঢাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে না। তার মতে, সুনামগঞ্জ থেকে সুন্দরবন ও কুতুবদিয়া থেকে তেতুঁলিয়া পর্যন্ত সারাদেশে যেখানে যতো দুর্নীতিবাজ ও মাদকবাজ আছে সেখানে অভিযান চলবে।
মাদক, দুর্নীতি, টেন্ডারবাজি, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি যারাই করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে উল্লেখ করে তিনি আরো জানান, সেই ব্যক্তি চুনোপুঁটিই হোক আর রাঘব বোয়ালই হোক তাকে ধরা হবে।
সেতুমন্ত্রী বলেন, “এ অভিযানকে সেনা প্রধান স্বাগত ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। কাজেই এখানে চুনোপুঁটি আর রাঘব বোয়াল বলে কোনো কথা নয়। আপনি হয়তো তাকে দেখতে চুনোপুঁটি মনে করছেন কিন্তু, তিনি কাজটা করেছেন রাঘব বোয়ালের মতো।”
“যাদেরকে ধরা হচ্ছে সত্যিকার অর্থে এরাই অপকর্মকারী। তারাই অভিযানের মূল টার্গেট। শেখ হাসিনার অ্যাকশন শুরু হয়েছে। যতোদিন না এসব অপকর্ম আমরা নির্মূল করতে না পারবো ততোদিন এই অভিযান অব্যাহত থাকবে,” যোগ করেন কাদের।
উল্লেখ্য, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের আওতাধীন সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কোর অব ইঞ্জিনিয়ার্স এর ইঞ্জিনিয়ার কন্সট্রাকশন প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করে। ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি নির্মাণকাজ শুরু হয়ে ২০১৯ সালের ৩০ জুন তা শেষ হয়।
Comments