বার্সেলোনায় যোগ দেওয়ার কারণ জানালেন ডি ইয়ং
গত মৌসুম থেকেই দুর্দান্ত ফুটবল খেলে চলেছেন নেদারল্যান্ডসের তরুণ ফ্রাঙ্কি ডি ইয়ং। বর্তমান সময়ের সবচেয়ে সেরা মিডফিল্ডারের খেতাবটাও পেয়ে গেছেন এর মধ্যেই। এ তরুণকে নিয়ে কাড়াকাড়ি কম হয়নি ইউরোপের ক্লাবগুলোর মধ্যে। কিন্তু সবাইকে হতাশ করে আয়াক্স ছেড়ে ফুটবল ক্লাব বার্সেলোনাকে বেছে নেন এ তরুণ। স্প্যানিশ ক্লাবটি তার প্রতি বেশি ভালোবাসা দেখিয়েছে বলেই যোগ দিয়েছেন বলে জানান ২২ বছর বয়সী এ মিডফিল্ডার।
গত মৌসুমের শুরুতে ডি ইয়ংকে কেনার দৌড়ে এগিয়েছিল সিটি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে শক্তি বাড়াতে মাঝ মাঠে বাড়তি খেলোয়াড় চেয়েছিল দলটি। বিশেষকরে ফের্নান্দিনহোর বিকল্প খেলোয়াড় খোঁজাই ছিল মূল লক্ষ্য। ডি ইয়ং ছিলেন সেরা বিকল্প। আর আগের গ্রীষ্মে জর্জিনহো চেলসিতে যোগ দেওয়ায় বেশ মরিয়া হয়ে উঠেছিল ক্লাবটি। কিন্তু তাদের হতাশ করে ৬৮ মিলিয়ন পাউন্ডের বিনিময়ে এ ডাচ তরুণ যোগ দেন বার্সেলোনাতেই।
সম্প্রতি কাতালান গণমাধ্যম এল পেরিওদিকোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বার্সেলোনায় যোগ দেওয়ার কারণটা জানান ডি ইয়ং, 'মূল বিষয়টি ছিল বার্সেলোনার খেলার ধরণ এবং আমাকে তারা কীভাবে দেখেছে। আমাকে নিয়ে তাদের পরিকল্পনাটা কি ছিল। যখন (বার্সেলোনা) আমাকে বলেছে যে তারা আমাকে এখানে খেলতে দেখেছে, তখন থেকেই তারা আমার ব্যাপারে চিন্তা করেছে। তারা আমাকে বোঝাতে সমর্থ হয়েছে। এরপর আমি আমার পরিবার ও এজেন্টের সঙ্গে আলোচনা করে বার্সেলোনায় যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেই। এরপর আমার এজেন্ট দেন-দরবার করতে আসে।'
সিটির মতো বড় অঙ্কের প্রস্তাব দিয়েছিল ফরাসী জায়ান্ট প্যারিস সেইন্ত জার্মেইও (পিএসজি)। কিন্তু টাকার জন্য তিনি দল বদল করেননি এটা স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন ডি ইয়ং, '(টাকার) ব্যাপারে কথা বলা ঠিক হবে না। টাকা আমার চিন্তায় ছিল না। আমাদের আলোচনায় টাকা নিয়ে কখনোই কথা হয়নি। এটা আমার এজেন্টের বিষয় ছিল।'
তবে বার্সেলোনায় যোগ না দিলে যে পিএসজি কিংবা সিটিতে যোগ দিতেন তা স্বীকার করে নিয়েছেন এ ডাচ তরুণ, ''যদি আমি বার্সেলোনায় যোগ না দিতাম তাহলে এর কারণ এখন খুঁজে পাওয়া কঠিন হতো। আমি হয়তো পিএসজি কিংবা সিটিতে যোগ দিতাম।'
আয়াক্সের হয়ে গত মৌসুমটা অবিশ্বাস্য ফুটবল খেলেছেন ডি ইয়ং। জিতেছেন লিগ ও কাপ শিরোপা। এছাড়া ১৯৯৭ সালের পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে খেলার পথে তার ছিল উল্লেখযোগ্য অবদান। এর মধ্যেই তার স্বীকৃতি হিসেবে ইউরোপ ও ফিফার বর্ষসেরা মিডফিল্ডারের পুরস্কারও জিতেছেন।
Comments