জাতীয় লিগে সুযোগ পাওয়া নিয়েও শঙ্কায় তুষার-আশরাফুলরা
![Tamim Iqbal & Mohammad ashraful Tamim Iqbal & Mohammad ashraful](https://tds-images-bn.thedailystar.net/sites/default/files/styles/big_202/public/feature/images/519a8172.jpg?itok=U0ghp_hK×tamp=1569505438)
জাতীয় দলে নেই, জাতীয় দলের আশেপাশে কোন দলেও ঠাঁই হয় না। সারা বছরে কেবল জাতীয় লিগ কিংবা বিসিএল এলেই নামডাক শোনা যায় মোহাম্মদ আশরাফুল, তুষার ইমরান, আব্দুর রাজ্জাকদের। এবার সেই জাতীয় লিগ খেলা নিয়েও শঙ্কায় আছেন তারা। কারণ নির্বাচকদের বেধে দেওয়া নতুন নিয়মে ফিটনেসের কঠিন পরীক্ষা আগে পার হতে হবে তাদের।
জাতীয় লিগকে প্রতিদ্বন্দিতাপূর্ণ করতে গত আসর থেকেই ফিটনেস পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করেন নির্বাচকরা। গতবার ব্লিপ টেস্টের পাস মার্ক ছিল ৯। এবার সেটা বাড়িয়ে করা হয়েছে ১১।
১ অক্টোবর নেওয়া হবে ব্লিপ টেস্ট। তাতে ১১ পেলেই তবে মিলবে জাতীয় লিগ খেলার ছাড়পত্র। প্রথম শ্রেণীতে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রান করা তুষার ও সবচেয়ে বেশি উইকেট নেওয়া রাজ্জাকের বয়স পেরিয়েছে ৩৬। এই বয়সে ব্লিপ টেস্ট ১১ তোলা বেশ কঠিন।
বৃহস্পতিবার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুশীলন করতে আসা এসব ক্রিকেটারদের চোখে ছিল ফিটনেস পরীক্ষা নিয়ে শঙ্কার মেঘ।
জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ আশরাফুল ব্লিপ টেস্টের নতুন নিয়ম নিয়ে জানান তাদের শঙ্কার কথা, ‘
ব্লিপ টেস্টের যে মার্কটা দেয়া হয়েছে। আগে ছিল ৯ এবার ১১ দেয়া হয়েছে। এটা আমাদের জন্য বেশি। যারা ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলছি। সবার মধ্যে একটি একটা আলোচনা হচ্ছে।’
আশরাফুল জানান সারা বছর জুড়ে জাতীয় দলের নিয়মিত খেলোয়াড়দের মতো সুযোগ সুবিধা না পাওয়ায় ফিটনেস ধরে রাখা তাদের জন্য মুশকিল, ‘প্রথম শ্রেণীতে যারা খেলছি, সবাই যদি সুযোগটা পেত অফ সিজনে তাহলে ১১ দেয়া কোনো ব্যাপারই না। গত বছর আমি ১১.৫ পেয়েছিলাম। ওই সুযোগ সুবিধাটা কিন্তু আমরা পাই না। জাতীয় দল বা এইচপি, অ-২৩ ওইসব দলে যারা থাকে না তাদের জন্য কিন্তু কঠিন হয়ে যায়। একা একা ট্রেনিং করাটা।’
‘অনুশীলন করার জায়গাটা তো দরকার। বৃষ্টির সময় থাকে বেশিরভাগ সময়। ওই সময় ইনডোর বলেন বা অনুশীলন করার একটা জায়গা দরকার। এই জায়গা পাওয়া যায় খুব কম। যারা জাতীয় দল, এইচপি বা আন্ডার-২৩ টিমের বাইরে থাকে। তাদের জন্য একটু কষ্টকর। তাও চেষ্টা করছি।’
আশরাফুলের মত একই মত জাতীয় দলে খেলা আরেক ক্রিকেটার শুভাগত হোমের, ‘কাজটা অবশ্যই কঠিন, আমাদের মতো যারা এখন জাতীয় দলের বাইরে আছি তাদের জন্য আরও বেশি কঠিন। আমরা কোনো ক্যাম্প করতে পারছি না। শেষ মুহূর্তে জাতীয় লিগ শুরু হওয়ার আগে হয়তো পাঁচ-সাত দিনের একটি ফিটনেস ট্রেনিং হয়। সেটি দিয়ে কতটা উন্নতি করা যাবে, জানি না। তবে আমরা চেষ্টা করছি এই সময়ের মধ্যে যতটা উন্নতি করা যায়।’
Comments