ক্যান্সার যুদ্ধের মাঝেও খেলায় ফিরতে চান মোশাররফ রুবেল

মস্তিষ্কে ক্যান্সার, নিতে হচ্ছে কেমো থেরাপি। অনেকেই হয়ত এমন অবস্থায় মুষড়ে পড়তেন, হাল ছেড়ে দেওয়াটাই হয়ত বেশিরভাগের জন্য খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। ক্রিকেটার মোশাররফ হোসেন রুবেল কঠিন এই জীবন যুদ্ধে কেবল লড়ছেনই না, ঘুরে দাঁড়িয়ে দেখাচ্ছেন খেলায় ফেরার সাহস। ক্রিকেটে ফিরতে রীতিমতো অনুশীলনও শুরু করে দিয়েছেন। চিকিৎসকের ছাড়পত্র নিয়ে এবার জাতীয় লিগেই মাঠে নামতে চান তিনি।
Mosharraf Hossain Rubel
ছবি: বিসিবি

মস্তিষ্কে ক্যান্সার, নিতে হচ্ছে কেমো থেরাপি। অনেকেই হয়ত এমন অবস্থায় মুষড়ে পড়তেন, হাল ছেড়ে দেওয়াটাই হয়ত বেশিরভাগের জন্য খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। ক্রিকেটার মোশাররফ হোসেন রুবেল কঠিন এই জীবন যুদ্ধে কেবল লড়ছেনই না, ঘুরে দাঁড়িয়ে দেখাচ্ছেন খেলায় ফেরার সাহস। ক্রিকেটে ফিরতে রীতিমতো অনুশীলনও শুরু করে দিয়েছেন। চিকিৎসকের ছাড়পত্র নিয়ে এবার জাতীয় লিগেই মাঠে নামতে চান তিনি।

বৃহস্পতিবার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুশীলন করতে আসেন মোশাররফ। ঘরোয়া ক্রিকেটের নিয়মিত এই পারফর্মার বেশ কয়েকদিন থেকেই ভুগছেন মস্তিষ্কের ক্যান্সারে। দেশের বাইরে গিয়ে নিতে হচ্ছে ব্যয়বহুল চিকিৎসা। কঠিন এই রোগে শরীর তার কাবু হয়েছে, কিন্তু মনের জোর আছে পুরোটাই। পরিবার, পরিজন আর সতীর্থদের সাহস পেয়েছেন। বুকে বল যুগিয়ে দুরারোগ্য ব্যাধিকে তাই হারিয়ে দেওয়ার বিপুল আত্মবিশ্বাস তার। 

কেমো থেরাপি চলার মাঝেই প্রথম শ্রেণীতে ৩৯২ উইকেট পাওয়া এই বাঁহাতি স্পিনার জানালেন মাঠে নামার দৃঢ়তা,  ‘যেহেতু আমার কেমোথেরাপি (মস্তিষ্কে টিউমারের) চলছে এখনো, শেষ হয়নি। তবে চিকিৎসকেরা বলেছেন, খেলতে পারব। যে কদিন কেমো থেরাপি চলে ওই কদিন বাদ দিয়ে এক সপ্তাহ পর থেকে খেলতে পারব। অনুশীলন শুরু করছি। আগেও অনুশীলন করেছি। যুদ্ধ তো করতেই হবে। জীবনের সঙ্গে যুদ্ধ, মাঠে যুদ্ধ। দুই জায়গায় যুদ্ধ। কী করার আছে, করতে হবে। চেষ্টা করে যাচ্ছি যতটুকু লড়াই করা যায়, টিকে থাকা করা যায়। দোয়া করবেন আমার জন্য।’

মোশাররফদের জন্য অবশ্য লড়াইয়া এবার বেশ কঠিন। নির্বাচকরা জাতীয় লিগ খেলতে বেধে দিয়েছেন ফিটনেসের কঠিন সমীকরণ। ব্লিপ টেস্টে এবার নূন্যতম ১১ পেলে তবেই মিলবে জাতীয় লিগ খেলার ছাড়পত্র। বয়স পেরিয়েছে ৩৭, এমনিতেই আছেন কঠিন জীবন যুদ্ধে। এই অবস্থায় ফিটনেস পরীক্ষায় উৎরানোই বেশ কঠিন, নিজেও জানেন সে বাস্তবতা, ‘আমাদের জন্য ১৫ দিন বা এক মাসের একটা কন্ডিশনিং ক্যাম্প হলে ভালো হতো। যদিও এখন সময় নেই। অবশ্যই এটি কঠিন হয়ে যাবে।’

Comments

The Daily Star  | English

Abu Sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

13h ago