অপরাধ প্রমাণ হলেই লোকমানের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেবে বিসিবি

Nazmul Hasan papon
ফাইল ছবি

লোকমান হোসেন ভূঁইয়া। ঢাকার ঐতিহ্যবাহী ক্লাব মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক। পাশাপাশি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালকও। বিসিবির ফ্যাসিলিটিজ বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সম্প্রতি দেশের আইন–শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন। কিন্তু এতে বিন্দুমাত্র বিব্রত নয় বিসিবি। এমনকি কোন ধরণের পদক্ষেপ নিচ্ছে না তারা। তার বিপক্ষে আনা অভিযোগ প্রমাণিত হলেই তবে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হোসেন পাপন।

মোহামেডান ক্লাবে ক্যাসিনো চালাতে জায়গা ভাড়া দিয়েছিলেন লোকমান। সেখান থেকে নিয়মিত মাশোহারাও পেতেন। দুদিন আগে ক্লাবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান চালানোর পর দেখা যায় সেখানে খেলাধুলার কোন কিছু নেই, রয়েছে জুয়াড়িদের আড্ডা। এরপরই গ্রেপ্তার হন লোকমান। আর এসব নিয়ে এখনি মাথা ঘামাতে রাজী নয় বিসিবি। তবে অপরাধ প্রমাণ হলে কোন ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন বিসিবি সভাপতি, 'অপরাধ প্রমাণ হওয়ার পর বোর্ড সিদ্ধান্ত নিবে। আগে কিছু বলা যাবে না। মূল ব্যাপার হচ্ছে, যদি অন্যায় করে থাকে শাস্তি পাবে। ছাড় পাওয়ার কোনো সুযোগই নেই। আমি বিসিবিতেও কোনো ছাড় দিবো না। আমি বিসিবিও কখনও ছাড় দিই নাই।'

একজন বোর্ড পরিচালক যিনি কিনা ক্রিকেটের নীতি নির্ধারণের সঙ্গেও যুক্ত থাকেন, তার এমন অপরাধে জড়িয়ে পড়ার পরও এ নিয়ে বিব্রত নয় বিসিবি। অপরাধ প্রমাণ না হওয়ার আগ পর্যন্ত এ নিয়ে ভাবতেই চান না পাপন, 'এখানে বিব্রত হওয়ার কিছু নেই। আমি যেটা বুঝি, কেউ যদি অন্যায় করে থাকে তার শাস্তি হবে। এটাতে তো কারো কোনো দ্বিমত হওয়ার প্রশ্নই উঠে না...আমি মনে করি, এখন যেহেতু এটা প্রক্রিয়াধীন আছে… যেমন ধরেন দুদক থেকে সম্পদের হিসাব তো অনেকের কাছ থেকেই চায়। এখনই বলা যাবে না উনি কোনো অনৈতিক বা বেআইনী কোনো কাজ করেছেন।'

ব্যক্তি জীবনে লোকমানের খুব ঘনিষ্ঠ বন্ধু পাপন। ছাত্রজীবনে একসঙ্গে পড়াশুনা করেছেন। কিন্তু বন্ধু এমন কাজ করতে পারে তার কোন ধারণাই ছিল না বিসিবি সভাপতির, 'লোকমান আমাকে কোনো দিন বলে না, মোহামেডান ক্লাবে একটা ক্যাসিনো আছে। এটাও একটা আশ্চর্য। ও কিন্তু আমার বন্ধু। ও আমাকে বলে নাই, আমি নিজেও জানি না।'

'আমি যে, লোকমানকে চিনি সে জীবনে মদ খায় নাই। সে জীবনে জুয়া খেলে নাই। এটা যেমন সত্যি আবার সে যে ক্যাসিনোর জন্য ভাড়া দিয়েছে এটাও তো সত্যি। কাজেই অস্বীকার করার তো কোনো পথ নাই। সে যদি করে থাকে তাহলে তার বিচার হবে। আমরা তাকে যেভাবে চিনি, যেভাবে জানতাম এখন প্রমাণিত হওয়ার আগে তো কিছু বলতে পারছি না যে, আসলে ঘটনাটা কি। দেশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আছে তারা আগে দেখুক, বুঝুক আসলে কে কি করেছে। যে যা দোষ করেছে তার সেই শাস্তি হবে।' -বন্ধু সম্পর্কে যোগ করে আরও বলেন পাপন।

তবে বন্ধু হোক আর যাই হোক অপরাধী হল কোন সিদ্ধান্ত নিতে বিসিবি পিছপা হবে না বলেই জানিয়েছেন পাপন। তবে প্রকৃত অপরাধীকে ধরা পড়ার প্রত্যাশা করছেন তিনি, 'সে ক্লাব ভাড়া দিয়েছে। যদি ক্যাসিনোর কাছে ভাড়া দিয়ে থাকে, এর সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা থাকে তাহলে তার বিচার হবে। এর বাইরে কিছু নাই। এটা তো না হওয়ার কোনো কারণ নাই। যারা সংশ্লিষ্ট থাকবে তারাই ধরা পড়বে, তাদেরই বিচার হবে। আমরা আশা করি, সুষ্ঠু বিচার হোক, প্রকৃত অপরাধীরা ধরা পড়ুক।'

Comments

The Daily Star  | English

No clear roadmap for investment

The budget for FY26 has drawn strong criticism from business leaders who say it lacks a clear roadmap for improving the investment climate, bolstering industrial competitiveness, and implementing overdue reforms in the banking sector.

14h ago