জাতীয় লিগে মানসম্মত উইকেট আর বল চান শরীফ

ব্লিপ টেস্ট ১১ করতে না পারলে জাতীয় লিগে বিবেচিত হবেন না, এবার এমন নিয়ম করে দেওয়ায় ঘরোয়া লিগ খেলা অনেক ক্রিকেটারই পড়েছেন দুর্ভাবনায়। ঘরোয়া লিগের বাইরে সারা বছরই যারা অনুশীলনের সুযোগ পান না, তাদের একজন প্রথম শ্রেণীতে দীর্ঘ অভিজ্ঞতা সম্পন্ন মোহাম্মদ শরীফ প্রশ্ন তুলেছেন এই প্রক্রিয়া নিয়ে। বাংলাদেশের পেসারদের মধ্যে প্রথম শ্রেণীতে সবচেয়ে বেশি উইকেট নেওয়া শরীফ বরং মনে করেন বাড়ানো উচিত উইকেট আর বলের মান।

ব্লিপ টেস্ট ১১ করতে না পারলে জাতীয় লিগে বিবেচিত হবেন না, এবার এমন নিয়ম করে দেওয়ায় ঘরোয়া লিগ খেলা অনেক ক্রিকেটারই পড়েছেন দুর্ভাবনায়। ঘরোয়া লিগের বাইরে সারা বছরই যারা অনুশীলনের সুযোগ পান না, তাদের একজন প্রথম শ্রেণীতে দীর্ঘ অভিজ্ঞতা সম্পন্ন মোহাম্মদ শরীফ প্রশ্ন তুলেছেন এই প্রক্রিয়া নিয়ে। বাংলাদেশের পেসারদের মধ্যে প্রথম শ্রেণীতে সবচেয়ে বেশি উইকেট নেওয়া শরীফ বরং মনে করেন বাড়ানো উচিত উইকেট আর বলের মান।

জাতীয় লিগ খেলতে এবার ফিটনেস পরীক্ষায় পাশ করতে ব্লিপ টেস্টে ১১ পাস মার্ক বেধে দিয়েছেন নির্বাচকরা। শরীফের প্রশ্ন কেবল ব্লিপ টেস্টই কি মানদণ্ড? নাকি দেখা উচিত ম্যাচ ফিটনেসও, কিংবা খেলার সঙ্গে যুক্ত অন্য সব বিষয়, ‘গত বছর এমন ছিল যে ১১ পয়েন্ট স্পর্শ করতে হবে, তবে এবার জোরালোভাবে বলা হয়েছে যে ১১ করতে হবে। আমার কথা হচ্ছে আমরা অনেকে হয়তো ১১ দিতে পারবো বা দিবে। মূল কথা হচ্ছে ধরেন একজন ১৪ দিয়ে দিল তার যদি ম্যাচ ফিটনেস না থাকে, তার যদি ম্যাচ খেলার সামর্থ্য না থাকে তাহলে এই ১৪ দিয়ে আমার লাভ হলো কি? এমন আছে হয়তোবা কেউ ৮ কিংবা ৯ দিতে পারবে। কিন্তু সে দেখেন ডাবল সেঞ্চুরি বা দুই ইনিংসে ১০ উইকেট পাচ্ছে। আমার কি সেটা দেখা উচিত নাকি ১৪তে থাকা উচিত?’

কেবল ফিটনেস বাড়ালেই যে জাতীয় লিগের মান বেড়ে যাবে তা নয়। প্রথম শ্রেণীতে ১৩২ ম্যাচ খেলে ৩৯৩ উইকেট নেওয়া এই পেসার মনে করেন, বাড়ানো উচিত উইকেটের মান। খেলা যেন হয় মানসম্মত বল দিয়ে, ‘আমরা আসলে সবসময় বলে আসছি যে লঙ্গার ভার্সনের ক্রিকেটে যেন উইকেট স্পোর্টিং করা হয়। আমরা অনেক দিন থেকে বলে এসেছি। কিন্তু মাঠে গেলে আসলে সেটা (ভালো উইকেট) পাওয়া যাচ্ছে না। আরেকটি ব্যাপার বলতে হয়, জানি না বলা ঠিক হবে কিনা এরপরেও বলা উচিত। উইকেট অনেক সময় শুষ্ক থাকে। কিন্তু বলটি অনেক সময় নরম থাকে। এই কারণে বল এবং উইকেট না মিললে আসলে সেখান থেকে ভালো ফলাফল আসে না।’

‘আমরা যে বল দিয়ে খেলি এসজি। আমি জানি না এটা সর্বোচ্চ পর্যায়ে বা গ্রেড ওয়ানের বল কিনা। মনে হয় হতে পারে, আবার আমরা ভালো বল নাও পেতে পারি। অনেক সময় অনেক দিনের পুরনো বল থেকে যায় সেটা দিয়ে খেলা চালিয়ে যায়। যারা তৈরি করছে তারাও হয়তো জানে না। না বুঝেই হয়তো দিচ্ছে। আমরা যেখানে খেলি এখানে বলটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।’

দীর্ঘ ১৯ বছর থেকে দেশের ক্রিকেটে নিয়মিত মুখ শরীফ ইঙ্গিত দেন কি মানের বল দিয়ে খেলে আসছেন তারা, ‘যদি শুষ্ক উইকেটে খেলি, যদি বলটা ভালো থাকে তখন মানিয়ে নেওয়া যায়। আপনি যদি গত কয়েক বছরের রেকর্ড দেখেন, নতুন বল যদি চার পাঁচ ওভারের মধ্যে বদলাতে হয় তাহলে আমরা কোথায় আছি বুঝতে হবে। সেদিকেও আমাদের নজর দেয়া উচিত।’

 

 

 

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

8h ago