পিএসজিকে আবারো জয় এনে দিলেন নেইমার
চলতি মৌসুমে প্যারিস সেইন্ত জার্মেইর (পিএসজি) হয়ে মাঠে নেমেই টানা দুই ম্যাচে শেষ মুহূর্তে গোল করে দলকে জিতিয়েছিলেন নেইমার। মাঝে একটি ম্যাচে গোল পাননি, দলও জয় পায়নি। এক ম্যাচ বিরতির পর আবার পিএসজির জয়ের নায়ক এ ব্রাজিলিয়ানই। তার দেওয়া একমাত্র গোলে ১-০ ব্যবধানে বোর্দোকে হারিয়েছে ফরাসী চ্যাম্পিয়নরা।
লিগ ওয়ানে নিজেদের পঞ্চম ম্যাচে স্ত্রাসবুরের বিপক্ষে প্রথমবারের মতো মাঠে নেমেছিলেন নেইমার। শুরু থেকে দুয়ো শোনা এ তারকার শেষ মুহূর্তের গোলে পূর্ণ ৩ পয়েন্ট পায় দল। এরপর লিওঁর মাঠেও জয়সূচক গোল আসে তার কাছ থেকেই। এবার বোর্দোর বিপক্ষেও স্বস্তির জয় এনে দিলেন এ ব্রাজিলিয়ান তারকাই।
অবশ্য এ জয়ে চোট কাটিয়ে ফেরা কিলিয়ান এমবাপেও রেখেছেন দারুণ অবদান। প্রতিপক্ষের মাঠে শুরু থেকেই এক চেটিয়া আক্রমণ করে খেলতে থাকে পিএসজি। পঞ্চম মিনিটে পাবলো সারাবিয়ার শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। তিন মিনিট পর আনহেল ডি মারিয়ার শটও অল্পের জন্য লক্ষ্যে থাকেনি।
২৭তম মিনিটে সারাবিয়ার পাস থেকে দারুণ এক কোণাকোণি শট নিয়েছিলেন থমাস মিউনিয়ের। কিন্তু বারপোস্ট ঘেঁষে বাইরে চলে গেলে হতাশা বাড়ে অতিথিদের। ৪৪তম মিনিটে মিউনিয়েরের ক্রস থেকে হেড নিয়েছিলেন নেইমার। কিন্তু তার হেডও বারপোস্ট ঘেঁষে বাইরে চলে যায়।
বিরতির পর আক্রমণের ধার আরও বাড়ায় পিএসজি। ৪৭তম মিনিটে দূরপাল্লার জোরালো এক শট নিয়েছিলেন ডি মারিয়া। তবে তা ফিস্ট করে ফিরিয়ে দেন গোলরক্ষক বেনোইত কোস্তিল। ৫৪তম মিনিটে নেইমারের নেওয়া ফ্রিকিক বাইরের জাল কাঁপায়। আট মিনিট পর ডি বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া নেইমারের কোণাকোণি শটও লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।
৬৩তম মিনিটে একবারে ফাঁকায় বল পেয়েছিলেন বদলী খেলোয়াড় এমবাপে। কিন্তু তিনিও লক্ষ্যে রাখতে পারেননি। ৬৮তম মিনিটে মিউনিয়েরের ক্রস থেকে ফাঁকায় হেড নিয়েছিলেন নেইমার। কিন্তু কিন্তু হতাশা বাড়িয়ে বাইরেই মারেন।
৭০তম মিনিটে ডেডলক ভাঙতে পারে পিএসজি। ডান প্রান্ত থেকে এমবাপের দেওয়া ক্রসে আলতো টোকায় লক্ষ্যভেদ করেন নেইমার। আট মিনিট গোল পেতে পারতেন এমবাপেও। ডান প্রান্তে ফাঁকায় বল পেয়েও গোলরক্ষক বরাবর শট নিলে হতাশ হতে হয় তাকে। ফিরতি বলেও সুযোগ ছিল। কিন্তু এবার লক্ষ্য শট নিতে ব্যর্থ হন এ তারকা।
লিগে আট ম্যাচে ছয়টি জয়ে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে পিএসজি। ১২ পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ঠ স্থানে আছে বোর্দো।
Comments