তিন দশকের মধ্যে সবচেয়ে বাজে শুরু ইউনাইটেডের
তিন দশক আগের কথা। ১৯৮৯-৯০ মৌসুম। তখনও ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ যাত্রা শুরু করেনি। ইংল্যান্ডের পেশাদার ক্লাব ফুটবলের সর্বোচ্চ পর্যায়ের নাম ছিল ফার্স্ট ডিভিশন। সেবার ১৩ নম্বরে থেকে লিগ শেষ করেছিল জায়ান্ট ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। এবারও কি তেমন বাজে কিছু ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে? মৌসুমের শুরুতে রেড ডেভিলরা যেভাবে একের পর এক হতাশাজনক পারফরম্যান্স উপহার দিচ্ছে, তাতে ঘটলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না!
সোমবার রাতে ঘরের মাঠ ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে পুরনো প্রতিদ্বন্দ্বী আর্সেনালের সঙ্গে ১-১ গোলে ড্র করেছে ইউনাইটেড। ফলে সাত ম্যাচ শেষে ওলে গানার সুলশারের শিষ্যদের পয়েন্ট দাঁড়িয়েছে ৯! ইতিহাসের সফলতম ইংলিশ ক্লাবের নামের পাশে এই সংখ্যাটা মানানসই নয় মোটেও। তারা জিতেছে মাত্র দুটি ম্যাচে, ড্র করেছে তিনটি, বাকি দুটিতে হার। তারা রয়েছে পয়েন্ট তালিকার দশ নম্বরে! শীর্ষে থাকা লিভারপুলের চেয়ে এরই মধ্যে ১২ পয়েন্টে পিছিয়ে পড়েছে তারা।
মৌসুমের প্রথম সাত ম্যাচ শেষে ম্যান ইউনাইটেড তাদের পয়েন্ট দুই অঙ্কে নিতে ব্যর্থ হয়েছিল সবশেষ ওই ১৯৮৯-৯০ মৌসুমে। অর্থাৎ ৩০ বছরের মধ্যে লিগে এটাই তাদের সবচেয়ে বাজে শুরু। অথচ চেলসিকে নিজেদের মাঠে ৪-০ গোলে গুঁড়িয়ে এবারের মৌসুমটা দুর্দান্তভাবে শুরু করেছিল ইউনাইটেড। এরপর থেকেই দলটির পারফরম্যান্স পড়তির দিকে। গেল ছয় ম্যাচে তারা কেবল লেস্টার সিটিকে হারাতে পেরেছে। মাঝারি মানের দল ক্রিস্টাল প্যালেস ও ওয়েস্টহ্যাম ইউনাইটেড তাদের কাছ থেকে পূর্ণ পয়েন্ট কেড়ে নিয়েছে।
আর্সেনালের বিপক্ষেও ইউনাইটেড অগোছালো ফুটবল খেলেছে। তবে বিরতির ঠিক আগে ডি-বক্সের বাইরে থেকে স্কট ম্যাকটমিনের মাপা শটে বল জালে জড়ালে এগিয়ে যায় তারা। এই লিড স্বাগতিকরা ধরে রাখতে পারে মাত্র ১৩ মিনিট। ৫৮তম মিনিটে গানারদের সমতায় ফেরান পিয়েরে-এমেরিক অবামেয়াং। লাইন্সম্যান অবশ্য অফসাইডের পতাকা উঁচিয়ে ধরেছিলেন। তবে ভিএআর প্রযুক্তি ব্যবহার করে দেখা যায় অনসাইডেই ছিলেন অবামেয়াং।
সাত ম্যাচের সবকটিতে জেতা লিভারপুলের অর্জন ২১ পয়েন্ট। বর্তমান লিগ চ্যাম্পিয়ন ম্যানচেস্টার সিটি ১৬ পয়েন্ট নিয়ে রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। তিনে থাকা লেস্টারের অর্জন ১৪ পয়েন্ট। আর্সেনাল ১২ পয়েন্ট নিয়ে রয়েছে চার নম্বরে। সমান পয়েন্ট নিয়ে গোল ব্যবধানে পিছিয়ে থেকে পঞ্চম স্থানে ওয়েস্টহ্যাম। পয়েন্ট তালিকায় এরপর যথাক্রমে রয়েছে টটেনহ্যাম হটস্পার, চেলসি, বোর্নমাউথ ও প্যালেস।
Comments