ঘরের মাঠে বায়ার্নের কাছে ৭ গোল হজম করল টটেনহ্যাম
টটেনহ্যাম হটস্পারকে তাদের মাঠেই ৭-২ ব্যবধানে গুঁড়িয়ে দেওয়া ম্যাচে একাই চার গোল করলেন বায়ার্ন মিউনিখের সার্জ গ্যানাব্রি। এরপর প্রতিপক্ষের সমর্থকদের কাটা ঘাঁয়ে নুনের ছিটা দিতেও পিছপা হলেন না এই তরুণ জার্মান ফরোয়ার্ড। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে নিজের ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্ট থেকে টুইট করলেন, ‘নর্থ লন্ডন এখন লাল!’
মঙ্গলবার রাতে উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ‘বি’ গ্রুপের ম্যাচে ইংলিশ ক্লাব টটেনহ্যামের মাঠে গোল উৎসব করেছে জার্মান লিগ চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন। ম্যাচ শেষে স্কোরলাইন দাঁড়ায় ৭-২। জোড়া গোল আসে রবার্ট লেওয়ানডস্কির পা থেকে। বাকি গোলটি করেন জশুয়া কিমিচ।
গ্যানাব্রির টুইটের বিষয়টি খোলাসা করা যাক। ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলে থাকা নর্থ লন্ডনের দুই সেরা ক্লাবের একটি টটেনহ্যাম, আরেকটি আর্সেনাল। দুই দল আবার পুরনো প্রতিদ্বন্দ্বীও। টটেনহ্যামের মূল জার্সি সাদা, আর্সেনালের লাল। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচ খেলতে বায়ার্নও তাদের চিরাচরিত লাল জার্সি গায়ে নেমেছিল স্পার্সদের বিপক্ষে। তাছাড়া আর্সেনালের সঙ্গে গ্যানাব্রির পুরনো যোগসূত্রও রয়েছে। জার্মান নাগরিক হলেও এই ক্লাবেই ২০১২-১৩ মৌসুমে পেশাদার ফুটবল ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন তিনি। গ্যানাব্রি খেলেছেন গানারদের যুব দলেও। তাই পুরনো দলের প্রতি ভালোবাসা আর টটেনহ্যামের সঙ্গে আর্সেনালের মাঠের শত্রুতা- এই দুই মিলিয়ে বিশাল জয়ের পর স্পার্স ভক্তদের খোঁচা দেন ২৪ বছর বয়সী এই উইঙ্গার।
ম্যাচ শেষে স্কাই স্পোর্টসের সঙ্গে সাক্ষাৎকারেও রসিকতা করার সুযোগ হাতছাড়া করেননি গ্যানাব্রি, ‘চার গোল করার অনুভূতিটা অসাধারণ। আমার মনে হয়, আর্সেনাল সমর্থকরাও এটা উপভোগ করেছে!’
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে ঘরের মাঠে এত বড় ব্যবধানে আগে কখনও হারেনি কোনো ইংলিশ ক্লাব, হজম করেনি সাত গোলও। অথচ ম্যাচের শুরুটা দুর্দান্ত হয়েছিল টটেনহ্যামেরই। ১২তম মিনিটে হিউং-মিন সনের লক্ষ্যভেদে এগিয়ে যায় তারা। পিছিয়ে পড়ে তেতে ওঠে বায়ার্ন। তিন মিনিট পর কিমিচের গোলে সমতায় ফেরে তারা। বিরতির ঠিক আগে অতিথিরা এগিয়ে যায় পোলিশ স্ট্রাইকার লেওয়ানডস্কির কল্যাণে।
দ্বিতীয়ার্ধে স্বাগতিকদের নিয়ে স্রেফ ছেলেখেলা করে বায়ার্ন। ৫৩ ও ৫৫তম মিনিটে প্রতিপক্ষ গোলরক্ষক হুগো লরিসকে পরাস্ত করেন গ্যানাব্রি। বায়ার্নের পক্ষে স্কোরলাইন দাঁড়ায় ৪-১। ৬১তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে স্পার্সদের ব্যবধান কমান হ্যারি কেন।
বাভারিয়ানরা নিজেদের সেরাটা জমিয়ে রেখেছিল ম্যাচের শেষ দশ মিনিটের জন্য। ৮৩তম মিনিটে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন গ্যানাব্রি। ৮৮তম মিনিটে আরও এক গোল আসে তার পা থেকে। এর মাঝে জালের ঠিকানা খুঁজে নেন লেওয়ানডস্কিও। তাতে চরম হতাশাজনক হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় টটেনহ্যামকে।
Comments