গুনাথিলেকার সেঞ্চুরি ম্লান করে সিরিজ জিতল পাকিস্তান
দানুসকা গুনাথিলেকার দারুণ সেঞ্চুরি আর দাসুন শানাকার ঝড়ে চ্যালেঞ্জিং পূঁজিই পেয়েছিল শ্রীলঙ্কা। তবে রান তাড়ায় পাকিস্তানের ওপেনাররা আনলেন দুর্বার শুরু, মিডল অর্ডারে মিলল জুতসই রান। সিরিজের শেষ ওয়ানডেতেও তাই স্বাগতিকরা জিতল অনায়াসে।
করাচিতে তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে শ্রীলঙ্কার দেওয়া ২৯৮ রান তাড়া করে পাকিস্তান জিতেছে ৬ উইকেটে। প্রথম ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে যাওয়ার পর বাকি দুটো জিতে সিরিজ পকেটে পুরেছে সরফরাজ আহমেদের দল।
২৯৮ রানে লক্ষ্যে নেমে ফখর জামান আর আবিদ আলির জুটিতেই শতরান পেরিয়ে যায় পাকিস্তানিরা। দলের ১২৩ রানে আগ্রাসী মেজাজে ৭৪ করা আবিদকে তুলে নেন ওয়াইন্দু হাসারাঙ্গা। কিছুটা ধীরলয়ে খেলা ফখর ফেরেন ৭৬ রান করে।
ওয়ানডাউনে নেমে ২৬ বলে ৩১ করে ফেরেন বাবর আজম। রান রেটের চাপ না থাকায় অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ আর হারিস সোহেল মিলে দলকে নিয়ে যান জেতার আরও কাছে।
খেলা শেষ করার আগে ফেরেন দুজনেই। ৫৬ করে থামেন হারিস। তার আগে ২৩ করে আউট হন সরফরাজ।
উইকেটে রান দেখে টস জিতে আগে ব্যাটিং নিয়েছিলেন লাহিরু থিরিমান্নে। কিন্তু শুরুটা ভালো হয়নি লঙ্কানদের। তৃতীয় ওভারেই আবিষ্কা ফার্নেন্দোকে তুলে নেন মোহাম্মদ আমির।
দ্বিতীয় উইকেটে অবশ্য গুনাথিলেকাকে নিয়ে পরিস্থিতি সামলান অধিনায়ক থিরিমান্নে। র ৮৮ রানের জুটির পর থিতু হওয়া থিরিমান্নে ফিরলে ভাঙে জুটি। থিতু হয়ে ফেরেন অ্যাঞ্জেলো পেরেরা, মিনুদ বানুকাও। আগের ম্যাচে রান পাওয়া শেহান জয়াসুরিয়া এদিন শুরুতেই কাবু।
দলকে একাই টানছিলেন গুনাথিলেকা। ১৩৪ বলে ১৩৩ করে আমিরের বলে বোল্ড হলে থামে তার লড়াই। শেষ দিকে অবশ্য বাকিটা পুষিয়ে দেন দাসুন শানাকা। ২৪ বলে ৪৩ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে দলকে নিয়ে যান তিনশোর কাছে।
তবে ব্যাট করার জন্য ভীষণ ভালো উইকেটে ওই রান্ন ডিফেন্ড করার মুন্সিয়ানা দেখাতে পারেননি লঙ্কান বোলাররা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
শ্রীলঙ্কাঃ ৫০ ওভারে ২৯৭/৯ (গুনাথিলেকা ১৩৩, দাসুন ৪৩; আমির ৩/৫০)
পাকিস্তানঃ ৪৮.২ ওভারে ২৯৯/৫ (ফখর ৭৬, আবিদ ৭৪ ; প্রদীপ ২/৩৭)
ফলঃ পাকিস্তান ৫ উইকেটে জয়ী।
সিরিজঃ পাকিস্তান ২-০ ব্যবধানে জয়ী।
Comments