জাতীয় লিগে তিন ধরণের উইকেট চান রাজ্জাক
কোন উইকেটে থাকবে প্রচণ্ড টার্ন, স্পিনাররা নাচিয়ে ছাড়বেন ব্যাটসম্যানদের। কোন উইকেটে আবার পুরো রাজত্ব করবেন ব্যাটসম্যানরা। আবার কোন উইকেটে দেখা যাবে পেস বোলারদের ঝাঁজ, বাউন্স-মুভমেন্টের দাপট। টেস্ট ক্রিকেটের কথা ভেবে জাতীয় লিগে এই তিন ধরণের উইকেটই চান অভিজ্ঞ ক্রিকেটার আব্দুর রাজ্জাক।
ঘরোয়া পর্যায়ে বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল স্পিনার রাজ্জাক। প্রথম শ্রেণীতে দেশের সবচেয়ে বেশি (৫৮১) উইকেট তার দখলে। স্পিনার হিসেবে ১৭ বছরের দীর্ঘ ক্যারিয়ারের বেশিরভাগ সময় নিজের জুতসই উইকেট পেয়ে আসছেন তিনি। তবে এবার নিজের স্বচ্ছন্দের বাইরে গিয়েও বৈচিত্র্যময় উইকেট চাইছেন রাজ্জাক।
পেসারদের কথা ভেবে জাতীয় লিগে স্পোর্টিং উইকেটের দাবি অনেক দিনের। যে উইকেটে ব্যাটসম্যান, স্পিনার, পেসার সবারই কিছু না কিছু সুবিধা থাকবে। তবে রাজ্জাক দিলেন আরেকটু আলাদা মত। তিনি চাইছেন স্পোর্টিং উইকেট নয়, আলাদা আলাদা ভেন্যুতে এমন উইকেট বানাতে হবে, যাতে থাকবে ধরণের পুরো ভিন্নতা।
রোববার দ্বিতীয় দফা বিপ টেস্ট দিতে এসে ৩৭ পেরুনো এই স্পিনার জানালেন, কেন তিন রকমের উইকেট খেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের জন্য প্রস্তুত হওয়া উচিত, ‘তিন ধরণের উইকেটে খেললে আরও ভালো হবে। এটা আমার চিন্তা। এটা করলে ভালো হবে। ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা কিংবা অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে খেললে (ঘরের মাঠে) আমরা টার্নি উইকেট নিয়ে থাকি। ওদের দলে যদি একটা-দুইটা স্পিনার থাকে তাহলে তাদের জন্য আমাদের ভয় পেতে না হয় এজন্য যেন আমরা জাতীয় লিগে এই ধরনের (টার্নিং উইকেটের) প্রস্তুতিটা নিতে পারি। স্পিনের উইকেটে খেলার জন্য আপনি ঘরোয়া লিগে একই উইকেটে খেলান তাহলে ওদের স্পিনার যেন ভয় বাড়াবে না। আমাদের ব্যাটসম্যানরা স্বচ্ছন্দে পরিস্থিতি সামলাতে পারবে।’
‘আবার পুরো ব্যাটিং উইকেট করতে হবে - বিভিন্ন দলের হয়ে আমাদের পরিস্থিতি হয়তো বাধ্য করবে ব্যাটিং উইকেট বানাতে। ব্যাটসম্যানদের যেন ওই মানসিকতা থাকে যে আমাদের কীভাবে ব্যাটিং করতে হবে, যাতে লম্বা সময় ধরে খেলতে পারব। এজন্য ব্যাটিং উইকেটে খেলে প্রস্তুতি দরকার।’
আর সিমিং কন্ডিশন দরকার কারণ আমাদের বাইরে যেতে হয়।ইংলিশ কন্ডিশনে বা এরকম যেকোনো দেশে গেলে ওরা আমাদের জন্য ঘাসের উইকেট দেবে। সেটার জন্য প্রস্তুতি আমাদের সিমিং উইকেট তৈরি করলেই হয়। এটা যে আমার মাথায় আসছে তা না, হয়তো উনাদের মাথায়ও আছে।’
গত বছর ঘরোয়া লিগে কিছু উইকেটে রাখা হয়েছিল ঘাস। তবে অনেকসময়ই সেই ঘাস ছিল মৃতপ্রায়, যাতে প্রথম ঘণ্টা বাদ দিলে উলটো সুবিধা পেয়েছেন ব্যাটসম্যানরা। কোন উইকেটে তাজা ঘাস থাকলেও নিচের মাটি ছিল নরম। পেসাররা ঘাস পেয়েও তাই নরম মাটি থাকায় বল উঠাতে পারেননি, রাজত্ব করেছেন সেই স্পিনাররাই।
এবার সত্যিকার অর্থে সবার সমান সুবিধা থাকে এমন উইকেট পাওয়ার আশা ক্রিকেটারদের।
Comments